১৩. কবুতরডাঙায় সপ্তাহে দুদিন হাট হয়

কবুতরডাঙায় সপ্তাহে দুদিন হাট হয়। তখন কত লোকজন, কত চ্যাঁচামেচি, কতরকম তরিতরকারি আর মাছের গন্ধ। অন্য দিনগুলোতে সব শুনশান। চালাঘরগুলো ফাঁকা পড়ে থাকে, ঘুরে বেড়ায় কয়েকটা কুকুর।

শুধু এক কোণে খোলা থাকে একটা মুদিখানা, আর একটা চায়ের দোকান। গ্রামের বড় বড় ছেলেরা বিকেলের দিকে সেই চায়ের দোকানে বসে আড্ডা মারে।

বদরুর নৌকোটা এসে লাগল ঘাটে।

সন্তু ও নিখিল মাহাতো উঠে এলেন ওপরে।

একটু একটু সন্ধে হয়ে এসেছে। চায়ের দোকানে রয়েছে ছ-সাতজন ছেলে। তারা ক্রিকেট খেলা নিয়ে কথা বলছে। সচিন তেন্ডুলকর আর সৌরভ গাঙ্গুলির মধ্যে কে বেশি ভাল ক্যাপ্টেন তা নিয়ে তর্ক বেঁধে গেছে প্রায়।

সেই তর্কের মাঝখানেই নিখিল মাহাতো একজনকে জিজ্ঞেস করলেন, ভাই, বিশাই সামন্তর বাড়িটা কোথায় বলতে পারো?

সেই লোকটি কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে থেকে বলল, বিশাই সামন্ত? সে কে? চিনি না তো?

সে পাশের লোকটিকে জিজ্ঞেস করল, কী রে, তুই চিনিস?

সে লোকটি পিক করে থুতু ফেলে বলল, বাপের জন্মে নাম শুনিনি।

আর-একজন নিজের থেকেই বলল, এ-গ্রামে কোনও সামন্ত থাকে না।

নিখিল মাহাতো বললেন, এ-গ্রামে তার বাড়ি না হতে পারে, কিন্তু সে এখানে প্রায়ই আসে শুনেছি।

প্রথম লোকটি বলল, যারা আসে, সবাইকে আমরা চিনি। ও নামে কাউকে দেখিনি কখনও।

নিখিল মাহাতো সন্তুর দিকে তাকালেন।

সন্তুর মনে হল, এই লোকগুলো সবাই বিশাই সামন্তকে চেনে। কোনও কারণে তাকে ভয় পায় বলেই কিছু বলছে না।

সন্তু বলল, আসুন, আমরা এখানে একটু চা খেয়ে নিই!

চায়ের দোকানদারটি বার বার তাকাচ্ছে এঁদের মুখের দিকে।

সে বলল, আপনারা কে? কোথা থেকে আসছেন?

নিখিল মাহাতো গম্ভীরভাবে বললেন, তোমার দোকানে চা খেতে গেলে পরিচয় দিতে হয় নাকি?

সে থতমত খেয়ে বলল, আজ্ঞে তা নয়। এমনিই জিজ্ঞেস করছিলাম।

নিখিল মাহাতো বললেন, তুমি বিশাই সামন্তকে চেনো?

লোকটি বলল, আজ্ঞে না। নাম শুনিনি।

এখানে কাপের বদলে গেলাসে চা দেয়। সন্তু আর নিখিল মাহাতো গেলাসদুটি নিয়ে বসলেন একটু দূরে।

সন্তু বলল, বিশাই সামন্তকে এরা অনেকেই চেনে, তা বোঝাই যাচ্ছে।

নিখিল মাহাতো বললেন, আমারও তাই মনে হচ্ছে।

সন্তু বলল, আপনি কে, তা এরা জানে না।

নিখিল মাহাতো বললেন, থানার দারোগাদেরই লোকে চেনে। আমি তো দারোগা নই। এখানে বাংলাদেশ থেকে অনেক জিনিস চোরাচালান হয়ে আসে। এই ছেলেগুলোর মধ্যে দু-একজন তাতে জড়িত থাকতে পারে। এরা যদি বিশাই সামন্ত সম্পর্কে কিছু বলতে না চায়, তা হলে একটাকে থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখাতে হবে।

সন্তু বলল, একটু ভিড় কমলে এই চা-ওয়ালাকে ভাল করে জিজ্ঞেস করা দরকার।

নিখিল মাহাতো বললেন, চা-টা মন্দ করেনি। আরও এক গেলাস করে খেলে হয়।

একটু পরেই একটা মোটরসাইকেলের শব্দ শোনা গেল।

কাছে আসার পর দেখা গেল, চালাচ্ছে একজন। পেছনে বসে আছে আরএকজন। দুজনেই প্যান্ট আর শার্ট পরা।

চালকটি চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করল, এখানে কে বিশাই সামন্তর খোঁজ করছে?

নিখিল মাহাতো একবার কোমরে হাত দিলেন। বোঝা গেল, ওখানে রয়েছে তাঁর রিভলভার।

মোটরসাইকেলের পেছনের লোকটি এদিকে এসে জিজ্ঞেস করল, আপনারা বিশাই সামন্তকে খুঁজছেন?

নিখিল মাহাতো উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, হ্যাঁ।

লোকটি বলল, কেন খুঁজছেন?

নিখিল মাহাতো বললেন, সেটা তাকেই বলব।

লোকটি বলল, সে তো অসুস্থ। তার জ্বর হয়েছে। এ-গ্রামে তার মামাবাড়ি, সেখানেই শুয়ে আছে।

নিখিল মাহাতো বললেন, তার সঙ্গে একবার দেখা করা যায় না? খুব জরুরি দরকার।

লোকটি বলল, তা যেতে পারে। আসুন আমার সঙ্গে।

এই লোকটি পথ দেখিয়ে নিয়ে চলল, মোটরসাইকেল চলে গেল অন্যদিকে। নদীর ধার দিয়ে কাঁচা রাস্তা। সন্ধে হয়ে গেছে। আকাশে একটু একটু জ্যোৎস্না ছাড়া আর কোনও আলো নেই। লোকটি মাঝে মাঝে টর্চ জ্বালছে।

হাঁটতে হল বেশ কিছুক্ষণ। ক্রমশ গ্রামের বাড়ি-ঘর শেষ হয়ে গেল। একদিকে নদী, আর একদিকে শুধু মাঠ। মাঝে মাঝে রাস্তার পাশে ঝোপজঙ্গল।

এক জায়গায় এসে লোকটি থমকে দাঁড়াল। দাঁড়িয়েই রইল।

নিখিল মাহাতো জিজ্ঞেস করলেন, কী হল?

লোকটি বলল, সামনে দিয়ে একটা সাপ যাচ্ছে। ওটা চলে যাক।

নিখিল মাহাতো বললেন, কোথায় সাপ? দেখতে পাচ্ছি না তো!

লোকটি বলল আমরা ঠিক দেখতে পাই। ভারী বিষধর সাপ। শঙ্খচুড়!

নিখিল মাহাতো চমকে উঠে বললেন, কী বললে? তুমি আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছ বলো তো? এদিকে তো কোনও বাড়ি নেই।

লোকটি বলল, তোমাদের নিয়ে যাচ্ছি যমের বাড়ি!

নিখিল মাহাতো কোমর থেকে রিভলভারটা বার করতে করতে বললেন, আমি কে জান না? সবকটাকে—

তিনি আর কিছু বলতে পারলেন না। শুধু আঃ বলে পড়ে গেলেন মাটিতে।

পেছন থেকে একজন লোক তাঁর মাথায় একটা ডাণ্ডা মেরেছে। ঝোপ থেকে বেরিয়ে এল আরও তিনজন লোক।

তাদের একজন বলল, এঃ পুলিশ বলে যেন মাথা কিনে নিতে চায়। ওরকম কত পুলিশ দেখেছি!

আর-একজন বলল, এই তো সেই শয়তানের বাচ্চাটা। বাঁধ এটাকে।

প্রথম যে লোকটি সন্তুকে ধরতে এল, তাকে এক ধাক্কায় উলটে ফেলে দিয়ে দৌড় লাগাল সন্তু।

কিন্তু বেশিদূর যেতে পারল না। দপ করে জ্বলে উঠল একটা মশাল। সামনের দিকে সেই মশাল হাতে দাঁড়িয়ে আছে একজন লোক।

সন্তু অন্যদিকে ফিরল।

কিন্তু ওরা চারদিক থেকে তাকে ঘিরে ফেলেছে। ফাঁদে পড়া ইঁদুরের মতন এদিক-ওদিকে ছোটাছুটি করেও কোনও লাভ নেই।

একজন লোক কাছে এসে পড়ে জ্বলন্ত মশাল দিয়ে তাকে মারতে যেতেই সে শুয়ে পড়ল মাটিতে। আগুনের সঙ্গে সে লড়াই করতে পারবে না।

একজন তার পিঠের ওপর পা রেখে বলল, এবার বাঁধ এটাকে।

আর-একজন নিচু হয়ে সন্তুর হাত বাঁধতে বাঁধতে বলল, এটার ওপর আমাদের বাবুর খুব রাগ। এটার জন্য ভাল টাকা পাওয়া যাবে।

শুধু হাত নয়, সন্তুর সারা শরীরে দড়ি বাঁধা হল পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে। তারপর তাকে দাঁড় করিয়ে টেনে নিয়ে যেতে লাগল। মাঝে মাঝে সে আছাড় খেয়ে পড়ছে, ওরাই তার চুলের মুঠি ধরে দাঁড় করাচ্ছে।

নদীর ধারে একটা গাছতলায় হ্যাজাক বাতি জ্বলছে। সেখানে দাঁড়িয়ে আছে দুজন লোক। একজনের হাতে রাইফেল। তার পায়ের কাছে ফেলে দেওয়া হল সন্তুকে।

রাইফেলধারী লোকটি বেশ লম্বা-চওড়া। গম্ভীর গলায় সে বলল, ধরেছিস বিচ্ছুটাকে? বাঃ!

গলার আওয়াজ শুনে দারুণ চমকে উঠল সন্তু। এ তো গগন সাহা।

সে তার সঙ্গীদের জিজ্ঞেস করল, সেই পুলিশটার কী হল?

একজন বলল, সে পড়ে আছে রাস্তায়।

গগন বলল, ওখানেই থাক। ওকে জানে মারিস না। তার দরকার নেই। ও আর কিছু করতে পারবে না। গাধা আর কাকে বলে, একখানা মোটে অস্তর নিয়ে এসেছে ছেলেকে উদ্ধার করতে!

সন্তু এখনও যেন বিশ্বাস করতে পারছে না। এই গগন সাহার ছেলে তাদের সঙ্গে থিয়েটারের রিহার্সাল দিচ্ছিল। এই লোকটা সেই থিয়েটার নষ্ট করে অন্যের ছেলেকে চুরি করেছে!

গগন সন্তুকে জুতো দিয়ে একটা ঠোক্কর মেরে বলল, কী রে শয়তানের বাচ্চা, নকল টাকা দিয়ে আমাদের ঠকাবি ভেবেছিলি? আমরা ঘাসে মুখ দিয়ে চলি? ওই ছেলেকে ফেরত পেতে হলে এখন পাঁচের বদলে দশ লাখ দিতে হবে!

একজনকে এক তাড়া নোট দিয়ে সে বলল, কাশেম, এটা তোরা ভাগ করে নে। এ-ছেলেটাকে তুলে দে আমার ভটভটিতে।

সন্তুকে দাঁড় করাবার পর গগন চিবিয়ে চিবিয়ে বলল, কী রে, সেদিন তো খুব নদীতে সাঁতারের কেরানি দেখিয়েছিলি। আজ তোকে এইরকমভাবে বেঁধে জলে ফেলে দিলে বাঁচতে পারবি? চল, দেখি!

একজন বলল, একেবারে তলিয়ে যাবে, হাঙরে-কুমিরে খেয়ে নেবে।

আর-একজন বলল, কিংবা জোয়ারের টান এলে টেনে নিয়ে যাবে একেবারে সুমুদুরে।

সন্তকে ধরাধরি করে শুইয়ে দেওয়া হল ভটভটিতে। গগন হাল ধরে বসল। তার সঙ্গী জিজ্ঞেস করল, আমি যাব না? গগন বলল, না, আমি একাই পারব। তোরা কদিন গা-ঢাকা দিয়ে থাক। হ্যাজাকটা আমার সঙ্গে দে।

ভটভটিটা চালু হওয়ার পর একজন চেঁচিয়ে বলল, একেবারে মাঝগাঙে ফেলে দেবেন সার। কম পানিতে ফেললে কিনারায় এসে ঠেকে যেতে পারে।

ভটভটিটা চলল মাঝনদীর দিকে।

এই অবস্থাতেও সন্তু ভাবল, কাকাবাবু কোথায়? তিনি কোনও খবরও দিলেন না। তা হলে তিনিও কি বন্দি? কাকাবাবুকে কেউ বন্দি করে বেশিদিন রাখতে পারে?

হাত-বাঁধা অবস্থায় সাঁতার কাটা সম্ভব নয়। আজই তার জীবনের শেষ? মাবাবা, কাকাবাবুর সঙ্গে, জোজোর সঙ্গে, দেবলীনার সঙ্গেও আর দেখা হবে না।

অনেকখানি দূরে এসে মাঝনদীতে ভটভটিটা থেমে গেল।

তারপর আবার একটা চমক লাগল সন্তুর। গগন সাহা হঠাৎ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল। তারপর বেশ জোরে, ওঃ আঃ শব্দ করে। যেন তার বুকের মধ্যে খুব কষ্ট হচ্ছে।

সেইরকম কাঁদতে কাঁদতেই সে বলল, আমি আর বাঁচতে চাই না সন্তু। আমি মহাপাপী। আজ এইখানে আমি মরব।

সন্তু কিছু না বুঝতে পেরে বলল, কী হয়েছে?

গগন বলল, দাঁড়াও, আগে তোমার বাঁধন খুলে দিই।

পকেট থেকে একটা ছোট ছুরি বার করে কচকচ করে কেটে ফেলল সব দড়ি।

তারপর বলল, সন্তু, তুমি ভটভটি চালাতে পারবে? শক্ত কিছু নয়। এখানে এসে মোটর চালু করে হাল ধরে থাকবে। একটু এদিক-ওদিক হবে, কিন্তু ওলটাবে না। আমি তোমার কাছ থেকে শেষ বিদায় নিচ্ছি।

সন্তু আবার জিজ্ঞেস করল, কী হয়েছে আপনার?

গগন বলল, আমি মহাপাপী। তোমাদের রিহার্সাল শুরুর অনেক আগেই ওই পুলিশের ছেলেকে চুরি করার প্ল্যান করা হয়েছিল। আমার ছেলেও যে তোমাদের সঙ্গে থিয়েটার করতে যাবে, তা আমি ঘুণাক্ষরেও জানতাম না। তবে বিশ্বাস করো, মানুষ চুরি করে টাকা রোজগার করা আমার পেশা নয়। আগে কখনও একাজ করিনি। ওই শঙ্খচূড় মহা শয়তান। সে আমাকে ভয় দেখিয়ে জোর করে এর মধ্যে জড়িয়েছে। আমার বউ বা ছেলে কিছুই জানে না।

রাইফেলটা তুলে নিয়ে গলার কাছে ঠেকিয়ে সে বলল, ওই যে দূরে দেখছ একটা মিটিমিটি আলো, ওটা একটা দ্বীপ। ওখানে আমার একটা খামারবাড়ি আছে। সুকোমল ওইখানে আছে। আরও তিনজন মানুষকে ওখানে আটকে রাখা হয়েছে। তুমি একা যেয়ো না, অনেক পুলিশ সঙ্গে নিয়ে যেয়ো। আমি চললাম।

সন্তু বলল, দাঁড়ান, দাঁড়ান, এটা কী করছেন?

গগন বলল, শঙ্খচূড় আমাকে দিয়ে এই জঘন্য কাজ করিয়েছে। আমার বউছেলে যদি কখনও টের পায়, তাদের কাছে আমি মুখ দেখাব কী করে? তাই আমি মরতে চাই। আর দেরি করে লাভ নেই।

সন্তু বলল, দাঁড়ান, আর-একটা কথা। শঙ্খচূড় জোর করে ভয় দেখিয়ে আপনাকে দিয়ে অন্যায় কাজ করিয়েছে। সেজন্য শঙ্খচুড়কে তো শাস্তি দিতে হবে। আপনি সেই শাস্তি দিতে সাহায্য করুন, তা হলেই আপনার দোষ কেটে যাবে।

গগন বলল, শঙ্খচূড়ের যে কী সাঙ্ঘাতিক শক্তি, তা তুমি ধারণাও করতে পারবে না। এই ছেলে চুরি, মানুষ চুরি এগুলো তার আসল কাজ নয়। অন্য লোকদের দিয়ে এই কাজ করিয়ে অনেক টাকা তুলছে। সেই টাকায় আবার অনেক লোক জোগাড় করেছে। একটা কোনও বিদেশি শক্তি আছে ওর পেছনে। সারা দেশে সাঙ্ঘাতিক সব কাণ্ড ঘটবে শিগগিরই। কত মানুষ যে মরবে, কত কিছু যে ধ্বংস হবে, তার ঠিক নেই। তোমার কাকাবাবুকেও বোধ হয় এতক্ষণে মেরে ফেলেছে।

সন্তু বলল, অনেকেই চেষ্টা করেছে। কাকাবাবুকে এ পর্যন্ত কেউ মারতে পারেনি।

গগন বলল, আমি আর এই পাপের ভাগী হতে চাই না। বিদায় সন্তু!

গগন ট্রিগার টেপার আগেই সন্তু স্প্রিং-এর মতন লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল তার ওপর। দুজনে ধস্তাধস্তি করতে করতে রাইফেলটা পড়ে গেল জলে।

গগন তবু হাত বাড়িয়ে সেটা ধরতে যেতেই সন্তু আবার একটা ধাক্কা দিল তাকে। রাইফেলটা জলে তলিয়ে গেল।

গগন নিরাশভাবে বলল, এ কী, ফেলে দিলে?

সন্তু মুখে হাসি ফুটিয়ে বলল, এবার কী করে আত্মহত্যা করবেন? সাঁতার জানেন নিশ্চয়ই। নদীতে ঝাঁপ দিলেও ড়ুববেন না।

গগন বলল, আমি আর সত্যিই বাঁচতে চাই না সন্তু! এত অপরাধ করেছি—

সন্তু বলল, চলুন, আগে সুকোমলকে উদ্ধার করি। একটা একটা করে ভাল কাজ শুরু করলেই খারাপ কাজগুলোর দোষ একটা একটা করে কেটে যাবে।