হাসপাতালের সামনে

হাসপাতালের সামনে

 মজনু বলল, রতনারে হাসপাতালে আনল কে রে?

ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঢোকার মুখে গাড়িবারান্দার মতো একটা জায়গা। মাথার ওপর ছাদটা উত্তর দক্ষিণে খোলা। এ্যাম্বুলেন্সগুলো এসে জায়গাটায় মুহূর্তের জন্যে দাঁড়ায়। রোগী থাকলে নামিয়ে দিয়ে যায়।

বারান্দাটার পশ্চিম দিকে পাঁচ ধাপ সিঁড়ি। সেই সিঁড়ি ভেঙে হাসপাতালে ঢুকতে হয়। সিঁড়ির ঠিক উল্টোদিকে মাঝখানে দুটো গাড়ি পাশাপাশি দাঁড়াতে পারে এমন জায়গার পর উঁচু একটা বেদি। ওরা তিনজন বসেছিল বেদিটার ওপর। এখন ঝাঁ ঝাঁ দুপুর। হাসপাতালে ঢোকার মুখে টুল নিয়ে বসে। লোকজন বলতে গেলে নেই এই সুযোগে দারোয়ান লোকটা টুলে বসে ঢুলছে।

মজনু আড়চোখে দারোয়ানটার দিকে একবার তাকিয়ে আবার জিজ্ঞেস করল, ওই খোকা, রতনারে হাসপাতালে আনল কে?

খোকা ততক্ষণে হাতের কাজ প্রায় গুছিয়ে এনেছে। এতক্ষণ ধরে, তিনটে স্টার সিগ্রেট থেকে সুকা বের করেছে বাচ্চু। সাদা খালি তিনটা সিগ্রেটের খোসা পড়ে আছে ওদের মাঝখানে। সুকাগুলো স্তূপ করা খোসার পাশে। সুকার স্তূপ থেকে খানিকটা হাতের তালুতে নিয়ে, পকেট থেকে গাঁজার একটা পুরিয়া বের করে দুটো জিনিসের চমৎকার মিশেল দেয়ার কাজটা সেরে ফেলেছে খোকা। এখন সে আর বাচ্চু মিলে সিগ্রেটের খালি খোসায় ভরার কাজ বেশ যত্নে করে যাচ্ছে। এই কাজে মজনুর হাত খুব সূক্ষ্ম নয় বলে খোকা এবং বাচ্চু ওকে কখনও হাত লাগাতে দেয় না। রতনা তো গাঁজা বানানোর সময়। মজনুকে দেখলেই রেগে যেত। বাঞ্চোত গালটা রতনার খুব প্রিয়। গাঁজা বানানোর সময়। প্রায়ই গাঁজাটা সে মজনুকে দিত। আজ রতনা নেই সুতরাং গালটা মজনুর একবারও খেতে হয়নি।  

বেদিতে বসে পা দোলাতে দোলাতে মজনু খোকা আর বাচ্চুকে গাঁজা বানাতে দেখে পর পর দুবার রতনার ব্যাপারে একই প্রশ্ন করল।

গাঁজা ভর্তি সিগ্রেটগুলোর মুখ তখন ম্যাচের কাঠি দিয়ে ঠেসে দিচ্ছিল খোকা। মজনুর কথার সে কোনও জবাব দেয় না দেখে বাচ্চু বলল, রতনার বাপেই আনছে।

কচ কী?

হ।

বাপের লগে না রতনার দুশমনি।

খোকা তখন দুহাতের তালু একত্র করে চটাপট শব্দে হাত থেকে গাঁজা এবং সিগ্রেটের সুকার লেগে থাকা টুকরাটাকরা পরিষ্কার করে খেঁকিয়ে ওঠে, বাপের লগে দুশমনি থাকব না তো দুসতি থাকবনি বে? ওই হালায় কি রতনার আপন বাপ? আছিল তো রাজাকার। স্বাধীনের পর আমাগ হাতে-পায়ে ধইরা জান বাঁচাইছে। মহল্লার মানুষ দেইখা আমরা হালারে ছাইরা দিছিলাম। রতনা ছাড়তে চায় নাই। রতনার আসল বাপরে তো পাকিস্তানীরা মাইরা হালাইছিল। পরে দেহি এই হালা রাজাকারের বাচ্চার লগে রতনার মার পিরীত। বাচ্চু বলল, ওই খোকা, রতনার মায় রতনার বাপের থিকা বড় হইব না?

শুনে মজনু খিক খিক করে হেসে ওঠে। তারপর খাকি রঙের ধুলোমলিন প্যান্টের ভেতর। হাত ঢুকিয়ে তলপেটের নিচটা ঘচর ঘচর করে চুলকাতে থাকে। চুলকানির যন্ত্রণা ও সুখ মিলেমিশে মজনুর ভাঙাচোরা রুক্ষ্ম, দাড়িগোঁফে একাকার মুখটা বিকৃত করে তোলে।

খোকা বসেছিল আসনপিড়ি করে। চোখ দুটো মরামাছের চোখের মতো তার। মাথায় পুরোনো দরদালানের আনাচে-কানাচে যেমন ঝুলে থাকে মাকড়সার জাল তেমন না সাদা না কালো লম্বা ঝকরমাকর চুল। লম্বাটে মুখে, ঠোঁটের ওপর গুটিকয়, থুতনিতে গুটিকয় দাড়ি গোফ। মহল্লায় খোকার আরেক নাম মাকুন্দা খোকা। খোকার পরনে ছিল হাফহাতা নীল পলিয়েস্টারের একটা শার্ট, নীল প্যান্ট। কতকাল ধোয়া হয়নি কে জানে, আসলে রঙটা মুছে গেছে। গাঁজা ভর্তি সিগ্রেট ধরিয়ে খোকা বলল, হ, রতনার মার টাইমলি বিয়া অইলে রতনার বাপের সমান পোলা থাকত। এ কথায় মজনু আবার হাসে।

বাচ্চু বলল রতনার মায় হালায় কেমুন মানুষ! এত বড় একখান পোলা থাকতে কেডা আবার বিয়া বয়।

সিগ্রেট খুব লম্বা একটা টান দিয়ে পুরো ধোঁয়াটা বুকে আটকে রেখে সিগ্রেটটা বাছুর হাতে দেয় খোকা। তারপর কোঁৎ করে একটা ঢোক গিলে ধোয়াটা পুরো হজম করে বলে, এর লেইগাই রতনা হালায় বরবাদ অইয়া গেল।

খোকার কায়দায় বাচ্চুও লম্বা টান দিয়ে সিগ্রেটটা দিল মজনুর হাতে। তারপর বলল, রতন একলা বরবাদ হহছেনি? আমরা হই নাই?

কথাবলার ফাঁকে ফাঁকে বাচ্চুর নাক মুখ দিয়ে গল গল করে ধোয়া বেরোয়। ফলে চারপাশের হাওয়া গাঁজার গন্ধে ভরপুর হয়ে ওঠে। খোকার মতো ধোয়া হজম করাটা এখনও রপ্ত করতে পারেনি বাচ্চু।

মজনুর হাতেই শেষ হয়ে আসছিল সিগ্রেটটা। প্রথমটা শেষ হয় এইভাবেই। সবাই এত বেশি তৃষ্ণার্ত থাকে, একেকটা টান হয় তিন চারটে টানের সমান। পরেরগুলো আবার এত দ্রুত শেষ হবে না। তবুও তিনটে সিগ্রেট আধ ঘণ্টা খানেক কেটে যাবে। তারপর আবার বানানো হবে তিনটে। মোট সিগ্রেট এক প্যাকেট। মোট পুরিয়া তিনটে। এতেই চালাতে হবে আজকের দিন। এটুকুর জন্যে চার পাঁচ টাকা যোগাড় করেই জান বেরিয়ে গেছে ওদের। সারাটা সকাল ঘুরে বেড়াতে হয়েছে তিনজনকে। নয় তো রতনাকে দেখতে সকালবেলাই হাসপাতালে আসতে পারত ওরা। খবরটা তো পেয়েছিল সকালবেলাই। রতনাদের মহল্লার পাশ দিয়ে গেছে ময়লা নোংরা একটা খাল। সেই খালপাড়ে আছে পুরোনো কালের ভাঙাচোরা এক মন্দির। সেই মন্দিরের চত্বরে এসে সকালবেলা বসে এই চার যুবক। তারপর দিনমান আড্ডা মারে, গাঁজা খায়। এক টাকা দুটাকা করে প্রতিদিনই যোগাড় করে আনে ওরা। গাঁজা কেনে, সিগ্রেট কেনে। দিন চলে যায়। আজ সকালবেলা একে একে ওরা তিনজন এসেছে। রতনা আসেনি। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে ওরা গেছে রতনাদের বাড়ি। গিয়ে শুনেছে। রতনাকে কালরাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রতনা তিরিশ-চল্লিশটা স্লিপিং ট্যাবলেট খেয়েছে। শুনেই মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল ওদের। তখুনি হাসপাতালের দিকে রওনা দিয়েছে ওরা। উদভ্রান্তের মতো। কিন্তু একটিও পয়সা ছিল না কারো কাছে। একদিকে রতনার জন্যে দুশ্চিন্তা, রতনা এতক্ষণ বেঁচে আছে কি মরে গেছে, অন্যদিকে সময় হয়ে গেছে বলে গাঁজায় নেশা চাগা দিয়েছে মাথায়, পয়সার ধান্দায় সকালটা কখন দুপুর হয়ে গেছে, কেউ টের পায়নি। তারপর চার পাঁচ টাকা যোগাড় করে জিনিসপত্র নিয়ে ওরা এসে বসেছে এখানটায়। খবর পেয়েছে রতনাকে ওয়াস দেয়া হয়েছে। কিন্তু রতনার এখন জ্ঞান ফেরেনি। বিকেল নাগাদ ফিরবে হয়তো। তখন ভিজিটিং আওয়ার থাকবে। রতনাকে দেখবার জন্য ওরা হাসপাতালে ঢুকতে পারবে।

প্যান্টের ভেতর থেকে তখন হাত বের করেনি মজনু। মানে চুলকে যাচ্ছে। তার ওপর গাঁজার নেশাটা একটু একটু ক্রিয়া করতে শুরু করেছে। চোখে লালচে একটা ভাব এসে গেছে। এই সময় তলপেটের নিচের অংশটা চুলকে ভারি একটা আরাম বোধ হচ্ছিল তার।

বাচ্চু বলল, আবে মউজনা কতুক্ষুণ ধইরা খউজাচ?

শুনে খোকা খ্যাক করে হাসে। একটানেই ধরছে হালারে। অহন কোনও কাম শুরু করলে সহজে আর থামবে না।

মজনু বলল, আবে না। খাউজানি অইছে। কুচকিমুচকি ছিল্লা গেছে।

খোকা বলল, খাউজানি তো আমাগো বেবাকতেরই আছে। দিনরাইত একখান প্যান্ট পিন্দা থাকি। মাসে-দুই মাসে কাপড় ধুই না। খাউজানি অইব না কী অইব।

বাচ্চু বলল, হ। আর ভাল্লাগে না।

তারপর একটু থেমে বলল, ওই খোকা আমাগো জীবনডা কি এমনেই যাইবনি?

খোকা আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, তাইলে কেমন যাইব? আমরা অইলাম বাতিল মাল। এক টাইমে কলেজে পড়ছি, ভুইলা গেছি। স্বাধীনের পর রংবাজি করছি। মাল কামাইছি, তখন বাড়িঘরেও আমাগো দাম আছিল। তহন আমরা অইয়া গেছি কুত্তাবিলাই। মা-বাপে বাড়িতথন দূর দূর কইরা খেদাইয়া দেয়। ভাত খাইতে বইলে গাইল দেয়। আটআনা এক টেকা চাইয়া পাই না। পাঁচ বচ্ছরে একখানা নতুন শার্ট প্যান্টের মুখ দেহি না। শইল্লে খাউজানি। ডাক্তারের কাছে যাইতে পারি না। এর থিকা মইরা যাওন ভালা। রতনা হালায় ঠিকই এটেম নিছিল।

মজনু বলল, কিন্তু মরতে পারল না হালায়। ওয়াস দিছে। অহন জ্ঞান আইলেই ভালা অইয়া যাইব। বাচ্চু বলল, রতনা হালায় টেকা পাইল কইরে খোকা?

কিয়ের টেকা?

ট্যাবলেটটা কিনোনের।

কী জানি।

মজনু বলল, আবে মরণের ইচ্ছা অইলে টেকার যোগাড় অয়। খোকা আবার একটা সিগ্রেট ধরাল।

বাচ্চু বলল, এই খোকা ল আমরা আবার রংবাজি স্টার্ট করি। অহন আবার রংবাজ অইলে টেকা-পয়সার আকাল থাকব না। তিরিশ বছরের লাহান বয়েস অইল, এইডাই শেষ চান্স। ল অহন কিছু টেকা-পয়সা কামাইয়া বইয়া যাই। নইলে হারাজীবন এমনেই চলতে অইব। কোনদিন দেখবি আমরা বেবাকতেই রতনার লাহান এটেম লইতাছি।

সিগ্রেটে লম্বা টান দিয়ে, সিগ্রেটটা বাচ্চুর হাতে হাতে দিয়ে থোকা খানিক গ্যাট হয়ে বসে থাকে। তারপর বলে, রংবাজি আমরা আর করতে পারমু না। আইজকাইল পিচ্চি পোলাপানরা সব রংবাজ। অগ লগে চান্স পামু না। আমাগো রংবাজির দিন চইলা গেছে। আইজকাইল রংবাজি করতে অইলে চেহারা ফিলিমইস্টারের লাহান অওন লাগে। ভালা ড্রেস পরন লাগে। বয়স কম অওন লাগে। বড় লোকের পোলা অওন লাগে। কোনওটাই আমাগো নাই।

 মনজু বলল, সাহস তো আছে।

এ কথায় খোকা রেগে যায়। খালি সাহস দিয়া অয়না রে। আর কী সাহস আছে আমাগো। মহল্লার পিচ্চি রংবাজরা একবার যে আমাগো পিডাইছিল মনে নাই।

 সিগ্রেট তখন মজনুর হাতে চলে গেছে। এক হাতে তলপেট চুলকাচ্ছে মজনু অন্য হাতে সিগ্রেট।

.

খোকা বলল, শেষ টানটা দিচ। বাচ্চু বলল, আমাগো কিছু অইব না। এমনেই দিন যাইব। ঠিক তখুনি একটা এ্যাম্বুলেন্স

এসে থামে খোকাদের সামনে।

পেছনের দরোজাটা খুলে যায় এ্যাম্বুলেন্সের। ভেতরে স্ট্রেচারে শুয়েছিল একটা লোক। সঙ্গে বোধহয় তার দুই ছেলে আর স্ত্রী। লোকটাকে নামানোর আগে ওই তিনজন নামে। চেহারা উদভ্রান্তের মতো তাদের।

লোকটাকে হাসপাতালের ভেতর নিয়ে যেতেই খোকা আবার সিগ্রেট ধরায়। বাচ্চুকে বলে, আবে বাচ্চু আর তিনখান সিগ্রেট বানা। স্টারের প্যাকেট থেকে তিনটি সিগ্রেট বের করে বাচ্চু আবার কাজে লেগে যায়।

মজনু বলল, হালায় কত মানুষ আহে হাসপাতালে!

 বাচ্চু দুহাতে পাকিয়ে পাকিয়ে সিগ্রেটের সুকা বের করতে করতে বলল, অসুখ অইলে আইব না।

খোকা গম্ভীর গলায় বলল, আমাগোও তো অসুখ। তাইলে আমাগো কেউ হাসপাতালে নেয় না কেন?

এই যে হাসপাতালের সামনে আমরা বইয়া রইছি, কোনও ডাক্তার আমাগো দেখে না। চোখের সামনে এতডি রুগী বইয়া রইছে দেহে না হালারা?

মজনু খিক করে হেসে বাচ্চুর দিকে তাকায়। আবে বাচ্চু খোকার তো অইয়া গেছে। বাচ্চু কোনও কথা বলে না।

খোকা বলল, কী অইছে? আবে মইজনা কী অইছে আমার।

 বাচ্চু ম্ভীর গলায় বলল, মাল দিচ খোকা। চান্সে বেবাকটি একলাই মাইরা দিচ না।

মজনু বলল, আমার খাউজানিডার একটু চিকিৎসা অইলে বাইচা যাইতাম।

সিগ্রেটে লম্বা আরেকটা টান দিয়ে খোকা বলল, খাউজানি তর একলা নি। আমাগো বেবাকতেরই তো। তারপর সিগ্রেটটা বাচ্চুর হাতে দেয়। মজনু বলল, হ, চিকিৎসাটা বেবাকতেরই দরকার।

বাচ্চু বলল, কিয়ের চিকিৎসা?

খাউজানির।

খোকা এবার বেশ জোরে চেঁচিয়ে ওঠে। আমাগো অসুখ খালি খাউজানি নি। শইল্লের পুরা রক্ত বরবাদ অইয়া গেছে। আত্মা বরবাদ অইয়া গেছে। মন চরিত্র বেবাক বরবাদ অইয়া গেছে। বেবাক কিছুরই চিকিৎসা দরকার আমাগো। সিগ্রেটটা মজনুর হাতে দিয়ে বাচ্চু বলল, রতনা হালায় তো ভালা অইয়া যাইব। ওয়াস দিয়া বেবাক পরিষ্কার কইরা হালাইছে ডাক্তাররা। খোকা বলল, খালি পেটখান পরিষ্কার অইব রতনার। স্লিপিং ট্যাবলেট খাইছিল হেইডা পরিষ্কার অইব। ওইডা তো আর আমাগো অসুখ না। রক্ত, আত্মা, মন, চরিত্র বেবাক যদি ওয়াস দেওন যাইত তাইলে আমরা ভালা অইয়া যাইতাম। জীবনডা অন্যরকম অইয়া যাইত আমাগো।

বাচ্চু বলল, আমাগো লাহান অসুখ দেশের বেবাক মাইনষেরই। পুরা জাতির। চিন্তা করণ যায় এই অসুখ লইয়া চইলাফিরা বেড়াইতাছে মাইনষে! রংবাজি করে, প্রেম করে, মাল কামায়, পলিটিক্স করে। কোনও ডাক্তার আমাগো চোখে দেহে না। পুরা জাতিটা হাসপাতালের সামনে বইয়া রইছে। কোনও চিকিৎসা অয় না।

 শুনে খোকা আর মজনু ভাবে, গাঁজায় নেশাটা বাচ্চুকে খুব ধরেছে। ওরা খ্যাক খ্যাক করে হাসতে থাকে। কেউ দেখে না হাসির আড়ালে ওদের চোখে ছিল, বুকে ছিল শতাব্দীর ক্রন্দন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *