ফুটপাত

সকালে দুপুরে কিংবা মধ্যরাতে এ ফুটপাতের কানে কানে
বলতে চেয়েছি কথা কিছুক্ষণ একা একা। ফুটপাতটির
সঙ্গে চেনা শোনা আছে বহুকাল, এই ফুটপাত দূরগামী
পথিকের মতো চলে গেছে ধীরে নদীর নিতান্ত নজদিক।
জ্যোছনাও জলধারা হ’য়ে ফুটপাতটিকে কিছু নিরিবিলি
কাহিনী শোনাতে চায়, আমি জ্যোছনায় মিশে যাই পক্ষীপ্রায়।
ফুটপাতটির সঙ্গে কথা বলি অনর্গল পারস্পর্যহীন-
দোলায় সে মাথা ঘন ঘন, কখনোবা ভ্রান্তিহীনরূপে
উদাসীন; ফুটপাত রূপকথা ভালোবাসে? তার পিঠ বারবার
কোমল বুলিয়ে দিই, যেন সে সৌন্দর্য ময়ূরের; কিন্তু এ কি
আমার নিজস্ব করতলে বহু মৃত শতাব্দীর বিষণ্নতা
জেগে ওঠে নিমেষেই ফুটপাত সোহাগ বোঝে না এতটুকু।
আমার অঢেল রক্তে চঞ্চু সে ডুবিয়ে নিতে চায় বারংবার!