১. সংস্কৃতির বিভিন্ন প্রাগৈতিহাসিক স্তর

পরিবার, ব্যক্তিগত সম্পত্তি ও রাষ্ট্রের উৎপত্তি
প্রথম অধ্যায়
সংস্কৃতির বিভিন্ন প্রাগৈতিহাসিক স্তর

বিশেষজ্ঞের জ্ঞান-বুদ্ধি নিয়ে মর্গ্যানই সর্বপ্রথম মানবজাতির প্রাগৈতিহাসিক যুগকে নির্দিষ্ট নিয়ম ও শৃঙ্খলার ভেতরে আনয়ন করতে চেষ্টা করেন। তার যতদিন কোনো গুরুত্বপূর্ণ অতিরিক্ত বিষয়-বস্তুর চাপে পরিবর্তন সাধনের প্রয়োজন উপস্থিত না হয়, ততদিন তাঁর শ্রেণী-বিন্যাসই বলবৎ থাকবে।

অ-সভ্য (savagery) অবস্থা, বর্বর (barbarism) ও সভ্যতা—[মানব সমাজের] এই তিনটি প্রধান যুগের মধ্যে প্রথম দুটো এবং তৃতীয় যুগের পরিবর্তনের সূচনার সময় পর্যন্ত নিয়ে তিনি আলোচনা চালান। অ-সভ্য অবস্থা ও বর্বর যুগকে তিনি আহার্য উৎপাদনে প্রগতির ক্রম অনুসারে নিম্ন, মধ্য ও উচ্চ এই তিনটি স্তর বা পর্যায়ে বিভক্ত করেন। [আহার্য উৎপাদনের প্রগতিকে মাপকাঠিরূপে ব্যবহারের] কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন :

“আহার্য উৎপাদনে মানবজাতির নৈপুণ্যের উপরই তাদের পৃথিবীতে প্রাধান্য বিস্তারের সমগ্র সমস্যাটা নির্ভর করে। [সকলেরই বিশ্বাস পৃথিবীতে] একমাত্র মানবজাতিই আহার্য উৎপাদনের উপর পুরো ক্ষমতা বিস্তার করেছে, [অর্থাৎ এই সমশাটাকে পুরোপুরি(১) মুঠোর মধ্যে আনয়ন করতে সক্ষম হয়েছে। কাজেই আহার্য উৎপাদিনের উৎস ও উপায়গুলির বিস্তৃতি সাধনের সঙ্গে মানবীয় প্রগতি ধারার প্রধান যুগগুলোকে অল্পবিস্তর প্রত্যক্ষভাবে অভিন্নরূপে কল্পনা করা হয়েছে।”(২)

————–
১. ‘পুরোপুরি’ স্থলে এঙ্গেল্‌স্‌ লিখেন “প্রায়”।
২. মর্গ্যান—পূর্বোক্ত গ্রন্থের ১৯ পৃঃ।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *