আমাদের গোপন আস্তানা

দেখুন মশায়, সময়ে অসময়ে আমার সঙ্গে
ইয়ার্কি মস্করা করবেন আ।

আপনি যা ভালো বোঝেন, করুণ
তাতে আমার কিসসু যায় আসে না।
আপনারও বয়স হচ্ছে, আমিও ছেলেপুলের বাপ; তাছাড়া
ইয়ার্কি-ফাজলামোরও তো একটা সীমা আছে; দেখুন
বেশি বাড়াবাড়ি করলে বিপদে পড়বেন; বলে দিচ্ছি।

যেদিকে যাচ্ছিলেন, যান;
যদি না যেতে চান; টু শব্দ করবেন না,
আমার সঙ্গে আসুন। আমি যা করি
শুধু দেখবেন। কোনো বাদ-প্রতবাদ কিংবা
জানতে চাইবেন না, কোনটি ভালো, কোনটি মন্দ : না,
সে হিসেব আপনার নয়।

এখন, আপনাকে একটি গোপন আস্তানায় নিয়ে যাচ্ছি—
এখানে বন্দুক কিংবা বুলেট
কিসসু তৈরী হয় না।

এখানে বোমা-টোমার কোনো কারখানা নেই
এখানে পোস্টার কিংবা ইস্তাহার বিলি হয় না,
এখানে নারী ও মদের কোনো ব্যবসা নেই;
এখানে আপনাকে দু’দণ্ড দাঁড়াতে হবে; এই যা।

আমাদের এই গোপন আস্তানা বুভুক্ষা ভূগোল নামে পরিচিত—
এখানকার জনগণ কিংবা বাসিন্দা, যাই বলুন
গনগনে আগুনের মধ্যে
রক্তকরবীর বীজ বুনে
নিশ্চিন্ত বসে আছে।

মশায়, আপনি দেখুন; দেখে
যেখানে যা খুশি বলবার বলুন :
“বুভুক্ষা ভূগোলের মানুষেরা
আমাদের সুরক্ষিত রাজভবনের দিকে
বিধ্বংসী ঝড়ের মতো সংঘবদ্ধ,
ক্রমশ ধাবমান”।

১৭/৩/৮৩

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *