উদ্ভিদ

নিসর্গের সঙ্গে কোনো ঢলাঢলি নেই ইদানীং।
পেতল তামার সঙ্গে, ইট-কাঠ ইত্যাদির সঙ্গে
খুব বেশি মেলামেশা হয়। কর্কশ শিরিষ দিয়ে
প্রত্যহ মসৃণ করি একটি কাঠের বাড়ি, তার
দেয়ালে দেয়ালে চিত্র, নরুনে খুঁচিয়ে তোলা; তবু
আমার ভেতরে এক কেমন উদ্ভিদ বেড়ে যায়
প্রতিদিন চুপিসারে, জিভ নেড়ে নেড়ে অতিশয়
নম্র ভঙ্গিমায় ডাকে। তার কিছু স্বাদ আছে ভেবে
সামাজিক কীটপতঙ্গের দ্রুত চঞ্চলতা বাড়ে।

যেও না তোমরা কেউ উদ্ভিদের কাছে, যত বলি-
তত ভিড় আশেপাশে, কণ্ঠে তুলে নিতে চায়
তীব্র অন্তর্স্রাবী রস। বিবেচনা নেই, কী গরল
সেখানে প্রচ্ছন্ন বয়, ভেবেও দ্যাখে না একবার।
আমি নীল হচ্ছি ক্রমে, দেখছে না তাও; ওরা শুধু
বিশদ কুহকে মজে রসমগ্ন হয়। উদ্ভিদের
আনাচে-কানাচে বহু শতাব্দীর চূর্ণ শোভা আর
কালিঝুল লেগে থাকে, আমি তার ক্ষুধিত ছায়ায়
ক্লান্তি আর উদ্যমের মাঝামাঝি করি বসবাস।