উতত্থ্য

অঙ্গিরার পুত্র। চন্দ্রের কন্যা সঙ্গে যখন উতথ্যের বিবাহ হল, তখন বরুণ খুব দুঃখিত হয়েছিলেন। কারণ বরুণের বহুদিনের ইচ্ছা ছিল চান্দ্রেয়ীকে বিবাহ করার। একদিন চান্দ্রেয়ী যখন যমুনায় স্নান করছেন, তখন বরুণ সুযোগ পেয়ে চান্দ্রেয়ীকে জোর করে জলের ভেতরে ওঁর নিজের পুরীতে নিয়ে গেলেন। সেই অপূর্ব সুন্দর পুরীতে তিনি চান্দ্রেয়ীর সঙ্গে পরম সুখে দিন যাপন করতে লাগলেন। দেবর্ষি নারদ সেই খবর জেনে উতথ্যকে অপ্রিয় সংবাদটি দিলেন। উতথ্য নারদকে বললেন বরুণকে গিয়ে বলতে যে,বরুণ লোকপালক হয়ে এই অন্যায় কাজ কেন করেছেন। চান্দ্রেয়ী উতথ্যের ভার্যা,ওঁকে অবিলম্বে উতথ্যকে প্রত্যর্পণ করতে। নারদ সঙ্গে সঙ্গে বরুণকে গিয়ে উতথ্যের কথাগুলি জানালেন। বরুণ নারদকে বললেন উতথ্যকে গিয়ে বলতে যে,সুন্দরী চান্দ্রেয়ী বরুণের প্রিয়া, তাঁকে বরুণ পরিত্যাগ করতে রাজি নন। নারদ ফিরে এসে উতথ্যকে বললেন যে, তিনি বরুণকে বোঝাবার অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বরুণ উতথ্যের ভার্যাকে প্রত্যর্পণ করতে রাজি নন। উতথ্য সেই শুনে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে পৃথিবীর সমস্থ জল পান করতে শুরু করলেন। বরুণকে সুহৃদরা উপদেশ দিলেন চন্দ্রের কন্যাকে পরিত্যাগ করতে,কিন্তু বরুণ সন্মত হলেন না। কিন্তু উতথ্য যখন বরুণের পুরীর ভেতরের হ্রদগুলিকেও জলশূন্য করতে শুরু করেছেন, তখন বরুণ ভীত হলেন। চান্দ্রেয়ীকে নিয়ে এসে উতথ্যকে দিয়ে ক্ষমা চাইলেন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *