এক সন্ধেবেলা আমি

এক সন্ধেবেলা আমি

এই হ্রদে ঈশ্বর ছিলেন
এই হ্রদে ঈশ্বর ছিলেন
ঈশ্বর, তোমার ভূমিকম্প এসে মুছে দিল তোমার মহিমা;
এই বৃক্ষ ঈশ্বর আমার
এই বৃক্ষ ঈশ্বর আমার
ঈশ্বর, তোমার বজ্র তোমাকেই পোড়ালো বীভৎস
ঈশ্বর, তোমার মতো নিরীশ্বর আর কেউ নেই!…

***

নীরা, তুমি অমন সুন্দর মুখে তিনশো জানাল
খুলে হেসেছিলে, দিগন্তের মতন কপালে বাঁকা টিপ,
চোখে কাজল ছিল কি? না, ছিল না।
বাসস্টপে তিন মিনিট, অথচ তোমায় কাল স্বপ্নে বহুক্ষণ…
কেমন সামান্য হয়ে বসেছিলে, দেড় বছর পর আমি আজও আছি
কত লোভহীন–
পাগলামি! স্বপ্ন থেকে নেমে দূর বাসস্টপে একা হেঁটে যাই।…

***

নদীর পড়ে বসেছিলাম, নদী আমায় কোনো কথাই বলেনি
শুকনো পাহাড় বললে আমায় নদীর কথা–
নারীর কাছে গিয়েছিলাম, নারী আমায় কোনো কথাই বলেনি
ধুলোয় ভরা গ্ৰন্থ শুধু বললে আমায় নারীর ভাষা।…

***

‘এ বছর আর বন্যা হবে না, ঐ দ্যাখো ব্রিজ, ঐ দ্যাখে বাঁধ—’
কে জানে কোথাও কোনো দীর্ঘশ্বাস ছিল কিনা,
মরা দামোদর পায়ে হেঁটে এসে ছেলেটা মেয়েটা শক্তিগড়ের
দিকে চলে গেল, কে জানে কোথাও কোনো দীর্ঘশ্বাস ছিল। কিনা।…

***

আমার ঠাকুরদাদা মন্দিরের পুজুরী ও ঘণ্টা বাজাতেন
ছোটমাসী নামাবলী কেটে ব্লাউজ বানিয়েছেন লো-কাট;
ছোটমাসী, তোমার বুকে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে গিয়ে
প্ৰথম যৌন আনন্দ পেয়েছিলাম।