চকিতে সুন্দর জাগে

প্রস্তুতি ছিল না কিছু, অকস্মাৎ মগজের স্তরে
স্তরে মেঘমালা,
বিদ্যুতের স্পন্দমান শেকড় বাকড়-
অনন্তর সে এল, কবিতা,
আমাকে আচ্ছন্ন করে তার চুলে, অসিত শিখার মতো চুলে
আমাকে বদলে দিয়ে বৈপ্লবিক ভাবে।

মাঝে-মধ্যে ভাবি, আজো ভাবি
এ কেমন দাবি নিয়ে এল
অত্যন্ত রহস্যময়ী চঞ্চলা প্রতিমা?
এখনও তাকেই ভাবি যে আসে হঠাৎ
অস্পষ্ট স্বপ্নের মতো মনের নিঃসীম বিরানায়, পুনরায়
চকিতে মিলিয়ে যায়।
কবিতাকে খুব কাছে পেতে চেয়ে কখনো কখনো
কবিতার কাছ থেকে দূরে চলে যাই।
কবিতাকে ভালোবাসি বলে পদ্মকেশরের
উৎসব হৃদয়ে উদ্ভাসিত। কবিতার
প্রতি ভালোবাসা ডেকে আনে ভালোবাসা
হতশ্রী জীবনে, খরাদগ্ধ অবেলায় ঢালে জল,
যেমন মৃন্ময়ী চণ্ডালিকা
আনন্দের আঁজলায়। কবিতাকে ভালোবাসি বলে
অন্তর্গত ভস্মরাশি থেকে
চকিতে সুন্দর জাগে অমর্ত্য কণ্ঠের পাখি, যাকে
আত্তার অথবা রুমি আত্মা বলতেন।