041.005

তারা বলে আপনি যে বিষয়ের দিকে আমাদের কে দাওয়াত দেন, সে বিষয়ে আমাদের অন্তর আবরণে আবৃত, আমাদের কর্ণে আছে বোঝা এবং আমাদের ও আপনার মাঝখানে আছে অন্তরাল। অতএব, আপনি আপনার কাজ করুন এবং আমরা আমাদের কাজ করি।
And they say: ”Our hearts are under coverings (screened) from that to which you invite us, and in our ears is deafness, and between us and you is a screen, so work you (on your way); verily, we are working (on our way).”

وَقَالُوا قُلُوبُنَا فِي أَكِنَّةٍ مِّمَّا تَدْعُونَا إِلَيْهِ وَفِي آذَانِنَا وَقْرٌ وَمِن بَيْنِنَا وَبَيْنِكَ حِجَابٌ فَاعْمَلْ إِنَّنَا عَامِلُونَ
Waqaloo quloobuna fee akinnatin mimma tadAAoona ilayhi wafee athanina waqrun wamin baynina wabaynika hijabun faiAAmal innana AAamiloona

YUSUFALI: They say: “Our hearts are under veils, (concealed) from that to which thou dost invite us, and in our ears in a deafness, and between us and thee is a screen: so do thou (what thou wilt); for us, we shall do (what we will!)”
PICKTHAL: And they say: Our hearts are protected from that unto which thou (O Muhammad) callest us, and in our ears there is a deafness, and between us and thee there is a veil. Act, then. Lo! we also shall be acting.
SHAKIR: And they say: Our hearts are under coverings from that to which you call us, and there is a heaviness in our ears, and a veil hangs between us and you, so work, we too are working.
KHALIFA: They said, “Our minds are made up, our ears are deaf to your message, and a barrier separates us from you. Do what you want, and so will we.”

০৫। তারা বলে, ” তুমি যার দিকে আমাদের আহ্বান করছো সে বিষয়ে আমাদের অন্তর আবরণে -আচ্ছাদিত ৪৪৬৫। আমাদের কর্ণে আছে বধিরতা , এবং আমাদের ও তোমার মাঝে আছে পর্দা। সুতারাং [ যা করতে চাও ] তুমি তা কর ; [ আমাদের যা করার ] আমরা করবো ৪৪৬৬।

৪৪৬৫। ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহ্‌র প্রত্যাদেশকে প্রত্যাখান করার ফলে আল্লাহ্‌র বাণীর মর্মার্থ ও প্রত্যাখানকারীর মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি হয় ; বাঁধার প্রাচীর তৈরী হয়। সে বাধার প্রাচীর অতিক্রম করে, দূরত্বকে অতিক্রম করে আল্লাহ্‌র বাণী তাদের আত্মার মাঝে স্থান করে নিতে পারে না। তাদের আত্মিক জগত ধীরে ধীরে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে।তাদের কান থাকতেও সত্যের আহ্বান শুনতে পাবে না। তারা হবে বধিরের ন্যায় – সত্যের আহ্বান তাদের শ্রবণে ধীরে ধীরে ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে যাবে। তারা আল্লাহ্‌র প্রেরিত রাসুলের সাথে নিজেদের দুস্তর ব্যবধানের সৃষ্টি করবে। কারণ আল্লাহ্‌ ” সীমালঙ্ঘনকারী ও মিথ্যাবাদীকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।” [ ৪০ : ২৮ ] ও টিকা ৪৩৯৮।

৪৪৬৬। সম্পূর্ণ আয়াতটির বক্তব্য সম্ভবতঃ অবিশ্বাসীদের বিদ্রূপাত্মক ব্যঙ্গক্তি, অথবা আধ্যাত্মিক শিক্ষার প্রতি অনীহার প্রকাশ। এই মানসিকতার প্রেক্ষিতেই তারা রাসুলকে [ সা ] বলেছিলো , ” আমাদের হৃদয় ও মন তোমার মহৎ বাণী শোনার বা বোঝার উপযুক্ত নয়; তোমার ব্যাখ্যা শোনার জন্য আমাদের শ্রবণ শক্তি এতটা তীক্ষ্ণ নয় ; তুমি আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ; তোমার সাথে আমাদের দুস্তর ব্যবধান। আমাদের জন্য তোমার চিন্তার কোনও কারণ নাই। তুমি তোমার পথে যাও আমরা আমাদের পথে যাব।”

উপরের বক্তব্য হচ্ছে আধ্যাত্মিক অন্ধত্বের প্রকাশ। এই প্রকাশ রাসুলের সময়ে যেরূপ বিদ্যমান ছিলো , অদ্যাবধি সমভাবে বিদ্যমান আছে অবিশ্বাসী ও অংশীবাদীদের মাঝে।