ঘৃণা, তুই

ঘৃণা, তুই তোর ভ্রূকুঞ্চন,
ঠোঁটের বক্রতা আর দাঁত ঘষটানি
ফিরিয়ে নে। দ্যাখ চেয়ে গোলাপ কেমন
হেসে তোর দিকে
তাকিয়ে রয়েছে, বন পায়রার ঝাঁকি নম্র এসেছে নেমে
টিনশেডে, চকোলেট রঙের তরুণ পাখি তার
হৃদয় উজাড় করে সুর
ঢেলে স্নান সস্নেহে করাচ্ছে-হ্রদয়কে। এই তো দাঁড়াল বারান্দায়
কলেজ সুন্দরী, তার চুল ওড়ে উদ্দাম হাওয়ায়,
ঘৃণা তুই, তোর তূণ থেকে সব তীর ছুড়ে ফেলে দে মাটিতে।
ঘৃণা, তুই যাকে শক্র ভেবে এতদিন বারবার
চোখ থেকে ঝরালি আগুন,
করেছিস খুন স্বপ্নে তৃতীয় প্রহরে আর দুর্বাসার মতো
কমণ্ডলু ছুড়ে তপোবনে অকস্মাৎ
ভীষণ ভয়ার্ত করে তুলেছিস হরিণ শিশুকে,
প্রকৃত প্রস্তাবে
কখনো সে নয় শক্র তোর, বরং দয়ার কুঁড়ি
ফোটাবার জন্যে সে হয়েছে অন্তরালে
কিছুটা নির্দয়। শোন মিনতি আমার, পুনরায় ভালোবেসে
ঘৃণা তুই মুখ থেকে খুলে ফেল ঘৃণার মুখোশ।