ঐতিহাসিক

বাইরে হার্মাদ ঝড়। যেন খুব বদরাগী কেউ
বারংবার গর্জে উঠে গাছপালা, ল্যাম্পেস্ট ঘরের
চাল, খুঁট পাখিদের ডেরা, বেবাক ফেলছে ছিঁড়ে
খুঁড়ে কাগজের মতো। তিনি, প্রাজ্ঞ একজন, একা
ঘরের ভেতরে বাতি জ্বেলে পড়ছেন ইতিহাস আর
মাঝে-মাঝে ঝাড়ছেন ছাই ত্র্যাশট্রেতে। অকস্মাৎ
দৃষ্টিপথে তাঁর ভাসে অগ্নিদগ্ধ বিপন্ন শহর-
এবং ছাড়ছে হ্রেষা চেঙ্গিসের ক্ষিপ্রগতি ঘোড়া
পাহাড়ে, প্রান্তরে, জনপথে। এণক্লান্ত, পরাভূত
নেপোলিয়নের তেজী ঘোড়ার শরীরে যত্রযত্র,
তুষার কামড় আর লাঞ্ছিতা পোল্যাণ্ড, হাঙ্গেরিতে
ট্যাঙ্কের ঘর্ঘর আর একাত্তরে বাংলাদেশে ক্রূর
বর্ষরের কী ব্যাপক নিপীড়ন, বই বন্ধ করে
ভাবেন প্রবীণ গবেষক, ইতিহাস তালেবর
তাশ জোচ্চোরের মতো হাত সাফাইয়ের কেরদানি
দেখায় প্রচুর আর নমস্য গিবন বলে সাত
তাড়াতাড়ি খাতা খুলে তিনিও লিখতে বসে যান
অতীতের ছায়াতলে ফরমায়েসি ভ্রষ্ট ইতিহাস।