পুত্র

– অপবিদ্ধ
মাতাপিতা উভয়ের (বা একের) পরিত্যক্ত অন্য কর্তৃক পুত্রভাবে গৃহীত পুত্র।

– অম্বষ্ঠ
ব্রাহ্মণ পিতা ও বৈশ্য মাতার পুত্র। এঁদের পিতা ও মাতা ভিন্ন বর্ণের বলে এঁদের বর্ণসঙ্কর বলা হত।

– উগ্র
ক্ষত্রিয় পিতা ও শূদ্র মাতার পুত্র। পিতা ও মাতা ভিন্ন বর্ণের বলে এঁদের বর্ণসঙ্কর বলা হত।

– করণ
বৈশ্য পিতা ও শূদ্রা মাতার পুত্র। পিতা ও মাতা ভিন্ন বর্ণের বলে এঁদের বর্ণসঙ্কর বলা হত।

– কানীন
কুমারী অবস্থায় জাত পুত্র।

– ক্রীত
মূল্য দিয়ে অন্যের যে পুত্রকে ক্রয় করা হয়েছে।

– কৃত্রিম
বস্ত্র-কাষ্ঠ দিয়ে নির্মিত পুত্র।

– ক্ষেত্রজ
পত্নীতে দেবর, সপিণ্ড বা সগোত্র থেকে শাস্ত্রানুসারে জাত পুত্র। যদিও মহাভারতের বহু কাহিনীতে ব্রাহ্মণরা সগোত্র না হয়েও ক্ষত্রিয়া নারীদের গর্ভে শাস্ত্রমতেই তাঁদের পতিদের জন্য ক্ষেত্রজ পুত্র উৎপাদন করেছেন।

– গূঢ়োৎপন্ন
ভর্তৃগৃহে পরপুরুষের গূঢ় (গুপ্ত) সংসর্গে উৎপন্ন পুত্র। এই পুত্র স্বৈরিনীদের গর্ভে হয় বলে এদের স্বৈরিনীজও বলা হয়।

– চণ্ডাল
শূদ্র পিতা ও ব্রাহ্মণ মাতার পুত্র। বধার্হ ব্যক্তিদের হত্যা করা ছিল এঁদের কাজ। পিতা ও মাতা ভিন্ন বর্ণের বলে এঁদের বর্ণসঙ্কর বলা হত।

– দত্ত
বিনামূল্যে অন্যের কাছ থেকে যে পুত্র লাভ হয়েছে।

– নিষাদ
শূদ্র পিতা ও ক্ষত্রিয় মাতার পুত্র। এঁরা ছিলেন মত্সজীবি। পিতা ও মাতা ভিন্ন বর্ণের বলে এঁদের বর্ণসঙ্কর বলা হত।

– পারশব
ব্রাহ্মণ পিতা ও শূদ্র মাতার পুত্র। পিতা ও মাতা ভিন্ন বর্ণের বলে এঁদের বর্ণসঙ্কর বলা হত।

– পৌনর্ভব
বিধবা বা পতি পরিত্যক্তা স্ত্রী স্বেচ্ছায় অন্যের ভার্যা হয়ে যে পুত্র উৎপাদন করে।

– বন্দী
বৈশ্য পিতা ও ক্ষত্রিয় মাতার পুত্র। এঁরা ছিলেন বাক্যজীবি। পিতা ও মাতা ভিন্ন বর্ণের বলে এঁদের বর্ণসঙ্কর বলা হত।

– ব্রাত্য
শূদ্র পিতা ও ক্ষত্রিয় মাতার পুত্র। এঁরা ছিলেন মত্সজীবি। পিতা ও মাতা ভিন্ন বর্ণের বলে এঁদের বর্ণসঙ্কর বলা হত।

– মাহিষ্য
ক্ষত্রিয় পিতা ও বৈশ্য মাতার পুত্র। পিতা ও মাতা ভিন্ন বর্ণের বলে এঁদের বর্ণসঙ্কর বলা হত।

– মূর্ধাভিষিক্ত
ব্রাহ্মণ পিতা ও ক্ষত্রিয় মাতার পুত্র। পিতা ও মাতা ভিন্ন বর্ণের বলে এঁদের বর্ণসঙ্কর বলা হত।

– মৌদগল্য
বৈশ্য পিতা ও ব্রাহ্মণ মাতার পুত্র। অন্তঃপুর রক্ষণাবেক্ষণ করাই এঁদের প্রধান কাজ ছিল। পিতা ও মাতা ভিন্ন বর্ণের বলে এঁদের বর্ণসঙ্কর বলা হত।

– সহোঢ়
বিবাহকালে যে পুত্র গর্ভাবস্থিত ছিল, সেই পুত্র।

– সূত্রধর
শূদ্র পিতা ও বৈশ্য মাতার পুত্র। এঁদের থেকে ব্রাহ্মণরা কোনও দান গ্রহণ করতেন না। পিতা ও মাতা ভিন্ন বর্ণের বলে এঁদের বর্ণসঙ্কর বলা হত।

– সূত
ক্ষত্রিয় পিতা ও ব্রাহ্মণ মাতার পুত্র। রাজাদিদের স্তব পথ করা সূতদের প্রধান কাজ ছিল। পিতা ও মাতা ভিন্ন বর্ণের বলে এঁদের বর্ণসঙ্কর বলা হত।

– স্বয়াংজাত
পতির ঔরসজাত পুত্র।

– স্বয়ংদত্ত
মাতৃপিতৃহীন বা দ্বেষাদি হেতু মাতৃপিতৃ পরিত্যক্ত পুত্র যদি স্বয়ং আপনাকে দান করে, তবে সে গ্রাহীতার স্বয়ংদত্ত পুত্র হয়।

– স্বৈরিনীজ
ভর্তৃগৃহে পরপুরুষের গূঢ় (গুপ্ত) সংসর্গে উৎপন্ন পুত্র। এই পুত্র স্বৈরিনীদের গর্ভে হয় বলে এদের স্বৈরিনীজও বলা হয়।

– হীনযোনীধৃত
নীচশ্রেনীর গর্ভজাত। সাধারণত দ্বিজ হতে শুদ্রাজাত পুত্র।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *