৩২. যজ্ঞান্তে দুর্য্যোধনের স্বগৃহে গমন

রাজগণ নিজরাজ্যে করিল গমন।
ধর্ম্মরাজে কহিলেন দেব নারায়ণ।।
আজ্ঞা কর দ্বারকায় যাই মহাশয়।
তব যজ্ঞ পূর্ণ হৈল, মম ভাগ্যোদয়।।
অপ্রমাদে রাজ্য কর, পাল প্রজাগণ।
সুহৃদ কুটুম্ব লোক করহ পালন।।
এত বলি ধর্ম্ম সহ দেব নারায়ণ।
কুন্তীস্থানে গিয়া করিলেন নিবেদন।।
আজ্ঞা কর, যাই আমি দ্বারকা-ভুবনে।
হইল সাম্রাজ্য-লাভ তব পুত্রগণে।।
কুন্তী বলিলেন, তাত এ নহে অদ্ভুত।
যাহারে কিঞ্চিৎ দয়া করহ অচ্যুত।।
এত বলি কৃষ্ণশিরে করেন চুম্বন।
প্রণাম করেন হরি ধরিয়া চরণ।।
দ্রৌপদী সুভদ্রা সহ করি সম্ভাষণ।
একে একে সম্ভাষেণ ভাই পঞ্চজন।।
শুভক্ষণে রথে চড়ি যান দ্বারাবতী।
কৃষ্ণের বিচ্ছেদে দুঃখী ধর্ম্ম-নরপতি।।
হেনমতে নিজদেশে গেল সর্ব্বজন।
ইন্দ্রপ্রস্থে রহিল শকুনি দুর্য্যোধন।।
বাঞ্ছা বড় ধর্ম্মরাজ-সভা দেখিবারে।
কত দিন বঞ্চে তথা কুরু নৃপবরে।।
শকুনি সহিত সভা নিত্য নিত্য দেখে।
দিব্য মনোহর সভা অনুপম লোকে।।
নানারত্ন বিরচিত যেন দেবপুরী।
দেখিয়া বিস্ময়াপন্ন কুরু-অধিকারী।।
অমূল্য রতনে বিমণ্ডিত গৃহগণ।
এক গৃহ তুল্য নহে হস্তিনা-ভুবন।।
দেখি দুর্য্যোধনা রাজা অন্তরে চিন্তিত।
এক দিন দেখে তথা দৈবের লিখিত।।
মাতুল সহিত বিহরয়ে নরবর।
স্ফটিকের বেদী দেখে যেন সরোবর।।
জল জানি নরপতি গুটায় বসন।
পশ্চাতে জানিয়া বেদী লজ্জিত রাজন।।
তথা হৈতে কতদূরে গেল নরবর।
লজ্জায় মলিন মুখ কাপেঁ থর থর।।
স্ফটিক-মণ্ডিত বাপী ভ্রমে না জানিল।
স-বসন দুর্য্যোধন বাপীতে পড়িল।।
দেখিয়া হাসিল সবে যত সভাজন।
ভীম পার্থ আর দুই মাদ্রীর নন্দন।।
দেখিয়া দিলেন আজ্ঞা রাজা ভ্রাতৃগণে।
ধরিয়া তুলিল বাপী হৈতে দুর্য্যোধনে।।
সোদক বসন ত্যজি পরাইল বাস।
নিবৃত্ত করিল যত লোকজন হাস।।
অভিমানে কাপে দুর্য্যোধন-কলেবর।
বাহির হইব তব চিন্তিল অন্তর।।
ক্রোধেতে চলিল তবে গান্ধারী-কুমার।
ভ্রম হৈল দেখিবারে, না পায় দুয়ার।।
স্থানে স্থানে প্রাচীরেতে স্ফটিক-মণ্ডন।
দ্বার বোধে সেই দিকে চলে দুর্য্যোধন।।
ললাটে প্রাচীর বাজি পড়িল ভূতলে।
দেখিয়া হাসিল পুনঃ সভার সকলে।।
তাহা দেখি শীঘ্রগতি ধর্ম্মের কুমার।
নকুলে পাঠায়ে দিল দেখাইতে দ্বার।।
নকুল ধরিয়া হস্ত করিল বাহির।
অভিমানে দুর্য্যোধন কম্পিত শরীর।।
ক্ষণমাত্র তথায় না বিলম্ব করিল।
যুধিষ্ঠির-আজ্ঞা মাগি রথে আরোহিল।।
মাতুল সহিত তবে চলিল হস্তিনা।
ঘনশ্বাস হেঁটমাথা হইয়া বিমনা।।
যত যত শকুনি বলয়ে দুর্য্যোধনে।
উত্তর না পেয়ে জিজ্ঞাসিল ততক্ষণে।।
সঘনে নিশ্বাস কেন মলিন বদন।
অত্যন্ত চিন্তিত চিত্ত কিসের কারণ।।
দুর্য্যোধন বলে, মামা করহ শ্রবণ।
হৃদয় দহিছে মম এই অপমান।।
পাণ্ডবের বশ হৈল পৃথিবী-মণ্ডলে।
এক লক্ষ নরপতি রহে ছত্রতলে।।
ইন্দ্রের বৈভব জিনি কুন্তীর কুমার।
কুবেরের কোষ জিনি পূর্ণিত ভাণ্ডার।।
এ সব দেখিয়া মোর শুকাইল কায়।
সরোবর-জল যেন নিদাঘে শুকায়।।
আর দেখ আশ্চর্য্য মাতুল মহাশয়।
কীর্ত্তিশ্রেষ্ঠ করিলেক কুন্তীর তনয়।।
শিশুপালে বিনাশ করিল নারায়ণ।
কেহ এক ভাষা না কহিল রাজগণ।।
দ্বন্দ্ব করিবারে সবে আছিল সংহতি।
সে মরিলে লুকাইল সব নরপতি।।
পাণ্ডবের তেজে ছন্ন হৈল রাজগণে।
ক্ষত্র হৈয়ে সহে হেন কাহার পরাণে।।
আর অপরূপ তুমি দেখিলেক চোখে।
কত রত্ন লৈয়ে দ্বারে রাজগণ থাকে।।
বৈশ্য যেন কর লৈয়ে থাকে দাণ্ডাইয়া।
পশিতে না দেয় দ্বারে রাখে আগুলিয়া।।
এ সব দেখিয়া মম চিত্ত নহে স্থির।
অভিমানে শীর্ণ হৈল আমার শরীর।।
ভাই হইয়া ক্ষম মম নহিল সে রূপে।
দহিছে মাতুল অঙ্গ আমার এ তাপে।।
নিশ্চয় করিয়া আমি কহি যে তোমারে।
কিবা জলে পশি কিবা অনল ভিতরে।।
অথবা মরিব আমি খাইয়া গরল।
সহিতে না পারি, অঙ্গদহে চিন্তানল।।
বৈরীর সম্পদ যদি হীনলোকে দেখে।
সেহ সহিবারে নারে সদা পোড়ে শোকে।।
আমি হেন লোক হৈয়ে সহিব কেমনে।
এরূপ শত্রুর বৃদ্ধি দেখিয়া নয়নে।।
বলাধিক যুধিষ্ঠির আমি হীনবল।
সাগরান্ত ধরা তার অধীন সকল।।
কি কহিব মাতুল সকল দৈববশ।
কি কহিব রূপ গুণ সৌভাগ্য পৌরুষ।।
বনে জন্ম হৈল পঞ্চ পাণ্ডুর নন্দন।
হস্তিনা আইল যেন বনবাসী জন।।
পিতৃহীন দুঃখিত বঞ্চিত মম ঘরে।
কতেক উপায় করিলাম মারিবারে।।
কিছু না হইল তার আমার মায়ায়।
দিনে দিনে বৃদ্ধি যেন পদ্মবন প্রায়।।
দেখহ মাতুল হেন দৈবের কারণ।
এত হীন হৈল ধৃতরাষ্ট্র পুত্রগণ।।
পৃথার নন্দন হাসে আমাকে দেখিয়া।
কিমতে রাখিব তনু এ তাপ সহিয়া।।
এই সব কথা তুমি কহিও জনকে।
না যাইব গৃহে আমি, পশিব পাবকে।।
এতেক বলিল যদি রাজা দুর্য্যোধন।
শকুনি বলিল, ক্রোধ কর নিবারণ।।
যুধিষ্ঠিরে কদাচিত না হিংসিবে মনে।
তব প্রীতি সদা বাঞ্ছে ধর্ম্মের নন্দনে।।
যে কিছু বিভাগ দিলে করি বিবেচন।
তাহাতে সন্তুষ্ট হৈল ধর্ম্মের নন্দন।।
উপায় কতেক তুমি করিলে মারিতে।
তারা ধর্ম্ম হৈতে মুক্ত হইল তাহাতে।।
জতুগৃহে মুক্ত হৈয়ে পাঞ্চালেতে গেল।
সভামধ্যে লক্ষ্য বিন্ধি দ্রৌপদী পাইল।।
সহায় দ্রুপদ হৈল ধৃষ্টদ্যুন্ন বীর।
রাজ-চক্রবর্ত্তী হৈল রাজা যুধিষ্ঠির।।
সসাগরা পৃথিবী খাটিল ছত্রতলে।
যতেক করিল সব নিজ ভুজবলে।।
ইথে কেন তাপ তুমি করহ হৃদয়।
তব অংশ হৈতে তারা কিছু নাহি লয়।।
অক্ষয় যুগল তূণ গাণ্ডীব ধনুক।
এ সব পাইল তৃপ্ত করিয়া পাবক।।
অগ্নি হৈতে ময়েরে করিল পরিত্রাণ।
সে দিলেক দিব্য সভা করিয়া নির্ম্মাণ।।
নিজ পরাক্রমেতে করিল ক্রতুরাজ।
তুমি কেন তাপ তাহে কর হৃদিমাঝ।।
তুমিহ করহ যজ্ঞ নিজ ভুজ জোরে।
তুমি কিসে অসমর্থ কহ দেখি মোরে।।
কহিলে যে, কেহ নাহি আমার সহায়।
তোমা অনুগত যত, কহি শুন রায়।।
শত ভাই তোমার প্রচণ্ড মহারথা।
শত পুত্র প্রতাপের কি কহিব কথা।।
ভীষ্ম দ্রোণ কৃপ অশ্বত্থামা মহাবীর।
ভূরিশ্রবা সোমদ্ত্ত প্রতাপে মিহির।।
জয়দ্রথ বাহ্লীক ও আমরা থাকিতে।
তোমারে বধিতে কেবা আছে পৃথিবীতে।।
তুমিও পৃথিবী শাসি সঞ্চহ রতন।
কোন কর্ম্মে হীন তুমি, চিন্ত সে কারণ।।
দুর্য্যোধন বলে, আগে জিনিব পাণ্ডব।
পাণ্ডব জিনিলে মম বশ হৈবে সব।।
শকুনি বলিল, ভাল বিচারিলা মনে।
সংগ্রামে কে জিনিবেক পাণ্ডু-পুত্রগণে।।
পুত্র সহ দ্রুপদ সহায় নারায়ণ।
ইন্দ্র নারে জিনিবারে পাণ্ডুর নন্দন।।
জিনিবারে এক বিদ্যা আছে মম স্থান।
জিনিবারে চাহ যদি, লহ সেই জ্ঞান।।
দুর্য্যোধন বলে, কহ মাতুল সুমতি।
হেন বিদ্যা আছে যদি, দেহ শীঘ্রগতি।।
বিনা অস্ত্র প্রহারি পাণ্ডবদিগে জিনি।
কহ শীঘ্র মাতুল আনন্দ হৌক শুনি।।
শকুনি বলিল, এই শুন দুর্য্যোধন।
পাশায় নিপুণ নহে ধর্ম্মের নন্দন।।
তথাপিহ ইচ্ছা বড় পাশা খেলিবারে।
মোর সহ খেলি জিনে নাহিক সংসারে।।
ক্ষত্রনীতি আছে হেন যদ্যপি আহবয়।
কিবা দ্যূতে কিবা যুদ্ধে বিমুখ না হয়।।
কদাচিৎ যুধিষ্ঠির বিমুখ না হৈবে।
খেলিলে তোমার জয় অবশ্য হইবে।।
পিতারে এ সব কথা কহ গিয়া রেগে।
মম শক্তি নহিবে কহিতে তাঁর আগে।।
এইরূপ বিচার করিয়া দুই জনে।
হস্তিনা নগরে প্রবেশিল কতক্ষণে।।
ধৃতরাষ্ট্র-চরণে করিল নমস্কার।
আশিস্ করিয়া জিজ্ঞাসিল সমাচার।।
নিঃশব্দেতে রহিল নৃপতি দুর্য্যোধন।
কহিতে লাগিল তবে সুবল-নন্দন।।
জ্যেষ্ঠ পুত্র তব রায় সর্ব্বগুণবান।
হেন পুত্রে কেন তব নাহি অবধান।।
দিনে দিনে ক্ষীণ হয়, জীর্ণ শীর্ণ অঙ্গ।
রক্তহীন দেখি যে শরীর-বর্ণ পিঙ্গ।।
কি কারণে নাহি বুঝি হেন মনস্তাপ।
সঘনে নিশ্বাস, যেন দণ্ডাহত সাপ।।
ধৃতরাষ্ট্র বলে, কহ শুনি দুর্য্যোধন।
অঙ্গ তব হীনবল কিসের কারণ।।
শকুনি বলিল যত, শুনিনু শ্রবণে।
কি দুঃখ তোমার, নাহি লয় মোর মনে।।
কে আছে তোমার শত্রু, কার এত বল।
কোন সুখে হীন তুমি হইলে দুর্ব্বল।।
ধনে জনে সম্পদেতে কে আঁটে তোমায়।
কোনজন আছে হেন বীর বসুধায়।।
দিব্য ভক্ষ্য, দিব্য বস্ত্র, দিব্য আভরণ।
মনোহর গৃহ সব মণ্ডিত রতন।।
কি তব অসাধ্য, অনুশোচ কি কারণ।
এত শুনি কহিতে লাগিল দুর্য্যোধন।।
যে সকল ভুঞ্জি আমি ভোগের কারণ।
এত শুনি কহিতে লাগিল দুর্য্যোধন।।
সে সকল ভুঞ্জি আমি ভোগের কারণ।
অতি হীন জনের তা ভোগের বিধান।।
এই মনস্তাপ পিতা কর অবধান।
মৃত্যু নাহি, জিয়ে আছি, কঠিন পরাণ।।
শত্রুর সম্পদ পিতা দেখিয়া নয়নে।
নাহি হয় দেহ পুষ্ট, না তৃপ্তি ভোজনে।।
পাণ্ডবের লক্ষ্মী যেন দীপ্ত দিনকর।
সেই তাপে দহিতেছে মম কলেবর।।
পাণ্ডব-সম্পদ তুল্য নাহি দেখি শুনি।
কহিতে না পারি পিতঃ তাহার কাহিনী।।
অষ্টাশী সহস্র দ্বিজ নিত্য ভুঞ্জে গৃহে।
সুবর্ণের পাত্রে ভুঞ্জে, সুর মন মোহে।।
পৃথিবীর রাজগণ নানারত্ন লৈয়ে।
বৈশ্যগণ প্রায় থাকে দ্বারে দাণ্ডাইয়ে।।
এত রাজা রাজসূয় করিল যখন।
না জানি যে কত দ্বিজ করয়ে ভোজন।।
মুহূর্ত্তেকে পিতা এক লক্ষ দ্বিজ ভুজে।
এক লক্ষ পূর্ণ হৈলে এক শঙ্খ বাজে।।
হেনমতে মুহুমুর্হু বাজে শঙ্খগণ।
অহর্নিশি শঙ্খ বাজে, না যায় গণন।।
শঙ্খ-শব্দ শুনি মম চমকিত মন।
ধনের কতেক পিতা করিব বর্ণন।।
সে সব দেখিয়া চমৎকার লাগে মনে।
ইহার উপায় পিতা করহ আপনে।।
পাণ্ডবেরে জিনি, হেন যে থাকে উপায়।
বিনা দ্বন্দ্বে পারি, যদি আজ্ঞা কর রায়।।
পাশাক্রীড়া জানে ভাল মাতুল শকুনি।
পাশায় পাণ্ডব-লক্ষ্মী সব লৈব জিনি।।
এতেক শুনিয়া কহে অন্ধ নৃপবর।
বিদুরে জিজ্ঞাসি আমি কহিব উত্তর।।
বুদ্ধিদাতা বিদুর সে মন্ত্রী-চূড়ামণি।
মম অনুগত বড়, কহে হিতবাণী।।
তাঁরে না জিজ্ঞাসি আমি কহিবারে নারি।
করিবারে যদি হয়, তাঁর বাক্যে পারি।।
দুর্য্যোধন বলে, পিতা বিদুরে না কবে।
বিদুর শুনিলে সে এখনি নিবারিবে।।
তাঁর বাক্য শুনি তুমি করিবে অন্যথা।
আমার মরণ ইথে হইবে সর্ব্বথা।।
আমি মরি, বঞ্চ সুখে বিদুর সহিত।
পুত্র-বাক্যে অন্ধ রাজা হইল দুঃখিত।।
দুর্য্যোধন-মন বুঝি আশ্বাস করিল।
খেল পাশা, বলি তারে অন্ধ আজ্ঞা দিল।।
বহু স্তম্ভে বহু রত্নে কর এক ঘর।
চারি গোটা দ্বার তার কর পরিসর।।
নির্ম্মাণ করিয়া গৃহ কহিবে আমারে।
এত বলি শান্ত রাজা করিল পুত্রেরে।।
মহাবিচক্ষণ হয় বিদুর সুমতি।
জানিয়া অন্ধের স্থানে গেল শীঘ্রগতি।।
বিদুর বলিল, রাজা কি কর বিচার।
শুনি আজ্ঞা তব রহিতে নারিনু আর।।
পুত্রে পুত্রে ভেদ না করিহ কদাচন।
সর্ব্বনাশ করে দ্যূতে, জানে সর্ব্বজন।।
দৈবে যাহা করে, তাহা কে খণ্ডিতে পারে।
ধৃতরাষ্ট্র বলে, কিছু না বল আমারে।।
ভীষ্ম আর আমি থাকি ন্যায় বিচারিব।
কদাচিত পুত্রে পুত্রে দ্বন্দ্ব না করাব।।
পশ্চাৎ হইবে যেই আছয়ে নিয়ত।
দৈব বলবান যে না করে হেন মত।।
এখনি ত্বরিত তুমি ইন্দ্রপ্রস্থে গিয়া।
হেথাকারে যুধিষ্ঠিরে আনহ ডাকিয়া।।
ধর্ম্মরাজে না কহিবে এই বিবরণ।
এত শুনি ক্ষত্তা হৈল বিষণ্ণ-বদন।।
বিদুর কহিল, রাজা না কহিলা ভাল।
জানিলাম আজি হৈতে সর্ব্বনাশ হৈল।।
এত বলি বিদুর হইল ক্ষুন্নমতি।
ভীষ্ম-স্থানে জানাইতে গেল শীঘ্রগতি।।
সভাপর্ব্ব সুধারস, পাশা অনুবন্ধ।
কাশীরাম দাস কহে, পাঁচালি প্রবন্ধ।।