ত্রিশঙ্কু

ইক্ষাকুবংশীয় রাজা। সশরীরে স্বর্গে যাবার জন্য যজ্ঞ করতে চাইলে রাজগুরু বশিষ্ঠ তাতে পৌরহিত্য করতে অসন্মত হন। ত্রিশঙ্কু তখন গুরুপুত্রদের কাছে যান। পিতার কাছে প্রত্যাখ্যাত হওয়া সত্বেও ওঁদের কাছে এসেছেন বলে,বশিষ্ঠ-পুত্ররা ক্রুদ্ধ হয়ে ওঁকে শাপ দেন। গুরুকর্তৃক অভিশপ্ত ও বন্ধুবান্ধব পরিত্যক্ত এই রাজার যজ্ঞে বিশ্বামিত্র পৌরহিত্য করতে সন্মত হন। স্বীয় তেজবলে বিশ্বামিত্র ত্রিশঙ্কুকে স্বর্গারোহনে পাঠাতেই স্বর্গে দেবতারা ত্রিশঙ্কুকে বলেন যে স্বর্গে আসার অধিকার ওঁর হয় নি – ওঁকে আবার মর্তে ফিরে যেতে হবে। ত্রিশঙ্কু যখন মর্তে নেমে আসছেন, তখন বিশ্বামিত্র আপন তেজবলে মাঝপথে ওঁকে থামিয়ে দেন। বশিষ্ঠপুত্ররা বিশ্বামিত্রকে এই যজ্ঞে পৌরহিত্য করার জন্য অভিশাপ দিয়েছিলেন। বিশ্বামিত্র ইন্দ্রের তপস্যা করে সেই অভিশাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করে ত্রিশঙ্কুর সংকট-মোচন করেছিলেন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *