আজ সারাদিন

আজ সারাদিন

আজ সারাদিন একটাও কথা বলিনি কারুর সঙ্গে

ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে শুনছি কোলাহলময় সঙ্গীত
পায়ে ক্ষীণ ব্যথা, জুতো খোলা যাক, খালি পায়ে দিক হাওয়া
বুড়ো আঙুলের নখদর্পণে ঝলসে উঠলো প্রাক রজনীর চাঁদ
হাঁটু গেড়ে বসি, এত ধুলোময় জগতে আমার চাঁদের গায়েও
ধুলো
তারই যেন এক বিন্দুর নাম সুনীল, হঠাৎ ভেসে যাবে কোন্
স্রোতে
বড় মজা লাগে, ফু দিয়ে ওড়াই অজস্র জলবিম্ব।

আজ সারাদিন একটাও কথা বলিনি কারুর সঙ্গে

জামার বোতামে সূচ ও সুতোর স্মৃতিকথা শোনা গেল মে
শিন ঘরের বাইরে হারিয়ে ব্রাত্য বোম ছুঁয়েছিল কার হাত
সেই চম্পক অঙ্গুলি আজ খেলা করে এই রোমশ বুকের গভীরে
দুপাশে কত না মানুষের ঢেউ অচেনা ভাষায় হাসাহাসি করে
ছুটছে
আমি যেন আজই প্রথম এসেছি নীল আলো মাখা বাঙ্ময়
পৃথিবীতে হেঁড়া কাগজের ভিজে অক্ষর নাম ধরে ডাকে, নদীও বললো,
এসো—

আজ সারাদিন একটাও কথা বলিনি কারুর সঙ্গে

হোটেলের ঘরে ঘুম ভেঙে যায়, ভোরবেলা নাকি সন্ধ্যা
এ কার বিছানা, কিংবা শায়িত লোকটি কি আমি, হয়তো বা
আমি নয়
জানলার কাচে ঝাপটা মারলো বনকুসুমের মনে পড়ে যাওয়া গন্ধ
কোন অরণ্যে এসেছি একলা, আকাশ ঢেকেছে জীবন্ত ডালপালা
অথবা পাশেই সমুদ্র, তার উচ্ছাস এসে ভাসালো এ লোকভূমি
বড় মোহময়, পলাতক-সুখ, এমন শব্দ বর্ণের অবগাহন

আজ সারাদিন একটা কথাও বলিনি কারুর সঙ্গে…