১৩৮. দ্রোণের গুরুদক্ষিণা—দ্রুপদনিগ্রহ

১৩৮. দ্রোণের গুরুদক্ষিণা—দ্রুপদনিগ্রহ, দ্রুপদের সহিত অর্জুনের যুদ্ধ, অর্জুনযুদ্ধে দ্রুপদের পরাজয়, বন্দীকৃত দ্রুপদকে দ্রোণহস্তে অর্পণ

অষ্টত্রিংশলধিকশততম অধ্যায়।

বৈশম্পায়ন কহিলেন,—মহারাজ! দ্রোণাচাৰ্য, পাণ্ডব ও ধৃতরাষ্ট্রতনয়দিগকে ধনুর্বেদে অদ্বিতীয় দেখিয়া গুরুদক্ষিণা গ্রহণ করিবার বাসনা করিলেন। পরে শিষ্যগণকে সম্মুখে আনয়ন করিয়া কহিলেন, হে শিষ্যগণ! তোমরা পাঞ্চালরাজ দ্রুপদকে রণক্ষেত্র হইতে গ্রহণ করিয়া আনয়ন কর, উহাই, তোমাদিগের গুরুদক্ষিণাস্বরূপ হইবে। শিষ্যগণ “তথাস্তু” বলিয়া গুরুবাক্যে অঙ্গীকার করত তৎক্ষণেই দক্ষিণদানার্থ আচাৰ্য দ্রোণ সমভিব্যাহারে অস্ত্রশস্ত্র গ্রহণ করিয়া সত্বরে রাজধানী হইতে নির্গত হইলেন। অনতিবিলম্বে তথায় উপনীত হইয়া পাঞ্চালদেশ আক্রমণপূর্বক সমরানল প্রজ্বলিত করিয়া বহুসংখ্যক সৈন্যসামন্ত নষ্ট করিলেন এবং মহাতেজাঃ দ্রুপদরাজের রাজধানী উৎপীড়িত করিতে লাগিলেন। দুৰ্য্যোধন, কর্ণ, মহাবল যুযুৎসু, দুঃশাসন, বিকর্ণ, জলসন্ধ, সুলোচন, ইহারা ও অন্যান্য অনেকানেক রাজকুমারের ব্যগ্রতা সহকারে “আমিই অগ্রে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইব” বলিয়া আস্ফালন করিতে লাগিলেন। তৎপরে রাজকুমারেরা রথীরোহণপূর্বক সারথিসমভিব্যাহারে নগরী মধ্যে প্রবেশ করিয়া রাজমার্গে প্রবিষ্ট হইলেন। তখন পাঞ্চালরাজ দ্রুপদ সেই অসংখ্য সৈন্য সন্দর্শন ও তাহাদিগের তুমুল কলরব শ্রবণ করিয়া ভ্রাতৃগণ সমভিব্যাহারে প্রাসাদ হইতে নির্গত হইলেন। তৎপরে মহারাজ যজ্ঞসেন বর্ম পরিধান করিয়া যুদ্ধাবে যাত্ৰা করিলেন। বীরপুরুষেরা রণক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়া অনবরত শরক্ষেপ ও সিংহনাদ করিতে লাগিলেন। যজ্ঞসেন শুভ্রবর্ণ রথে আরোহণ পূর্বক যুদ্ধক্ষেত্রে কৌরবদিগকে লক্ষ্য করিয়া ঘোররূপে শর পরিত্যাগ করিতে আরম্ভ করিলেন।

অনন্তর মহাবীর অর্জুন রাজকুমারদিগের দর্পোদ্রেক দর্শনে পূর্বেই বিবেচনা করিয়া দ্ৰোণকে কহিলেন, হে দ্বিজেন্দ্র! কুমারগণ আত্মানুরূপ পরাক্রম প্রদর্শন কক, পশ্চাৎ আমরা সাহস প্রকাশ করিব; আমার নিশ্চয় বোধ হইতেছে, ইহা পরাজকে রণে পরাজয় করিতে পারিবে না, এই বলিয়া অ ভ্রাতৃগণ সমভিব্যাহারে নগরীর বহির্ভাগে অর্ধক্রোশ অন্তরে অবস্থান করিতে লাগিলেন। এদিকে দ্রুপদরাজ কৌরবদিগকে লক্ষ্য করিয়া চতুর্দিকে আক্রমণ করিলেন এবং শরজাল বিস্তীর্ণ করিয়া চতুর্দিকে আক্রমণ করিলেন এবং শরজাল বিস্তীর্ণ করিয়া কৌরবীসেনাকে মোহাবিষ্ট করিলেন। কৌরবগণ, রথারোহণপূর্বক যুদ্ধোদত লঘুহস্ত একমাত্র দ্রুপদরাজকে ভয়প্রযুক্ত বহু বোধ করিলেন। দ্রুপদের সুতীক্ষ্ণ শর চতুর্দিকে প্রবলবেগে ভ্ৰমণ করিতে লাগিল। ইত্যবসরে স্কন্দাবার হইতে সিংহনাদ, সদৃশ শঙ্খধ্বনি এবং ভেরী মৃদঙ্গ প্রভৃতি অতি সুমধুর বাদ্য বারম্বার ধ্বনিত হইতে লাগিল। তাহাদিগের শরাসনধ্বনি নভোমণ্ডল বিদীর্ণ করিয়া উত্থিত হইল। দুৰ্য্যোধন, বিকর্ণ, সুবাহু, দীর্ঘলোচন ও দুঃশাসন ইহারা রোষপরবশ হইয়া শর বর্ষণ করিতে লাগিলেন। দুর্জয় পদরাজ পার্শ্বদেশ বাণবিদ্ধ হইয়া তৎক্ষণাৎ প্রতিপক্ষ সেনাগণকে দগ্ধপ্রায় করিলেন এবং দুৰ্য্যোধন, বিকর্ণ, মহাবল কর্ণ ও অনেকানেক প্ৰখিত মহাবীর রাজকুমারদিগকে জর্জরিত করিলেন। তৎপরে পৌরগণ কৌরবদিগকে মুষল ও যক্তি দ্বারা প্রহার করিতে আরম্ভ করিল। তখন নগরবাসী আবালবৃদ্ধগণ সেই তুমুল যুদ্ধকোলাহল শ্রবণ করিয়া কৌরবদিগের প্রতি খাবমান হইল এবং পাণ্ডবগণের প্রতি আক্রোশ প্রকাশপূর্বক সিংহনাদ করিতে লাগিল।

অনন্তর পাণ্ডবেরা তাদৃশ ভীষণ ও লোমহর্ষণ কলরব শ্রবণ করিয়া আচাৰ্য দ্রোণকে অভিবাদনপূর্বক রথে আরোহণ করিলেন। অর্জুন যুধিষ্ঠিরকে যুদ্ধ করিতে নিষেধ করিয়া মাত্ৰীসুত নকুল ও সহদেবকেচক্রব্যুহ রক্ষায় নিয়োগ করিলেন। ভীমসেন গদা ধারণ করিয়া সর্বদা সেমুখে সঞ্চরণ করিতে লাগিলেন। কুন্তীনন্দন অর্জুন ভ্রাতৃগণসমভিব্যাহারে রথারোহণপূর্বক তদীয় নির্ঘোষে দিষ্মণ্ডল ধ্বনিত করিয়া বায়ুবেগে রণস্থলে আগমন করিলেন। তৎপরে ভীমসেন পাঞ্চালরাজের উচ্ছলিত সাগরসম শব্দায়মান সেনাসাগর মধ্যে দণ্ডধারী অন্তকের ন্যায় প্রবিষ্ট হইয়া গদা গ্রহণপূর্বক কুঞ্জরবল চুর্ণ করিতে ধাবমান হইলেন। অদ্ভুতবীৰ্য্য অর্জুনও সাক্ষাৎ কালান্তক যমের ন্যায় গদা হন্তে লইয়া হস্তিদল সংহার করিতে লাগিলেন। উশৈলশৃঙ্গকল্প কুঞ্জরবল ভীমের গদাঘাতে ভগ্নমস্তক হইয়া রুধির বমন করিতে করিতে বজাহত পর্বতের ন্যায় ভূতলে পতিত হইতে লাগিল। এইরূপে ভীম হস্তী, অশ্ব, রথ ও পদাতি সমুদায় ভূমিসাৎ করিলেন। যেমন বনমধ্যে গোপাল বালকের,পশুগণকে দণ্ড দ্বারা ইতস্ততঃ সঞ্চালন করে বৃকোদর সেইরূপে মুখ ও নাগল চালনা করিতে লাগিলেন।

যুগান্তানলকল্প মহাবীর্য্য অর্জুন দ্রোণাচার্যের প্রিয়কার্য সম্পাদনার্থ শরজাল দ্বারা পদকলেবর ক্ষতবিক্ষত করিয়া রণক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ হস্তী, অশ্ব, সুথ ও পদাতি চূর্ণ করিলেন। অনন্তর পাঞ্চাল ও সৃঞ্জয়দেশীয় বীরপুরুষেরা সাতিশয় আঘাত প্রাপ্ত হইয়া চতুর্দি হইতে নানাবিধ বাণ দ্বারা অর্জুনকে অচ্ছিন্ন করিল এবং সিংহনাদ করত অর্জুনেরসহিত ঘোরতর সংগ্রাম করিতে লাগিল। ফলতঃ এই যুদ্ধ দেখিতে অতি অদ্ভুত ও ভয়ঙ্কর হইয়াছিল। বীরগণের সিংহনাদ দেবরাজ ইন্দ্রেরও নিতান্ত দুঃসহ হইয়া উঠিল। অর্জুন শরজালে সকলকে আচ্ছন্ন ও বিমুগ্ধ করিয়া পাঞ্চালদিগের প্রতি ধাবমান হইলেন। তিনি উপর্যুপরি শরবর্ষণ করিতে লাগিলেন, সুতরাং বিপক্ষের। তাহার গাত্রে আঘাত করিতে নিতান্ত অক্ষম হইল। এই অবসরে সিংহনাদসহকৃত সাধুবাদ উত্থিত হইল। তৎপরে শম্বুরাসুর যেমন ইন্দ্রের প্রতি ধাবমান হইয়াছিল, সেই প্রকার পাঞ্চালরাজ দ্রুপদ সত্যজিতের সহিত অতি সত্বরে অর্জুনের প্রতি ধাবমান হইলেন। অর্জুন শরবর্ষণ দ্বারা পাঞ্চালরাজ দ্রুপদকে আচ্ছন্ন করিলেন। অনন্তর পাঞ্চালসৈন্য মধ্যে তুমুল কোলাহল উত্থিত হইল। মৃগরাজ সিংহ যেমন অরণ্যমধ্যে যূথপতি হস্তীকে শীকার করিতে উদ্যত হয়, সত্যবিক্রম সত্যজিৎ অর্জুনকে সম্মুখে আসিতে দেখিয়া সেইরূপে পরাক্রম প্রকাশ করিতে লাগিলেন এবং পাঞ্চালরাজ দ্রুপদকে রক্ষা করিবার নিমিত্ত অর্জুনের প্রতি ধাবমান হইলেন। তৎপরে পাঞ্চালরাজ এক শত শদ্বারা অর্জুনকে আচ্ছন্ন করিলেন। মহারথ অর্জুন বাণদ্বারা ক্ষতবিক্ষত হইয়াও মহাবেগে শরাসন আকর্ষণপূর্বক সত্যজিতের ধনুর্জা ছেদন করিয়া দ্রুপদের প্রতি অভিগমন করিলেন। অনন্তর সত্যজিং অপর এক ধনু গ্রহণ করিয়া অশ্ব, রথ ও সারথির সহিত সত্বরে অর্জুনকে বিদ্ধ করিলেন। তাঁহাকে এইরূপ পরাক্রম প্রকাশ করিতে দেখিয়া অর্জুনের অন্তঃকরণে ঈর্ষার সঞ্চার হইল। তৎপরে অর্জুন তাঁহার প্রাণ সংহারাৰ্থ সত্বর শর পরিত্যাগ করিলেন। অর্জুনের সুতীক্ষ্ণ শবদ্বারা তদীয় অশ্ব, ধ্বজ, ধনু, পাষ্ণি ও সারথি ছিন্নভিন্ন হইয়া গেল। ধনু ছিন্ন হইলে সত্যজিৎ অপর এক ধনু গ্রহণ করিলেন এবং রথে পুনর্বার অশ্বযোজনা করিলেন, কিন্তু তিনি অর্জনের সম্মুখে যাইতে সাহস করিতে পারিলেন না। দ্রুপদ তাহাকে যুদ্ধে পরাঙ্মুখ, দেখিয়া প্রবলবেগে অর্জুনের উপর শর বর্ষণ করিতে লাগিলেন। অর্জুনও দ্রুপদের সহিত ঘোরতর সংগ্রাম আরম্ভ করিলেন। পরে অর্জুন দ্রুপদের ধনু ও ধ্বজ ছেদনপূর্বক ভূতলে পাতিত করিয়া পাঁচ বাণহারা তদীয় অশ্ব ও সারথিকে বিদ্ধ করিলেন। তৎপরে ধনুর্বাণ পরিত্যাগ করিয়া করে করবাল ধারণপূর্বক সিংহনাদ করিতে লাগিলেন এবং অকুতোভয়ে স্বীয় রথ হইতে লম্ফ প্রদানপূর্বক পাঞ্চালরাজ দ্রুপদের রথে আরোহণ ও তাঁহাকে আক্রমণ করিলেন।

পাঞ্চালদেশীয় বীরপুরুষেরা দশ দিকে পলায়ন করিতে লাগিল। অর্জুন সৈন্যমধ্যে আপনার বাহুবল প্রদর্শন করিয়া সিংহনাদ পরিত্যাগপূর্বক তথা হইতে নিষ্ক্রান্ত হইলেন। রাজকুমারের অর্জুনকে সমাগত দেখিয়া সকলে সমবেত ভূইয়া দ্রুপদনগরী মর্দন করিতে আরম্ভ করিলেন। তখন অর্জুন ভীমকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, আৰ্য্য! রাজসত্তম দ্রুপদ কুরুবীরদিগের আত্মীয়, তাহার সৈন্য সংহার না করিয়া গুরুদক্ষিণা প্রদানের চেষ্টা করুন। মহাবল ভীমসেন এইরূপে নিবারিত হইয়া সৈম্যামর্দে ক্ষান্ত হইলেন। কিন্তু উপস্থিত যুদ্ধে কিঞ্চিত্র তৃপ্তিলাভ করিতে পারিলেন না। পরিশেষে তাহারা রণস্থল হইতে দ্রুপদরাজ ও তাঁহার সচিব উভয়কে গ্রহণ করিয়া আচার্য্য দ্রোণের নিকটে উপহার প্রদান করিলেন। দ্রোণাচাৰ্য দ্রুপদরাজকে ভগ্নদর্প, স্বতসৰ্বস্ব ও বশতাপম দেখিয়া পূর্ববের স্মরণপূর্বক কহিলেন, হে দ্রুপদরাজ! আমার আদেশানুসারে তোমার রাষ্ট্র ও নগরী বিমর্দিত হইয়াছে এবং তোমার জীবনও বিপক্ষ পক্ষের হস্তগত দেখ,এক্ষণে তুমি সখ্যতা সহকারে কি বাসনা কর? আমি তাহা সফল করিব। এই কথা কহিয়া দ্রোণ হাস্যমুখে পুনর্বার কহিলেন, হে বীর! তুমি প্রাণনাশের আশঙ্কা করিও না; আমর ক্ষমাশীল ব্রাহ্মণ, বিশেষতঃ শৈশবাবস্থায় তোমার সহিত এক আশ্রমে ক্রীড়া করিয়াছিলাম; সেই কারণে তোমার প্রতি আমার অন্তঃকরণে স্নেহ ও প্রীতি সঞ্চারিত হইয়া আছে। হে মহারাজ! তোমায় সহিত পুনরায় সখ্যভাব। সংস্থাপন করিবার বাসনা করি। এজন্য তোমাকে বরপ্রদান করিতেছি, আমার বরপ্রভাবে পুনর্বার রাজ্যার্ধ লাভ করিবে। তুমি পূর্বে কহিয়াছিলে যে, র ব্যক্তি রাজা নহে, সে রাজার সখা হইতে পারে না। হে সেন। এই কারণে তোমাকে পুনরায় রাজ্যার্থ প্রদান করিলাম। এক্ষণে তুমি ভাগীরথীর, দক্ষিণ কূলের অধিপতি হইলে এবং আমিও উত্তর কুল শাসনে প্রবৃত্ত হইলাম, যদি তোমার ইহাতে প্রবৃত্তি হয়, তবে আমার সহিত সখ্যতা কর। তদীয় বাক্য শ্রবণ করিয়া পদ কহিলেন, হে ব্ৰহ্মন্! প্রবল পরাক্রান্ত মহাত্মা ব্যক্তি যে এরূপ আচরণ করেন, ইহা নিতান্ত বিস্ময়কর নহে। আমি মহাশয়েয় বাক্যে পরম প্রীত হইলাম, অদ্যাবধি আমি নিত্যকাল আপনকার প্রসন্নতালাভের বাসনা করি।

অনন্তর দ্রোণাচাৰ্য দ্রুপদবাক্যে তুষ্ট হইয়া তৎক্ষণাৎ তাহাকে মোন করিয়া দিলেন এবং প্রসন্নমনে তাহাকে সৎকার করিয়া রাজ্যাদ্ধা প্রদান করিলেন। দ্রুপদ বিষণ্ণমনে গঙ্গার উপকুলে জনপদ-সম্পন্ন মাকলীনগরী ও কাস্পিল্যপুরী শাসন করিতে লাগিলেন। দ্রোণাচাৰ্য এইরূপে দ্রুপদকে পরাভব করিয়া চৰ্ম্মণ তী নদীপৰ্যন্ত দক্ষিণপাঞ্চালদেশ আপন অধিকারে আনিলেন। দ্রুপদ পরাভূত হইয়া আপনাকে অপেক্ষাকৃত নিতান্ত হীনবল বলিয়া বিবেচনা করিলেন এবং স্বীয় বলবীর্যে আচাৰ্য দ্রোণকে পরাজয় করা দুঃসাধ্য নিশ্চয় করিয়া অলৌকিক ব্ৰহ্মবলে পুত্রলাভ করিবার বাসনায় পৃথিবী পৰ্যটন করিতে লাগিলেন। এদিকে দ্রোণাচাৰ্য্য অহিচ্ছত্রানগরীর অধীশ্বর হইয়া রাজ্যশাসন ও প্রজাপালনে প্রবৃত্ত হইলেন। হে মহারাজ! এইরূপে অর্জুন জনপদসম্পন্ন অহিচ্ছত্রাপুরী জয় করিয়া দ্রোণাচাৰ্য্যকে প্রদান করিয়াছিলেন।