জল দাও

চৈত্রে ফেটেছে মাঠ; জৈষ্ঠ-আষাঢ়ও খরতাপে উজ্জ্বল,
দগ্ধ করেছে দেশ; এদিকে, শ্রাবণও নির্জলা; কোলাহল
শুনি মানুষের ‘জল দাও’।–শস্যের ভূমি আজ
কবরের মত উন্মুক্ত; যেন সবই মাটির কারুকাজ।

কে-বা দেবে জল; যতটুকু ছিল চোখের কোণায়
তাও যেন ধুয়ে গেছে বিগত বর্ষায়।

–ঘরে ঘরে তাই হাহাকার; পিপাসিত বিশ্বে আমি
ছুটি দিনান্তে-ঊষায়; ক্লান্তিহীন চলা শুধু পথে, পথে-পথে—
সূর্যের প্রচণ্ড দাবদাহে নদীও চৌচির; নামি
অবগাহনে, অতল হেডিসে। বেগার্ত জীবনের রথে
দগ্ধ জীবনের গান, শুনি প্রহরে প্রহরে;
অথচ দেখা নেই বৃষ্টির। এদিকে আকাশ,
হানে বাণ অগ্নির। আমাদের ধনধান্যেপুষ্পেভরা বাংলার ঘরে ঘরে
রোদনের ধ্বনি আর মাঠে মাঠে শ্বাপদের নিশ্বাস!

জল চাই, জল দাও আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে, দীর্ঘযাত্রায়
জল দাও আমাদের ঘরে ঘরে, তৃষিত বাংলায়।

১৪/৩/৮৩

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *