১৩. সন্তুর প্রথমে মনে হল

সন্তুর প্রথমে মনে হল, সে জলে ড়ুবে যাচ্ছে। খুব গভীর সমুদ্র, তার মধ্যে সে ড়ুবে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। সব দিক নীল, শুধু নীল। প্রচণ্ড ঢেউয়ের শব্দ। তারপরই সন্তুর মনে পড়ল, সে তো সাঁতার জানে, তা হলে শুধু শুধু ড়ুবে যাচ্ছে কেন? সে হাত-পা ছুঁড়ে প্রাণপণে সাঁতার কাটতে শুরু করল। তার মুখ দিয়ে একটা অদ্ভুত আওয়াজ বেরোতে লাগল।

আসলে, একটা গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গাড়িটা উলটে যাওয়ার সময় সন্তু অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। গাড়িটা খাদের দিকে গড়িয়ে পড়ার সময় কাকাবাবু চিৎকার করে সবাইকে দরজা খুলে লাফিয়ে পড়তে বলেছিলেন, তখন লাফাতে গিয়ে কোনও একটা কঠিন জিনিসে তার মাথা ঠুকে গিয়েছিল।

জ্ঞান ফেরার পর সন্তু আস্তে আস্তে চোখ মেলে দেখতে পেল, মিশমিশে কালো অন্ধকার রাত। কোথায় নীল জলের সমুদ্র? তার মাথায় অসম্ভব ব্যথা। কানের মধ্যে যেন ব্যথার কামান গর্জন হচ্ছে।

একটু পরে সে উঠে বসেও ঝিম মেরে রইল। মাথার ব্যথাটার জন্য সে অন্য কিছু চিন্তা করতে পারছে না। মাথায় হাত বুলিয়ে দেখার চেষ্টা করল, রক্ত পড়ছে কি না। কিন্তু রক্ত টের পেল না।

হঠাৎ তার মনে পড়ে গেল, অ্যাকসিডেন্ট হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে তারা দুটো ভাল্লুক দেখেছিল। সেই ভাল্লুক দুটো কোথায়?

এবারে সে ব্যথা ভুলে গিয়ে ছটপটিয়ে এদিক-ওদিক তাকাল। অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। জায়গাটা বেশ ঢালু মতন। মাটিতে হাত চাপড়ে চাপড়ে হামাগুঁড়ি দিয়ে এগোতে গিয়ে কার গায়ে যেন হাত লাগল। চমকে গিয়ে সে চেঁচিয়ে উঠল, কে?

যার গায়ে সন্তুর হাত লেগেছে, সে-ও বলে উঠল,কে?

গলা শুনে চিনতে পারা গেল জোজোকে। সন্তু তার হাত চেপে ধরে জিজ্ঞেস করল, এই জোজো, কী হল রে? গাড়িটা কোথায় গেল? কাকাবাবু?

জোজো বলল, তা জানি না! তুই কে রে, সন্তু? ঠিক তো, সত্যি সন্তু তো?

হ্যাঁ,আমি।

ওরে সন্তু, আমরা বেঁচে আছি না মরে গেছি রে? আমরা বোধহয় মরেই। গেছি। গাড়ির অ্যাকসিডেন্টে। মরার পর এই রকম হয়, চোখে কিছুই দেখা যায় না।

ধ্যাত! কী পাগলের মতন বকছিস! তোর হাত-পা কিছু ভাঙেনি তো?

কী জানি, ভেঙেছে কি না! মরার পর আর ব্যথাট্যাথা টের পাওয়া যায় না।

তুই আগে কবার মরেছিস? মরার পর কী হয়, তুই জানলি কী করে?

গাড়িটা তাহলে নেই কেন? আমরা অন্য জায়গায় চলে এলুম কীভাবে?

গাড়িটা বোধহয় আরও অনেকটা গড়িয়ে নেমে গেছে। আমার হাত ধর, চল, আস্তে-আস্তে এগোই। কাকাবাবুকে খুঁজতে হবে। বেশি শব্দটব্দ করিস না। ভাল্লুক দুটো তো কাছাকাছি থাকতে পারে।

ভাল্লুক?

জোজো এমনভাবে জড়িয়ে ধরল সন্তুকে যে, সে তাল সামলাতে পারল না, দুজনে মিলে গড়িয়ে নেমে গেল খানিকটা।

সেই অবস্থাতেও সন্তুর একটু হাসি পেয়ে গেল। জোজো অন্য সময় খুব লম্বা-চওড়া কথা বলে, কিন্তু আসলে সে বেশ ভিতু।

অন্ধকার খানিকটা চোখে সয়ে গেলে সন্তু দেখতে পেল, ডান পাশে বেশ ১০৪

খানিকটা দূরে গাড়িটা দুটো গাছের ফাঁকে আটকে আছে। সন্তুরা কি এত জোরে লাফিয়েছিল? কিংবা গাড়িটা নামতে নামতে হঠাৎ বোধহয় ডান দিকে বেঁকে গেছে। ইঞ্জিন বন্ধ, আলোও জ্বলছে না। কোনও শব্দ নেই। কাকাবাবুর কী হল? খোঁড়া পা নিয়ে উনি শেষ মুহূর্তে লাফাতে পেরেছিলেন তো? আর লর্ডই বা কোথায় গেল?

আর একটু কাছে এগোতেই দেখা গেল, গাড়ির পাশে দুটি ছায়া মূর্তি। দুজনেই দাঁড়িয়ে আছেন যখন, তখন কাকাবাবু কিংবা লর্ড কেউই জখম হননি।

সন্তু কাকাবাবুকে চেঁচিয়ে ডাকতে যাওয়ার আগেই জোজো কাঁপা-কাঁপা গলায় বলে উঠল, ভা-ভা-ভা…

সন্তু বলল, তুই ভাবছিস বুঝি ভাল্লুক? আরে না, গাড়িটার গাছে ধাক্কা খাওয়ার আওয়াজ শুনে নিশ্চয়ই ভাল্লুক দুটো পালিয়েছে।

কিন্তু জোজো ঠিকই দেখেছে। একটা ছায়ামূর্তি এপাশে মুখ ফেরাতেই স্পষ্ট চেনা গেল। কোনও সন্দেহ নেই, ভাল্লুকই বটে। অন্ধকারের মধ্যে তাদের ঠিক ওভারকোট পরা মানুষের মতনই মনে হয়। কিন্তু এই গরমকালে কাকাবাবু কিংবা লর্ড কারও গায়েই কোট নেই।

তার পরেই যা ঘটল, তা দেখে সন্তু একেবারে শিউরে উঠল। গাড়িটার সামনের দরজা খোলা, সেখানে হাত ঢুকিয়ে একটা ভাল্লুক একজন মানুষকে টেনে বার করল। সঙ্গে সঙ্গে মানুষটিকে চেনা গেল। কাকাবাবু!

কাকাবাবু অজ্ঞান হয়ে আছেন। ভাল্লুক দুটো কাকাবাবুকে মেরে ফেলবে। এখন কাকাবাবুকে বাঁচাবার একটাই মাত্র উপায় আছে। সন্তু উঠে দাঁড়িয়েই গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে লাগল, হেই! হেই! হেই!

জোজো পেছন ফিরে দৌড় মারল। সন্তু পাগলের মতন চিৎকার করতে করতে মাটি থেকে পাথর তুলে তুলে ছুঁড়ে মারতে লাগল ভাল্লুক দুটোর দিকে। দূর থেকে জোজো বলল, সন্তু গাছে উঠে পড়! গাছে উঠে পড়!

সন্তুর চিৎকারেই কাজ হল। বোঝা গেল যে, ভাল্লুকরা মানুষের চ্যাঁচামেচি একেবারেই পছন্দ করে না। কাকাবাবুকে মাটিতে ফেলে দিয়ে তারা, গুটগুট করে উলটো দিকে দৌড়তে শুরু করল।

সঙ্গে-সঙ্গে শোনা গেল একটা গুলির আওয়াজ।

সন্তু দেখতে পেল, মাটিতে পড়ার পরই কাকাবাবু সঙ্গে-সঙ্গে উঠে বসেছেন, তাঁরই হাতে রিভলভার।

সন্তু এবারে ছুটে এল গাড়ির কাছে।

কাকাবাবু বললেন, সন্তু, গাড়ি থেকে আমার ক্রাচ দুটো বার কর তো! উঃ, বাপরে বাপ, কী ঝঞ্ঝাট, কী ঝঞ্ঝাট! কোথা থেকে দুটো ভাল্লুক এসে জুটে সব গণ্ডগোল করে দিল! জোজো কোথায়?

সন্তু ক্রাচ দুটো বার করতে করতে বলল, জোজো আছে। কাকাবাবু, তোমার কী হয়েছিল? তুমি গাড়ি থেকে লাফাওনি?

কাকাবাবু গাড়িটা ধরে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, লাফাতে যাচ্ছিলুম, ঠিক সেই মুহূর্তে ওই লর্ড নামের ছোকরাটা আমার জামার কলার ধরে একটা হ্যাঁচকা টান দিল। তাতে আমাকে শুয়ে পড়তে হল। তার মধ্যে সে লাফিয়ে পালাল।

আমি আর পারলাম না। গাড়িটা গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেতেই অজ্ঞান হয়ে গেলাম।

একটা ভাল্লুক তোমাকে ধরেছিল..

হ্যাঁ রে, তখনও আমি অজ্ঞান ছিলাম। ভাল্লুকটা আমায় তুলতেই জ্ঞান ফিরে এল। প্রথমে তো বুঝতেই পারিনি ভাল্লুক, ভেবেছিলাম কোনও মানুষই বুঝি। তারপর বুঝতে পেরেও কিছু করতে পারছিলাম না, কোটের পকেট থেকে রিভলভারটা বার করার উপায় নেই, এমনভাবে ধরেছে, উঃ, কী নখের ধার, আমার উরুতে আর পাঁজরায় নখ বসে গেছে। তুই না চাচালে বোধহয় আমাকে চেপ্টে পিষে মেরে ফেলত!

যেদিকে ভাল্লক দুটো গেছে, সেদিকে তাকিয়ে কাকাবাবু আবার বললেন, গুলির শব্দ শুনেছে, আর বোধহয় এদিকে ফিরে আসবে না!

কাকাবাবু, লর্ড কোথায় গেল? যদি আহত না হয়ে থাকে, তা হলে নিশ্চয়ই দৌড়ে পালিয়েছে, দ্যাখ তো, গাড়ির মধ্যে একটা টর্চ ছিল না?

সন্তু গাড়ির মধ্যে টর্চ খুঁজতে লাগল। কাকাবাবু প্যান্টের পকেট চাপড়ে বললেন, ও, আমার কাছেই তো লর্ডের টর্চটা রেখেছিলাম। এটা আবার ভেঙে গুঁড়িয়ে গেল কি না কে জানে?

পকেট থেকে টর্চটা বার করে কাকাবাবু সুইচ টিপলেন। সেটা জ্বলল।

সন্তু জোরে ডাকল,জোজো, এই জোজো। এদিকে আয়, ভয় নেই। . একটু দূরে একটা গাছের ওপর থেকে চিচি গলায় শোনা গেল, আমি নামতে পারছি না!

টর্চের আলো ফেলে দেখা গেল, একটা শাল গাছের ওপরে পাতলা ডালে গুটিসুটি মেরে বসে আছে জোজো। শাল গাছ মাটি থেকে অনেকখানি সোজা উঠে যায়, কোনও ডালপালা থাকে না। জোজো ওই গাছে উঠল কী করে? বিপদের ভয়ে মানুষ কী না পারে!

কাকাবাবু বললেন, এ যে দেখছি সেই ভাল্লুকের গল্পই সত্যি হয়ে গেল। এক বন্ধুকে ছেড়ে আর-এক বন্ধু গাছে উঠে গেল।

সন্তু বলল, যেমনভাবে উঠেছিস, তেমনভাবেই নেমে আয়।

জোজো বলল, পারব না, আমার মাথা ঘুরছে। আমি পড়ে যাব!

তা হলে তুই থাক ওখানে বসে। আমরা কী করে তোকে নামাব?

কাকাবাবু বললেন, ওহে, তুমি গাছের ডালটা ধরে ঝুলে পড়ো। তারপর হাত ছেড়ে দিলে আমরা নীচের থেকে তোমাকে লুফে নেব। করো, করো, তাড়াতাড়ি করো। বেশি সময় নষ্ট করা যাবে না।

মাটিতে পা দিয়েই জোজো বলল, আমার জুতো?

সন্তু এক ধমক দিয়ে বলল, এখন আমরা তোর জুতো খুঁজব নাকি? কোথায় ফেলেছিস নিজে দ্যাখ!

কাকাবাবু চতুর্দিকে টর্চ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখতে লাগলেন। লর্ডের কোনও চিহ্ন নেই। তার কোনও সাড়াশব্দও পাওয়া যায়নি। গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমেই সে দৌড়ে পালিয়েছে।

কাকাবাবু গাড়ির ভেতরটাও ভাল করে খুঁজে দেখে বললেন, গাড়িটা খুব সম্ভবত বেশি ড্যামেজ হয়নি। এখনও চালানো যায়, কিন্তু লর্ড চাবিটা নিয়ে গেছে। যাতে পরে আমরা আর চালাতে না পারি।

জোজো সঙ্গে-সঙ্গে বলল, ইস, চাবিটা নেই! তা হলে আমি চালিয়ে নিয়ে যেতে পারতুম।

সন্তু কাকাবাবুর অলক্ষ্যে জোজোর মাথায় একটা গাঁট্টা মারল। এত কাণ্ডের মধ্যেও জোজোর গুল মারার অভ্যাস যায়নি। জোজো আবার গাড়ি চালানো শিখল কবে?

কাকাবাবু জিজ্ঞেস করলেন, নারানপুর বাংলো থেকে আমরা কতটা দূর চলে এসেছি রে সন্তু? খুব বেশি দূর হবে না।

সন্তু বলল, বড় জোর ছ-সাত মাইল।

কাকাবাবু বললেন, লর্ড এ ছ-সাত মাইল হেঁটেই চলে যেতে পারবে। নিশ্চয়ই ও এদিককার রাস্তাঘাট চেনে। ওখানে আর একটা গাড়ি আছে। সেই গাড়ি নিয়ে সবাই মিলে আমাদের ধরতে আসতে পারে। ওদের কাছে আরও কোনও অস্ত্র থাকা আশ্চর্য কিছু নয়। অংশুমান চৌধুরী এবারে সহজে ছাড়বে না।

সন্তু বলল, আমাদের এই জায়গা থেকে সরে পড়তে হবে।

কাকাবাবু জোজোর দিকে তাকিয়ে বললেন, ওহে, তোমার পিসেমশাই মানুষটি খুব সুবিধের নয়!

জোজো অমনি বলল, ঠিক বলেছেন। সেইজন্যই তো আমার পিসিমার সঙ্গে ওঁর ঝগড়া। আমার বাবা বলেছেন, কক্ষনো ওই পিসেমশাইয়ের বাড়িতে যাবি না?

তা হলে বারুইপুরে তোমার পিসেমশাইয়ের বাড়িতে সন্তুকে নিয়ে গিয়েছিলে কেন?

সে তো শুধু একবার দেখাবার জন্য। তখন কি আমি জানি যে, পিসেমশাই আপনাকে চেনেন আর আপনার ওপর ওঁর খুব রাগ?

তা অবশ্য ঠিক। একেই বলে সুখে থাকতে ভূতে কিলোয়। ভদ্রলোক আমাদের শুধু শুধু এই মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত টেনে এনে এই ঝঞ্ঝাট বাধালেন। এখন এ-জায়গাটা থেকে দূরে চলে যাওয়াই উচিত। কিন্তু আবার আমরা ভালুক দুটোর খপ্পরে না পড়ে যাই।

জোজো বলল, আজকের রাতটা কোনও গাছে চড়ে কাটিয়ে দিলে হয় না?

কাকাবাবু বললেন, আমি তো ক্রাচ বগলে নিয়ে গাছে চড়তে পারব না। তোমরা দুজনে চেষ্টা করে দেখতে পারো।

সন্তু জোজোকে জিজ্ঞেস করল, তুই আবার ওই শালগাছটায় উঠতে পারবি?

জোজো বলল, আমি হিমালয়ে গিয়ে অনেক গাছে চড়েছি। তবে সেসব অন্য গাছ। শাল গাছে চড়া ঠিক প্র্যাকটিস নেই।

আপাতত আমরা হিমালয়ে যাচ্ছি না, সুতরাং এখানকার গাছেও ওঠা হবে না।

কাকাবাবু বললেন, গাড়িটা যেখানে আটকেছে, তার খানিকটা নীচেই একটা নদী আছে দেখলুম। ওই নদীর ধারে যাওয়ার দরকার নেই। রাত্তিরবেলা অধিকাংশ জন্তু-জানোয়ার নদীতে জল খেতে আসে। মধ্যপ্রদেশের এই সব জঙ্গলে বাঘও আছে। রাস্তার ধার ঘেঁষে ঘেঁষে যাওয়াই ভাল। ঠিক রাস্তার ওপর দিয়ে নয়।

টর্চটা হাতে নিল সন্তু। সে মাঝে-মাঝে আলো জ্বেলে দেখে নিতে লাগল সামনেটা। অন্যরা চলল তার পেছনে পেছনে।

খানিক দূর যাওয়ার পরই একটা গাড়ির আওয়াজ পাওয়া গেল। সন্তু বলল, ওই ওরা আসছে।

কাকাবাবু বললেন, এত তাড়াতাড়ি কি লর্ড নারানপুরে পৌঁছে যেতে পারবে? মনে হয় না। হয়তো অন্য কোনও গাড়ি। অন্য গাড়ি হলে আমরা লিফট নিতে পারি।

সন্তু বলল, যদি কোনও সর্টকাট থাকে, লর্ড তাড়াতাড়ি পৌঁছে যায়?

কাকাবাবু বললেন, তা ঠিক। এসব জায়গায় সন্ধ্যের পর গাড়ি বিশেষ চলেই না। এত রাতে আর কার গাড়ি আসবে? তবু, রাও-এর গাড়ি দেখলে তো আমরা চিনতে পারব। এখন আমাদের গা-ঢাকা দিয়ে থাকাই ভাল। খানিকটা ছড়িয়ে ছড়িয়ে। অন্য গাড়ি হলে চেঁচিয়ে থামাব।

কাকাবাবু রিভলভারটা হাতে নিলেন। সন্তু নিভিয়ে দিল টর্চ।