002.082

পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তারাই জান্নাতের অধিবাসী। তারা সেখানেই চিরকাল থাকবে।
And those who believe (in the Oneness of Allâh ÊÚÇáì – Islâmic Monotheism) and do righteous good deeds, they are dwellers of Paradise, they will dwell therein forever.

وَالَّذِينَ آمَنُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ أُولَـئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
Waallatheena amanoo waAAamiloo alssalihati ola-ika as-habu aljannati hum feeha khalidoona

YUSUFALI: But those who have faith and work righteousness, they are companions of the Garden: Therein shall they abide (For ever).
PICKTHAL: And those who believe and do good works: such are rightful owners of the Garden. They will abide therein.
SHAKIR: And (as for) those who believe and do good deeds, these are the dwellers of the garden; in it they shall abide.
KHALIFA: As for those who believe, and lead a righteous life, they will be the dwellers of Paradise; they abide in it forever.

৮২। কিন্তু যাদের আছে ঈমান এবং যারা সৎকাজ করে, তারা হবে [বেহেশতের] বাগানের অধিবাসী। সেখানে তারা [চিরদিন] থাকবে।

রুকু – ১০

৮৩। এবং স্মরণ কর, আমি বনী ইসরাঈলীদের নিকট থেকে [এই মর্মে] অঙ্গীকার নিয়েছিলাম ৮৭ যে, আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য কারও এবাদত করবে না; পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন এবং এতিম ও অভাবগ্রস্থের সাথে সদয় ব্যবহার করবে। মানুষের সাথে সুন্দরভাবে কথা বলবে। সালাতে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে। যাকাত দেয়ার অভ্যাস গঠন করবে। অতঃপর তোমাদের মাঝে স্বল্প সংখ্যক ব্যতীত তোমরা [তা থেকে] মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। এবং [এখন পর্যন্ত] তোমরা পতিত হয়ে আছ।

৮৭। উপরের আয়াতে বলা হচ্ছে যে সেই সব নির্দেশের কথা যা তাওরাতে আল্লাহ্‌ হযরত মুসাকে দিয়েছিলেন। আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, একত্ববাদে ঈমান, পিতা-মাতা, এতিম বালক-বালিকা ও দীন-দরিদ্রের সেবা যত্ন করা, সব মানুষের ভালর জন্য কথা বলা এবং যাকাত দেওয়া ইসলামী শরীয়তসহ পূর্ববর্তী শরিয়তসমূহেও বিদ্যমান ছিল। অর্থাৎ এইসব নৈতিক অনুশাসন সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বজাতির জন্য প্রযোজ্য [Universal]। যদি কেউ আল্লাহ্‌র এই আইন অমান্য বা লঙ্ঘন করে, তবে আল্লাহ্‌র শাস্তি সবার জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। কারও জন্য তা লাঘব করা হবে না। [২ : ৮৬]।
‘মানুষের সাথে সুন্দরভাবে কথা বলবে’ বা ‘Speak fair to the people’ কথাটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ। এর আবেদন অনেক গভীর। শুধুমাত্র বাহ্যিক ভালো ব্যবহার চরিত্রের নম্রতা প্রকাশ করে না। এর অর্থ অনেক গভীর, অনেক ব্যাপক। নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত এদের সাথে শুধু ভাল ব্যবহারই যথেষ্ট নয়, এদের অধিকারের জন্য কথা বলা, দুঃখীর সান্তনার জন্য কথা বলা, দুঃখ মোচনের জন্য কাজ করা, সত্য গোপন না করে সত্যর জন্য কথা বলা, এ সবই এই আয়াতটির দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থাৎ যেখানেই মানুষের প্রতি অন্যায় অবিচার হতে দেখা যাবে সেখানেই আল্লাহ্‌ নির্দেশ অনুযায়ী তার পাশে দাঁড়াতে হবে, তার হয়ে কথা বলতে হবে।