মানুষের মুখ চিনে

মানুষের মুখ চিনে

শুয়োরের বাচ্চারাই সভ্যতার নামে জিতে গেল
ওদের নিজস্ব রাস্তা, ওরাই দৌড়োবে
ওদেরই মুখোশ নিয়ে দেশে দেশে চলে যায় অবিমিশ্র দূত
বিমানের সিঁড়ি থেকে পা পিছলে কোনোদিন
একজনও পড়ে না।
বাঁধানো দাঁতের হাস্যে সভ্যতার নাম রটে খুব।

শুয়োরের বাচ্চাদের কৌতুক কাহিনী নিয়ে
ভরে যায় মহাফেজখানা
ওরাই নদীতে বাঁধে সেতু, ফের দু একবার
বিছানায় পাশ ফিরে ওদেরই নিজস্ব অস্ত্রে
টুকরো হয়ে ছিটকে যায় কংক্রীট মিনার!
অন্যদিকে রক্তের নদীতে ভাসে সুদৃশ্য তরণী
সেখানে সঙ্গীত-সুরা, কঙ্কালের সঙ্গে পাশা
খেলে পুরোহিত
শুয়োরর বাচ্চাদের এই সভ্যতার গায় হিসি করে দাও!

তুমি আমি ফিরে যাব, আমরা অসভ্য রয়ে যাবো।
এখনো অরণ্য আছে, হিম আকাশের নীচে এখনো কোথাও
পরাগ-সৌরভ ভাসে, শিস দেয় রাতচরা পাখি
লুকোনো ঝর্নার পাশে আমরা উলঙ্গ হবো, মায়াবী জ্যোৎস্নায়
মানুষের মুখ চিনে মানবিক নাচের উৎসব শুরু হবে।