বিভাণ্ডক

বিখ্যাত ঋষি। উর্বশীকে দেখে কামাবিষ্ট হয়ে ওঁর শুক্র স্খলন হয়। জলের সঙ্গে সেই শুক্র এক তৃষিতা হরিণী পান করায় ওঁর পুত্র ঋষ্যশৃঙ্গের জন্ম গ্রহণ হয়। অঙ্গরাজ লোমপাদকে এক মুনি বলেছিলেন যে, ঋষ্যশৃঙ্গ যদি অঙ্গদেশে আসেন তাহলে বৃষ্টিহীন অঙ্গদেশে আবার বারিবর্ষণ শুরু হবে। সেই শুনে রাজা লোমপাদ সুন্দরী বেশ্যাকন্যাকে দিয়ে ঋষ্যশৃঙ্গকে প্রলোভিত করে অঙ্গদেশে নিয়ে এলেন। ঋষ্যশৃঙ্গ আসতেই অঙ্গদেশে আবার বৃষ্টিপাত শুরু হল এবং লোমপাদ তাঁর কন্যাকে ঋষ্যশৃঙ্গের হাতে সম্প্রদান করলেন। পুত্রকে আশ্রমে না দেখে বিভাণ্ডক অনুমান করলেন যে,লোমপাদ তাঁর পুত্রের এই অন্তর্ধানের সঙ্গে জড়িত। তখন ক্রুদ্ধ হয়ে তিনি অঙ্গরাজধানী চম্পার অভিমুখে যাত্রা করলেন। পথে এক গোপপল্লীতে যখন বিশ্রাম করছেন – তখন কথা প্রসঙ্গে তিনি জানলেন যে, সেখানকার সব পশু ও কৃষিক্ষেত্র ওঁর পুত্রের অধিকারে। তাতে তাঁর ক্রোধ দূর হল। তিনি রাজধানীতে এসে পুত্র ও পুত্রবধুকে দেখে তুষ্ট হলেন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *