সন্ধ্যা

কোনো কোনো সন্ধ্যা যুবতীর জলার্ত চোখের মতো
ছলছল করে আর তখন নিজেকে
দেখি শুয়ে আছি
শবাধারে। ফুলের সম্ভার নেই, কৃষ্ণ গ্রন্থ এক প’ড়ে আছে পাশাপাশি।
মনে হয়, পুরোনো কাগজ, ভাঙা পাত্র,
বিলেতি দুধের শূন্য টিন
ইত্যাকার বাতিল বস্তুর মধ্যে ব’সে আছি একা
শহরতলির হু হু ছায়ান্ধ প্রান্তরে।
তখন কালচে আকাশের পক্ষী-মালাকে ধূসর
বিদায়ী রুমাল বলে মনে হয় শুধু।