শকুন্তলা

বিশ্বামিত্র মুনি ও অপ্সরা মেনকার কন্যা। মাতা মেনকা জন্মের পর ওঁকে মালিনী নদীর তীরে ফেলে রেখে চলে যান। পরে কণ্ব মুনি ওঁকে দেখতে পেয়ে নিজের দুহিতার মত পালন করেন। নদী তীরে পক্ষীরা (শকুন্ত) ওঁকে বন্যজন্তুদের কাছ থেকে রক্ষা করেছিল বলে ওঁর নাম শকুন্তলা রাখা হয়। রাজা দুäমন্ত মৃগয়াতে এসে কন্বমুনির আশ্রমে শকুন্তলার দেখা পান ও তাঁর রূপে মু±ধ হয়ে বিবাহ করতে চান। শকুন্তলা বিবাহ করতে রাজি হন এই সর্তে যে,তাঁর গর্ভজাত পুত্র দুäমন্তের অবর্তমানে সিংহাসনে বসবেন। দুäমন্ত তাতে স্বীকৃত হয়ে ওঁকে নির্জনে গান্ধর্ব মতে বিবাহ করেন। তারপর ওঁকে নিয়ে যাবার জন্য পরে চতুরঙ্গিনী সেনা পাঠাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজের প্রাসাদে ফিরে যান। যথা সময়ে শকুন্তলার নামে একটি পুত্র হয়,কিন্তু শকুন্তলাকে নিয়ে যেতে রাজপুরী থেকে কেউই এলো না। পুত্র একটু বড় হলে কণ্ব মুনির নির্দেশে শকুন্তলা সপুত্র নিয়ে দুäমন্তের কাছে যান। দুäমন্ত শকুন্তলাকে না চেনার ভান করে অপমানজনক নানান কথা বললেন। শকুন্তলা সেই সব শুনে যখন রাগ করে চলে যাচ্ছেন,তখন অন্তরীক্ষ থেকে দৈববানী হল যে,শকুন্তলা যা বলছেন তা সত্যি,দুäমন্তই এই পুত্রের পিতা এবং এর নাম হবে ভরত। এটা শোনা মাত্র দুäমন্ত শকুন্তলাকে গ্রহণ করলেন। এই ভরতই কৌরব ও পাণ্ডবদের একজন পিতৃপুরুষ।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *