শুধু যে হারিয়ে গেছে

শুধু যে হারিয়ে গেছে

নদীটিকে বুকে তুলে নাও
ডানা ভাঙা হলুদ কপোতী হয়ে উল্টে পড়ে আছে গিরিখাদে
ও একটু আদর চায়, বুকের গরম চায়, দাও!
লাবণ্য কণিকা চেয়ে কাঙাল হয়েছে এক রাজরাজেশ্বর
তাকে কিছু দেবে, ভেবে দ্যাখো!
অরণ্য পেয়েছে ওম, পথের সংসার সব তোমারি প্রশ্রয়।
এই যে সন্ধ্যার অশ্রু, যার মন রোদে ভরা সেকি কিছু বোঝে?

মনে পড়ে, মনে পড়ে যায়
স্তব্ধতার চেয়ে আরও অনেক নিঃশব্দ, হিম, চুপ
কে যেন পুকুর ঘাটে দুপুরের অবেলায় বলেছিল, যাও
তাই শুনে চলে গেল ইস্কুল বাতাস, গেল খুশিময় ছবি
লোহা ভাঙা শব্দ এসে ভরে দিল অর্ধেক জীবন!
তবু, মাটির মূর্তির মতো, যারা যায় সব ঘুরে ফিরে আসে
বাগানের ফুল হয়ে ওঠে ফুটে ওঠে গুপ্ত অভিমান
উষ্ণ চাদরের মধ্যে লুকিয়ে আরাম করে কৈশোরের স্মৃতি
ওষধি ঘাসেরা সব জানে।

দাও, যাকে যা দেবার সব দাও
শীতের বৃক্ষকে দাও সবুজাভা, জলে-জঙ্গনে হাতছানি
মেঘ-মৃত্তিকায় দাও ছন্দ, আগুনকে অগ্নিতর করো
কোমরের খাঁজ থেকে বিচ্ছুরিত আলো দেবে নিশুতি রাত্রিকে
তাও জানি, সমুদ্রও কিছু কি পাবে না?
শুধু যে হারিয়ে গেছে, হীরে নয়, দ্যুতি
তারই জন্য এত কাণ্ড, ছন্দ-হেঁড়া এসব কবিতা!