এক ঝলক

এক ঝলক

পাট পচা পাংশু জলে স্নান করছে এক জোড়া অপ্সরী
অবনত সন্ধেবেলা অপরূপ অলীকের আবু ঘিরে ছিল
গোরুর পায়ের ধুলো, দূরাগত ঘণ্টাধ্বনি তাও মায়াজাল
অদূরেই ট্রেন লাইন, প্রতীক্ষার শোঁ শোঁ শব্দ উন্মার্গ বাতাসে।

খিদের মতন ধোঁয়া এ বাড়ি ও বাড়ি ঘোরে, যায় না তবুও
ছাইগাদায় শুয়ে থাকা পুঁয়ে পাওয়া কুত্তাটির চোখ বুজে আসে
যেমন ঘুমের মধ্যে চলে যাওয়া, যেমন ঘুমের মধ্যে ফেরা
মানুষও আসে যায়, কারা এলো, কারা গেল, কিবা যায় আসে!

ঝাঁকড়া তেঁতুল গাছে রোগা রোগা পাখিদের শব্দ-অভিমান।
ওদের প্রপিতামহ এই দেশে সুখে ছিল তাকি ওরা জানে?
রেলের খালের ধারে যে শিশুটি হিসি করে সে কিছু জানে না
হিজল ডালের বাঁকা দুটি ঊরু, মুখখানি নষ্টচাঁদ।

আঁচল গুছিয়ে দুই অপ্সরী কি উড়ে যাবে, জল তবু টানে
ভিতু জল খুশি হয়ে চাটে নিম্ন উদরের রক্তিম লাবণ্য
দুই সখী খলখলিয়ে হাসে, বুক খুলে দেয়, দেরি হয় হোক
চতুর্দিকে এত অসুন্দর তবু এক ঝলক হঠাৎ সুন্দর।