কবিতার মধ্যে

কবিতার মধ্যে

বহু চিঠি, ভ্ৰমণকারীর
মতো
প্রতিটি বন্দর থেকে; মনে আছে,
মনে পড়ে?
ছবির পোস্টকার্ড।
ঈষৎ দূরত্বে এসে যেন কোনো সাঁকোর ওপরে
একলা দাঁড়িয়ে থাকা-ভ্রূ-সন্ধিতে ঘাম
নীচে জলস্রোত বহু দূরে যায়
সেই দূর মুহুর্তে বিধুর হয়ে ওঠে
একাকিত্বে হাওয়ায় হাওয়ায় শিহরন
বেঁচে আছি, এই বাত জানাবার কী বিপুল সাধ
ছন্দ ও শব্দের কাছে হাঁটু গেড়ে বসে
গাছ থেকে খসে পড়া ঘুরন্ত পাতার মতো চিঠি যায় উড়ে।
ভূতত্ত্ব সমীক্ষা সেরে ক্যাম্পের মলিন আলোয়
বসে আছি কবি
কবিতার মধ্যে তার দিনলিপি
কিংবা সে সংবাদপত্রের ধন্ধে
ঘন ঘন দেখে যায় ঘড়ি
মাথার ভেতরে তাঁত :
সব কিছু সম্বোধনে তুমি—
সুরক্ষিত মহাফেজখানা থেকে যাবতীয় তথ্যরাশি
সেও তো তোমার জন্য, রোমকুপে অস্থিরতা, জয়।

আকস্মিক সুন্দর যা, তা আমার একার কখনো না
অক্ষর সাজিয়ে তার বিলি বন্দোবস্ত করা চাই
উইপোকা আয়ু খেয়ে যায়।

যেমন বৃষ্টির আগে কালো মেঘে চিল ওড়ে
হঠাৎ চাঁদের পাশে ফুটে ওঠে আভা
ভুল ভাঙবার মতো আচম্বিতে মনে পড়ে যায়
সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে শেষ কথাটাই বলা হয়নি
কিংবা কোনো হিম ভোরে প্রকৃতির
দুর্নিবার খেলা দৃশ্য হলে
নদীর কিনারে তুমি হেঁটে যাও
তখন সে উষা ও নদীকে মনে হয়
তোমার চোখের মতো উপহার, তরুণ সূর্যের সাক্ষ্য
বহুরূপী সুখ ও বিষাদ
এই সব ছোট চিঠি,…জানি কেউ
উত্তর দেবে না।