002.200

আর অতঃপর যখন হজ্জ্বের যাবতীয় অনুষ্ঠানক্রিয়াদি সমাপ্ত করে সারবে, তখন স্মরণ করবে আল্লাহকে, যেমন করে তোমরা স্মরণ করতে নিজেদের বাপ-দাদাদেরকে; বরং তার চেয়েও বেশী স্মরণ করবে। তারপর অনেকে তো বলে যে পরওয়াদেগার! আমাদিগকে দুনিয়াতে দান কর। অথচ তার জন্যে পরকালে কোন অংশ নেই।
So when you have accomplished your Manasik [(i.e. Ihrâm, Tawâf of the Ka’bah and As-Safâ and Al-Marwah), stay at ’Arafât, Muzdalifah and Mina, Ramy of Jamarât, (stoning of the specified pillars in Mina) slaughtering of Hady (animal, etc.)]. Remember Allâh as you remember your forefathers or with a far more remembrance. But of mankind there are some who say: ”Our Lord! Give us (Your Bounties) in this world!” and for such there will be no portion in the Hereafter.

فَإِذَا قَضَيْتُم مَّنَاسِكَكُمْ فَاذْكُرُواْ اللّهَ كَذِكْرِكُمْ آبَاءكُمْ أَوْ أَشَدَّ ذِكْرًا فَمِنَ النَّاسِ مَن يَقُولُ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا وَمَا لَهُ فِي الآخِرَةِ مِنْ خَلاَقٍ
Fa-itha qadaytum manasikakum faothkuroo Allaha kathikrikum abaakum aw ashadda thikran famina alnnasi man yaqoolu rabbana atina fee alddunya wama lahu fee al-akhirati min khalaqin

YUSUFALI: So when ye have accomplished your holy rites, celebrate the praises of Allah, as ye used to celebrate the praises of your fathers,- yea, with far more Heart and soul. There are men who say: “Our Lord! Give us (Thy bounties) in this world!” but they will have no portion in the Hereafter.
PICKTHAL: And when ye have completed your devotions, then remember Allah as ye remember your fathers or with a more lively remembrance. But of mankind is he who saith: “Our Lord! Give unto us in the world,” and he hath no portion in the Hereafter.
SHAKIR: So when you have performed your devotions, then laud Allah as you lauded your fathers, rather a greater lauding. But there are some people who say, Our Lord! give us in the world, and they shall have no resting place.
KHALIFA: Once you complete your rites, you shall continue to commemorate GOD as you commemorate your own parents, or even better. Some people would say, “Our Lord, give us of this world,” while having no share in the Hereafter.

২০০। অতএব যখন তুমি তোমার পবিত্র আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে, আল্লাহ্‌র প্রশংসাতে নিমগ্ন হও সেইভাবে যে ভাবে তোমরা তোমাদের পূর্ব পুরুষদের স্মরণ করতে ২২৩। কিংবা তার চেয়ে বেশী মনোনিবেশ সহকারে। অনেক লোক আছে যারা বলে, ‘হে আমাদের প্রভু! আমাদের ইহজগতেই [তোমার অনুগ্রহ] দান কর।’ বস্তুত তাদের জন্য পরকালে কোন অংশই থাকবে না ২২৪।

২২৩। ইসলাম পূর্ব দিনগুলিতে মুনাফিকেরা হজ্জ্বযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মিনার ময়দানে সকলে সমবেত হতো এবং তাদের পূর্বপুরুষদের গুণগানে লিপ্ত হতো। ইসলাম হজ্জ্বের আনুষ্ঠানিকতাকে শেরেকীর পাপমুক্ত করে তা পরিশুদ্ধ করে এবং সেই সাথে হজ্জ্ব শেষের আনুষ্ঠানিকতাকেও পরিশুদ্ধ করা হয়। প্রত্যেক হজ্জ্বযাত্রীকে কুরবানী শেষে ২/৩ দিন মীনাতে অবস্থান করতে হয়। বলা হয়েছে এই ২/৩ দিন তারা আল্লাহ্‌র গুণগানে ব্যয় করবে। দেখুন নীচের আয়াত [২:২০৩]।

২২৪। যদি কেউ শুধুমাত্র পৃথিবীর ভোগ বিলাসের জন্য আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করে এবং সর্বক্ষণ শুধুমাত্র পৃথিবীর ভোগ বিলাসের কথা চিন্তা করে তবে তার আধ্যাত্মিক জীবনের পথ অবশ্যই রুদ্ধ হয়ে যাবে। কোন কোন লোক হজ্জ্বের সময়ে দোয়া করে বটে, তা একান্তভাবে দুনিয়ার উন্নতির জন্য, পরকালের কোন চিন্তাই তাদের থাকে না। তারা পরকালে কিছুই পাবে না। কেননা তাদের কার্য পদ্ধতিতে বুঝা যায় যে, তারা হজ্জ্বের ফরজ প্রথাগতভাবে আদায় করে এবং তা করে দুনিয়াতে প্রভাব ও প্রতিপত্তি বিস্তারের জন্য। আল্লাহ্‌কে সন্তুষ্ট করা বা পরকালে মুক্তি পাওয়ার কোনও ধ্যান ধারণাই তাদের থাকে না। এই আয়াতে এদের বিষয়ে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, জাগতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তারা এমনিভাবে নিমগ্ন যে, কোন প্রকারে শুধু নিজের চাহিদা পূরণ হোক, এটাই তাদের কাম্য-চাই তা ভাল হোক বা মন্দ হোক, সৎ পথে অর্জিত হোক বা অসৎ পথে, মানুষ একে পছন্দ করুক বা নাই করুক।

আমাদের অবস্থাও একটু খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে যে, অনেক মুসলমান ধনী ব্যক্তি যেসব দোয়া কালাম পাঠ করে বা বুযুর্গ লোকদের দ্বারা করায় তাতে দুনিয়ার সমৃদ্ধি এবং ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি অগ্রগতির জন্যই করে বা করায়। তারা অনেক দোয়া কালাম পাঠ করে এবং নফল এবাদত করে ভাবে যে, আমরা অনেক এবাদত করে ফেলেছি। কিন্তু বাস্তবে এটা এক প্রকার দুনিয়াদারী পূজায় পরিণত হয়। এও এক ধরণের শেরেকী। আবার অনেক লোক জীবিত বুযুর্গান বা মৃত বুযুর্গানের (মাজারে যেয়ে কান্নাকাটি) সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। এতেও তাদের উদ্দেশ্য থাকে তাদের দোয়া-তাবিজের সাহায্য নিজের উদ্দেশ্য সফল করা, দুনিয়ার বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকা। এই আয়াতে তাদের জন্য উপদেশ আছে। সত্যিকারের মোমেন ব্যক্তিও ইহকালকেও অস্বীকার করে না পরকালকেও অস্বীকার করে না। তারা দুনিয়ার কল্যাণের মাধ্যমে পরকাল অর্জন করতে চায়। দুনিয়ার কল্যাণ যেমন-শারীরিক সুস্থতা, পরিবার-পরিজনের সুস্থতা, হালাল-রুজীর প্রাচুর্য্য, পার্থিব যাবতীয় প্রয়োজনের পূর্ণতা, নেক আমল, সচ্চরিত্র, উপকারী বিদ্যা, মান-সম্মান, সামাজিক প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠা, আকীদার সংশোধন, সিরাতে-মুস্তাকীমের হেদায়েত, এবাদতে একাগ্রতা প্রভৃতিসহ অসংখ্য স্থায়ী নেয়ামত এবং আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি ও সাক্ষাত লাভ প্রভৃতি সবই এর অন্তর্ভূক্ত।