শঙ্খচূড়

ঝোপেঝাড়ে ঝল্‌সে ওঠে, কান্তিমান নর্তক যেমন
মুহূর্তে মুহূর্তে তার স্বচ্ছন্দ গতির নক্সা আঁকে
শূন্যতায়; রূপে তার বদ্‌লে যায় জলা, কাঁটাবন।
প্রকৃতির রঙ্গালয়ে ভ্রাম্যমাণ, কোনো দুর্বিপাকে
সহজে কাতর নয়। এড়িয়ে ব্যাধের ফলা আর
সাঁপুড়ের তীব্র বাঁশি অস্তিত্ব ডুবিয়ে রাখে সে-ও
নিঃসঙ্গতায়। কখনো বা হয়ে যায় ক্রোধের অঙ্গার,
জ্বলন্ত দুর্বাসা যেন। ভয়ার্ত পাখিটা কে ও? কে ও?’
বলে ত্রস্ত উড়ে যায়।
যদিও সে অতি বিচক্ষণ,
তবু এক ক্রূর ভ্রান্তি পরম শক্রতা সাধে তার।
জঠরে চুল্লির দাহ, কাঁদায় বঞ্চনা; কিছুতেই
ব্যস্ততায় ত্রিসীমায় খুঁজে পায় না শিকার।
দ্বিপ্রহর অমাবস্যা-কালো; কেবলি হারায় খেই
ভ্রান্তির সিমুমে ঘুরে, ব্যর্থতার, রুক্ষ্ম যন্ত্রণায়
চেনেনা নিজেরই মুখ। অকস্মাৎ কার মন্ত্রণায়
মেটাতে সুতীক্ষ্ণ ক্ষুধা নিজেকেই করে সে আহার।