বুড়িমা

লাল নীল আর হলদে ফ্রকের অপ্সরী
চাঁপা-রঙ রোদে নেচে নেচে হলে টুকটুকে।
বুড়ি ছুতে গিয়ে হেসে ওঠো কেন ফিক করে?
থুত্থুরে ঐ বুড়িমাকে দেখে পায় হাসি?

তোবড়ানো তার গলা দেখে,
শণের মতন চুল দেখে,
ছানি-পড়া দুটো চোখ দেখে,
নড়বড়ে সব দাঁত দেখে,
লোলচর্মের ভাঁজ দেখে
হাসছো তোমরা মুখ টিপে?

জানি তোমাদের কোমল ত্বকের উদ্যানে
মেতে ওঠে পাখি অলীক ফুলের সৌরভে।
চোখ নয় যেন ঝলোমলো সব হ্রদগুলো,
হাতটা সাজানো পাঁচটি হলুদ চম্পকে।

সময়ের পট বড়ো দ্রুত যায় পাল্টিয়ে।
যাকে দেখে হাসো আজ বটে তিনি থুত্থুরে;
এই তো সেদিনও তিনি শোনো নীল লাল পরী
তোমাদের চেয়ে ছিলেন না কম সুন্দরী।