চতুর্দশপদী

একটি পাখির সঙ্গে তার খুব ভাব আছে আর
সে পাখি সর্বদা তাকে কিছু আলো কিছু অন্ধকার
মিশিয়ে শোনায় গান। গানের ভেতরে বসবাস
করে তার দিনরাত্রি বয়ে যায়। কিসের আভাস
সকালবেলার মতো দৃষ্টিপথে; সাপ কি নেউল
কিংবা গিরগিটি অস্তিত্বের কিছু চমক উসুল
করে নেয় তার কাছ থেকে, সে অনেক নিচে থেকে
ওপরে তাকায় বারবার, কখনো বা যায় হেঁকে
শব্দ কতিপয়, বলে-শহরের বুকের ভেতরে
অহর্নিশ জ্বলে প্রেম নিয়ন বাতির মতো, থরে,
থরে কী সাজানো শ্বেতপাথরের শীতল টেবিলে,
বলা মুশকিল; হয়তোবা আকাশের দীপ্র নীলে
অনেক কবর আছে, কবরের পাশে শোকসভা
এবং করোটি ফুঁড়ে প্রবল গায়ক রক্তজবা।