বর্ণ নিয়ে

পুরোটাই দৈবাৎ ঘটনা, বলা যায়। স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ
যেন ক্যারমের ঘুঁটি, বার বার উঠছে লাফিয়ে
আঙুলের ক্ষিপ্র ডগায় আমার; প্রথমেই স্বর-
বর্ণের নকিব মানে আদ্যাক্ষর এলো, তার সঙ্গে
এলো তেড়ে শৈশবের সেই অজগর, যে পুস্তক
ছেড়ে ছুড়ে আচম্বিতে আমার খাতায়
উঠত লাফিয়ে আর খাতা ছেড়ে চলত বঙ্কিম কখনো-বা
হেলে দুলে মগজের তেপান্তর মাঠে। স্বরবর্ণের নিঃসঙ্গ আদ্যাক্ষর
ফুলবাবুটির মতো নিয়ে এলো হাতে
চমৎকার লাঠি মানে একটি আকার। তারপর
ব্যঞ্জনবর্ণের আদ্যাক্ষর এলো ভীষণ বেতালা কা-কা শব্দ
করে এলো, আকারকে ইয়ার বক্সির মতো নিয়ে এলো টেনে।
অনন্তর ক্যারমের সেই মধ্যমণি ঘুঁটিটির
সমস্ত লালিম নিয়ে অন্তঃস্থ বর্ণের
তৃতীয় সদস্য এলো-আমার খাতার পাতা জুড়ে
কেবলি ক্ষুধার্ত চোখ, কেবলি ভিক্ষার পাত্র আর
শুধু ভিড়, তিল তিল ক্ষয়ে-যাওয়া প্রায়
উবে-যাওয়া অস্তিত্বের ছায়ান্ধ মিছিল।