029.063

যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করে, অতঃপর তা দ্বারা মৃত্তিকাকে উহার মৃত হওয়ার পর সঞ্জীবিত করে? তবে তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা বোঝে না।
If you were to ask them: ”Who sends down water (rain) from the sky, and gives life therewith to the earth after its death?” They will surely reply: ”Allâh.” Say: ”All the praises and thanks be to Allâh!” Nay! Most of them have no sense.

وَلَئِن سَأَلْتَهُم مَّن نَّزَّلَ مِنَ السَّمَاء مَاء فَأَحْيَا بِهِ الْأَرْضَ مِن بَعْدِ مَوْتِهَا لَيَقُولُنَّ اللَّهُ قُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ
Wala-in saaltahum man nazzala mina alssama-i maan faahya bihi al-arda min baAAdi mawtiha layaqoolunna Allahu quli alhamdu lillahi bal aktharuhum la yaAAqiloona

YUSUFALI: And if indeed thou ask them who it is that sends down rain from the sky, and gives life therewith to the earth after its death, they will certainly reply, “Allah!” Say, “Praise be to Allah!” But most of them understand not.
PICKTHAL: And if thou wert to ask them: Who causeth water to come down from the sky, and therewith reviveth the earth after its death? they verily would say: Allah. Say: Praise be to Allah! But most of them have no sense.
SHAKIR: And if you ask them Who is it that sends down water from the clouds, then gives life to the earth with it after its death, they will certainly say, Allah. Say: All praise is due to Allah. Nay, most of them do not understand.
KHALIFA: If you ask them, “Who sends down from the sky water, to revive dead land,” they will say, “GOD.” Say, “Praise GOD.” Most of them do not understand.

৬৩। এবং যদি তুমি তাদের জিজ্ঞাসা কর ৩৪৯৬ আকাশ থেকে কে বৃষ্টি প্রেরণ করে মৃত পৃথিবীকে তা দ্বারা জীবন দান করেন ? তারা নিশ্চয়ই উত্তর দেবে, ” আল্লাহ্‌ “। বল, “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌রই।” কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা উপলব্ধি করে না।

৩৪৯৬। আয়াত [ ২৯ : ৬১ ] এ একদল লোকের কথা বলা হয়েছে যারা আল্লাহ্‌র ” ক্ষমতা ” উপলব্ধি করে, কিন্তু তার পরেও মিথ্যা ধারণা ও মিথ্যা উপাস্যের উপাসনা করে থাকে। এই আয়াতে অন্য আর একদল লোকের কথা বলা হয়েছে, যারা আল্লাহ্‌র “মহত্ব ও মঙ্গলময় ইচ্ছাকে ” উপলব্ধি করে। প্রকৃতিতে বৃষ্টির মত জীবন রক্ষাকারী আল্লাহ্‌র অনুগ্রহকে তারা সনাক্ত করতে পারে , দিনের পরিবর্তনে, ঋতু চক্রের আবর্তনে প্রকৃতি বিভিন্ন ভাবে আল্লাহ্‌র মঙ্গল ইচ্ছার প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, মৃত মাটি, মৃত প্রকৃতি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহে পুণরায় জীবন্তরূপ ধারণ করে। সুতারাং আল্লাহ্‌র অনুগ্রহে পার্থিব বস্তু যেরূপ পূণর্জীবিত হয়, ঠিক সেরূপ আধ্যাত্মিক জগতও পুণর্জীবিত হয়। এই দল লোক এত কিছু উপলব্ধি করার পরও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অক্ষম হয়। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি , সূর্য ও চন্দ্র , উদ্ভিদ উৎপন্ন করার সমস্ত কাজ যে, আল্লাহ্‌র নিয়ন্ত্রণাধীন একথা স্বীকার করার পরও তারা শেরেক করে। ফলে তারা তাদের জীবনকে সত্য ও সুন্দর পথে পরিচালিত করতে পারে না। সুতারাং যখন পৃথিবীর এই ক্ষণকালের শিক্ষানবীশকাল অতিক্রান্ত হয়ে যায়, মৃত্যুর মাধ্যমে পৃথিবীর জীবন শেষ করে অনন্ত জীবনে প্রবেশ করে তখন সে সুন্দর ভবিষ্যতের আকাঙ্খা করতে পারে না। তারা বিশ্ব প্রকৃতির মাঝে আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ , আল্লাহ্‌র সর্বময় ক্ষমতাকে উপলব্ধি করার পরও দুঃখের বিষয় , চূড়ান্ত সময়ে তারা সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে নাই। তাদের উচিত ছিলো এসব উপলব্ধির মাধ্যমে , সেই সর্বশক্তিমানের প্রশংসা করা এবং তার কাছে আত্মসমর্পনের মাধ্যমে তাঁর অনুগ্রহ লাভে আত্মাকে সমৃদ্ধ ও আলোকিত করা। কিন্তু আল্লাহ্‌র অনুগ্রহের জন্য তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পরিবর্তে তারা তা অনুধাবন করে না। কারণ পার্থিব জীবনের বৈষয়িক চিন্তা ভাবনা , ধ্বংসশীল কামনা-বাসনা তাদেরকে পরকালের চিন্তা থেকে অন্ধ করে রাখে।