কতদিন

কতদিন দু’দিন তিন দিন কেটে যায়, কেটে যায়, কেটে যায়
এবং আমাকে কাটে রেজরের ভীষণ শীতল
তীক্ষ্ণতায়। একদিন দু’দিন তিন দিন কেটে যায়, তবু তুমি
আসো না এখানে, দাড়াও না দরজা ঘেঁষে অথবা কপাল থেকে
সরিয়ে বেয়াড়া চুল বলো না, কেমন আছো? তুমি কি কখনও
আসবে না আর? দ্যাখো, নিঃসঙ্গতা সকৌতুক দেয়
বাড়িয়ে আমার দিকে পানপত্র তার আর আমি
আকণ্ঠ করছি পান। এই তো এখানে হাত রাখি, তপ্ত হাত,
শয্যায় চেয়ারে কিংবা দেয়ালে, উঠোনে চারাগাছে-
কোথাও পাই না খুঁজে ঝলসিত তোমার শরীর।
হতাশার কিরিচের মুখোমুখি রয়েছি দাঁড়িয়ে,
যেন-বা তরুণ কোনো পাতে বুক অত্যাচারী সঙিনের মুখে।
এখানে আসে না বলে এ ঘর কবর আরম ঘাসে
ঘাসে ছাওয়া, রিক্ত হাওয়া কেবলি মর্শিয়া গায়, প্রাচীন কঙ্কাল
অদ্ভুত স্লোগান হাঁকে। পাঁজরে উইয়ের ঝাঁক কী ব্যস্তবাগীশ।

যখন এ ঘরে পড়ে তোমার পায়ের ছাপ, পুরনো চৌকাঠ
খিল খিল হেসে ওঠে, নিমেষে নর্তকী হয় জানালার পর্দা,
আমি নিজে হয়ে যাই জন্মদিন-দীপাবলি, চন্দ্রিল সোনাটা,
বানায় উদ্যান এক অগোচরে। অথচ যখন চলে যাও
আমার হৃদয় হয় শীতাক্রান্ত সন্ধ্যার শ্মশান।