০০৪. সৌতির নিকটে শৌনকাদি ঋষির ভৃগুবংশ বিবরণ জিজ্ঞাসা

শৌনকাদি মুনিগণ নৈমিষ-কাননে।
দ্বাদশ বর্ষ যজ্ঞ করে একমনে।।
লোমহর্ষণের পুত্র সৌতি নাম-ধর।
ব্যাস-উপদেশে সর্ব্বশাস্ত্রেতে তৎপর।।
ভ্রমিতে ভ্রমিতে গেল নৈমিষ-কাননে।
সনকাদি মুনি যজ্ঞ করে সেইখানে।।
মুনিগণে প্রণমিল সূতের নন্দন।
আশীর্ব্বাদ করি সবে দিলেন আসন।।
আসনে বসিলে সৌতি কন মুনিগণ।
কোথা হতে হৈল সৌতি তব আগমন।।
কোথায় বা এতকাল করিলা যাপন।
সবিস্তারে কহ সবে করিব শ্রবণ।।

মুনিগণ-প্রশ্ন শুনি সূতের কুমার।
সবিনয়ে করপুটে কহেন বিস্তার।।
মহারাজ জন্মেজয় পরীক্ষিৎ-পুত্র।
সর্প-কুল বিনাশার্থে কৈলা সর্প-সত্র।।
সেই যজ্ঞে মুনিশ্রেষ্ঠ শ্রীবৈশম্পায়ন।
ব্যাস-বিরচিত কথা করান শ্রবণ।।
বিস্তারে শ্রবণ করে ভারত-আখ্যান।
যাহার শ্রবণে নর পায় দিব্যজ্ঞান।।
নানা তীর্থ পর্য্যটন করি অবশেষে।
উপনীত হইয়াছি তোমা সবা পাশে।।
সূর্য্যাগ্নির সমতেজা, তোমা সবা জনে।
ব্রহ্মরূপে অবতীর্ণ নৈমিষ-কাননে।।
ধর্ম্ম-ইতিহাস কিম্বা পুরাণ-কাহিনী।
শ্রবণে মানস কিবা কহ মহামুনি।।
আদেশ করুন আমি করিব কীর্ত্তন।
যাহার শ্রবণে সর্ব্বপাপ-বিমোচন।।
সৌতির বচন শুনি কন মহামুনি।
তত তাত সূত ছিলা সর্ব্বশাস্ত্র-জ্ঞানী।।
নানা চিত্র বিচিত্র কথন পুরাতন।
সূত-মুখে বহুশাস্ত্র করেছি শ্রবণ।।
তাঁর পুত্র তুমি হে জিজ্ঞাসি সে কারণ।
কি জানহ কহ তুমি করিব শ্রবণ।।
ভৃগুবংশ উৎপন্ন হইল কি রূপেতে।
বিস্তার করিয়া কহ সবার অগ্রেতে।।