মানবাবধিকার

এটা-সেটা নেই বলে হাপিত্যেশ করি না তেমন
যখন-তখন কিংবা দুর্দশায় হারমোনিয়াম
সোৎসাহে ঝুলিয়ে কাঁধে গাইনে কাঁদুনি। এখনও তো
ওপরে আছে চন্দ্র-সূর্য, তাদের দাক্ষিণ্যে পাই
রৌদ্র জ্যোৎস্না এবং দিচ্ছেন ছায়া বৃক্ষ যথারীতি।
একটু-আধটু স্বপ্ন অথবা দুঃস্বপ্ন নিয়ে কাটে
রাত্রিদিন। চুপাচাপই থাকি, অধিকার চেতনায়
দেয়ালে দেয়ালে আমি সাঁটি না পোস্টার। ইস্তাহার
নিষিদ্ধ পুস্তিকা ইতস্তত করি নাকো বিলি কিংবা
পুলিশের টুপি পদদলিত করি না, চৌরাস্তায়
পোড়াই না বাস আর গুম খুনে অনাগ্রহী খুবই।

পিঁপড়েও নিশ্চিন্ত ঘোরে, নইতো সশস্ত্র নিধিরাম।
জীবনকে বিশদ চড় ইভাতি ভেবে কোজাগরি
পূর্ণিমায় চাইনে বাংলোয় করতে নরক গুলজার
অথবা মুরগির ঠ্যাং চিবুতে চিবুতে অকস্মাৎ
ভাবাবেশে চাইনে লুটিয়ে পড়তে টেবিলের নিচে
কিংবা হুররে পারমিটের জোয়ারে পালতোলা মাতোয়ারা
পানসি ভাসাতে কোনোদিন। রাতরাতি ঘোর কালো।

বাজারে চমকপ্রদ লাল হতে চাইনে কখনও।
চাইনে শাওয়ার খুলে চন্দন সাবানে প্রতিদিন
গা ধুয়ে ফুরফুরে ফুলবাবু সেজে বাগান বাড়ির
ফটক পেরিয়ে যেতে- এইসব চাইনে কিছুই।
শুধু চাই বংশানুক্রমিকভাবে নির্বিঘ্নে আকাট
মূর্খ হয়ে থাকার কৃপণ ডাস্টবিনে কুকুরের
অস্থিসার প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার এবং অনাহারে
যত্রতত্র মরণ করবার অধিকার।