গুপ্ত সেতু

একটু হাঁটলেই লুপ্ত পথ,
কোথাও সাড়া নেই, বন্ধ দ্বার।
এভাবে দিনগুলি ফুরিয়ে যাক,
ফুরিয়ে যাক রাত প্রতীক্ষার।

কবর খুঁড়ে নিজে সেখানে থাকি,
প্রেতের সহবাসে দুঃখ বই।
এভাবে দিন যায়, রাত্রি যায়,
স্মৃতির দাঁতে রোজ বিদ্ধ হই।

আমার রক্তের ফেনিলতায়
নৌকো হ’য়ে ভাসে দু’চোখ তার।
আমার সত্তার প্রান্তে বয়
মোহন নিশ্বাস কামুকতার।

তাকেই মুখস্থ করছি শুধু
উষ্ণ থরো থরো উচ্চারণে।
আমার ঠোঁটে তার নগ্ন ছোঁয়া
একদা নেমেছিলো, পড়লো মনে।

হঠাৎ তার কথা পড়লে মনে
ধড়মড়িয়ে উঠি জীর্ণ খাটে,
কী ঘোর অনিদ্রা রাত্রিভর
জ্বালার সাথে ষড়যন্ত্র আঁটে।
আমার চিন্তার ছিন্ন মেঘে
জরির মতো হাসি ঝলমলালো।

অকুল রিক্ততা করলে গ্রাস,
আমার কংকাল হয় কাতর।
গোপন নিশ্বাস লাগলে মুখে
দু’চোখ হ’য়ে যায় নীল পাথর।

সে যদি আসে তবে পাথর হবে
ঝর্না সাবলীল প্রাণের গানে।
কিন্তু তার আসা হবে না আর,
গুপ্ত সেতু ভেসে গিয়েছে বানে।