রক্তে কখন

পুষ্পমদির রক্তে কখন লক্ষ পাখি ডেকে ওঠে,
চমকে উঠি বনতরাসে।
এই নাগরিক ফ্ল্যাটে হঠাৎ কেন বনের দীর্ঘ ছায়া
এমন করে দিচ্ছে হানা অবিরত?

মনের ভেতর ঝোপের পাতা সুদূর কোনো
পিতামহের কণ্ঠস্বরে
বলে কথা,
বাকল-পরা দূরবাসিনী, ভাষাহীনা বন্যপশুর
চর্বি-গলা আলোয় হাসে।
ভব্য আমি ট্রাউজারে আর ঝোপকামিজে।

কথায় কেমন হিসেব-টিসেব থাকে গাঁথা;
পথের মোড়ে ক্ষণেক দাঁড়াই,
চেনা-জানা কাউকে দেখে মৃদু হেসে
হাতটি বাড়াই, যেন হঠাৎ
ভাড়া-করা উষ্ণতাকে জিইয়ে রেখে,
সিগারেটের ভস্ম ঝরে যথারীতি।

কিন্তু তবু কখন যেন বেলাবেলি
কী ঘটে যায়,
অচেনা কেউ গৃহহারা

সামনে দাঁড়ায় মুখোমুখি-
রক্ত তখন ‘হে প্রবাসী কখন এলে?’-
বলেই ওহো খলখলিয়ে
হেসে ওঠে।

আমাকে সেই পান্থ কেবল বনবাদাড়ে
টেনে বেড়ায়।
খানাখন্দে পড়তে পড়তে সামলে উঠি।
দৈবক্রমে।
হায়রে তবু মনের বিষম অন্ধকারে
দৈব টৈব মারে উঁকি।

এমন ধন্দে কে ছড়াল হাতের আলো?
কোন সে পান্থ সতর্কতায় ঝলমল?
অবাক-মানা চক্ষু মেলে দেখি এসে দাঁড়িয়ে আছে মুখোমুখি
রুক্ষ পথে নগ্ন পায়ে
ভালবাসা।