034.008

সে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা বলে, না হয় সে উম্মাদ এবং যারা পরকালে অবিশ্বাসী, তারা আযাবে ও ঘোর পথভ্রষ্টতায় পতিত আছে।
Has he (Muhammad SAW) invented a lie against Allâh, or is there a madness in him? Nay, but those who disbelieve in the Hereafter are (themselves) in a torment, and in far error.

أَفْتَرَى عَلَى اللَّهِ كَذِبًا أَم بِهِ جِنَّةٌ بَلِ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ فِي الْعَذَابِ وَالضَّلَالِ الْبَعِيدِ
Aftara AAala Allahi kathiban am bihi jinnatun bali allatheena la yu/minoona bial-akhirati fee alAAathabi waalddalali albaAAeedi

YUSUFALI: “Has he invented a falsehood against Allah, or has a spirit (seized) him?”- Nay, it is those who believe not in the Hereafter, that are in (real) Penalty, and in farthest error.
PICKTHAL: Hath he invented a lie concerning Allah, or is there in him a madness? Nay, but those who disbelieve in the Hereafter are in torment and far error.
SHAKIR: He has forged a lie against Allah or there is madness in him. Nay! those who do not believe in the hereafter are in torment and in great error.
KHALIFA: “Either he fabricated lies about GOD, or he is crazy.” Indeed, those who disbelieve in the Hereafter have incurred the worst retribution; they have gone far astray.

০৮। ” সে কি আল্লাহ্‌র সম্বন্ধে মিথ্যার উদ্ভাবন করেছে না সে ভূতে [ আক্রান্ত ] হয়েছে ৩৭৯৫? ” না বরং যারা আখেরাতে বিশ্বাস করে না তারাই রয়েছে [ প্রকৃত ] শাস্তির মাঝে এবং সুদূর পথ ভ্রষ্টতাতে।

৩৭৯৫। যদি আত্মার অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়, তবে পরলোকের অস্তিত্ব স্বীকার করতেই হবে। কারণ ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে আত্মা এবং আত্মিক উন্নতির মাধ্যমে পরলোকের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। মানুষের যদি আত্মা না থাকতো , তবে পশুপাখীর ন্যায় মৃত্যুর সাথে সাথেই তার অস্তিত্ব শেষ হযে যেতো। যেহেতু আত্মা অমর এবং নৈতিক জীবনের পবিত্রতা আত্মার উন্নতির মূলধন, সে কারণেই মানব সভ্যতার সূচনা এখানেই এবং পরলোকের জবাবদিহিতার প্রশ্নটিও এসে যায়। পরলোকের জীবন সর্বাপেক্ষা বড় সত্য, যার থেকে বড় সত্য আর কিছু নাই। যিনি এই সত্য শিক্ষা দেন তিনি উম্মাদ হতে পারেন না। যারা তা বলে, তারা প্রকৃত জ্ঞানের অভাবেই তা বলে থাকে এবং নিজ আত্মাকে ভবিষ্যত বিপদের মাঝে নিক্ষেপ করে থাকে। যারা সত্যকে অস্বীকার করে থাকে তাদের পরিণতি হচ্ছে বিপর্যয়। তারা ক্রমাগত প্রকৃত সত্য থেকে দূরে সরে যাবে, প্রকৃত সত্যকে তারা আত্মার মাঝে অনুধাবনে অক্ষম হবে। কারণ সত্য ধারণের অক্ষমতার ফলে আত্মা স্বচ্ছতা হারায় এবং বিভ্রান্ত আত্মা পরলোকের জীবনের প্রকৃত চিত্র উপলব্ধিতে অক্ষম হবে এবং তাদের দৃষ্টি বিভ্রম ঘটবে।