একজোড়া চোখ

একজোড়া চোখ, জ্বলজ্বলে, প্রাচীন রত্নের মতো,
ভেসে এলো ঘরের ভেতরে। চক্ষুদ্বয়
আমার শরীরে সেঁটে থাকে দীর্ঘস্থায়ী
চুমোর ধরনে।

কে যেন দাঁড়িয়ে থাকে দরজার কাছে খুব মৌন
সকল সময়; মনে হয়
আমার শয্যার পাশে বসবার অনুমতি চায়, হাত নেড়ে
ডাকলে চকিতে মিশে যায় বায়ুস্তরে।

একজোড়া চোখ পাখি হয়ে
লেখার টেবিলে বসে, ডানা ঝাপটায়; পালঙ্কের
ভাঁজ থেকে অতীত ছড়িয়ে পড়ে রাত্রির মেঝেতে
জুয়াড়ীর খুচরো পয়সার মতো। পাখি ওড়ে চোখের ভেতরে।

এখানে আমার জন্যে অপেক্ষায় ছিল যে কুকুর
তার লকলকে জিভ
আমার শরীর থেকে চেটে নিয়ে ক্লান্তি শুয়ে থাকে
দরজার কাছে, যেন সে অনন্তকালে পেয়েছে আশ্রয়।

কারো স্বপ্নে নেই জানি আমার নিবাস,
যে স্বপ্নে আমার ছায়া পড়ে তা নিমেষে ভেঙে যায়। মেঝে ফুঁড়ে
মাথা তোলে কালো গাছ, তার ছায়া থেকে ক’জন উন্মাদ ঢিল
ছোড়ে আর আমার পায়ের কাছে এসে পড়ে একজোড়া চোখ।