বৈজয়ন্তী ওড়াও বিশ্ববাংলায়

যে বিশ্বাস নিয়ে একদিন
বৈজয়ন্তী উড়িয়েছে, সেই
একাগ্রতায়
এখনো আমি প্রতীক্ষমান।

আমাদের অবয়বে এখন, আপাতত
কোন দৃশ্য নেই; ভিতরে
বহ্নিমান শিখা, আর
রক্তফেন আক্রোশ
জেগে আছে।

তোমার দেখার চোখ দু’টোয়
আরো একটি চোখ
বসিয়ে দিতে চাই;

শিবনেত্র নয়, তৃতীয় চক্ষু দিয়ে
দেখে নাও, তোমার স্বদেশে
সহস্র রাবণ ও দুর্যোধন; এখনো
ছদ্মবেশে,
স্থির।

তোমার পায়ের তলা থেকে, মাটি
ধীরে ধীরে
সরে যাচ্ছে; তুমি
দিগন্তে তাকিয়ে
তারা-ছাওয়া সৌর-আকাশ
দেখছ।

যে অরিত্র নিয়ে, ঝঞ্চসাগর
পাড়ি দেবে, বলেছিলে; দ্যাখো
মাস্তুল ভেঙে আছে ডাঙায়।

দ্যাখো, দিকচত্রে আজ
ঊর্মির জোয়ার; অথচ তুমি
ক্ষিপ্ত ঈগলের মতো
আকাশ, শুন্যতা ঠোকরাও।

তবে কি সব আহুতি
বৃথা গেল, তোমাদের?

তোমার ভিতরে এক
শুদ্ধির সন্তান জেগে আছে, শুধু
একবার প্রজ্বলনে
উন্মোচিত হও।

আমি, মাটির মানুষ; তাই
আশাবাদী;–
স্ফুলিঙ্গ ও ভস্মে
অনাদি প্রেমিক্ল আমার স্বদেশের।

এসো, আমাদের বৈজয়ন্তী ওড়াও
ত্রিলোকে, আসমুদ্রহিমাচলে, আর
বিশ্ববাংলায়।

১৮/১০/৮৩

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *