যে-কোনো সকালে

ট্রে হাতে সে এল ঘরে, রাখলো সংক্ষিপ্ত প্রাতরাশ
পাশের টিপয় জুড়ে। টোস্ট আর চায়ের সুরভি
খেলা করে সারাঘরে, না-লেখা শব্দের আঁভালাস
থেকে জেগে তাকে দেখি। রেডিয়োতে ব্যাকুল ভৈরবী।
বসলো গা ঘেঁষে, তার যৌবনের সূর্যাস্ত শরীরে
এনেছে বর্ণাঢ্য ছবি। একটি কি দুটি পাকা চুল
বাতাসে নড়ছে মৃদু, অকস্মাৎ সকালকে চিরে
টিয়ের চীৎকার বেজে ওঠে বারান্দায়; কী নির্ভুল

ঘড়িটা রটায় বেলা। ‘আরেকটা টোস্ট নাও’ বলে
সামনে বাড়ায় থালা, ‘ডিম তো ছুলে না একেবারে।
ফেরাতে পারিনা চোখ, অলীক আগুনে জ্বলে জ্বলে
চেয়ে থাকি তার দিকে, নিমগ্ন স্মৃতির ঘনভারে-
এই কি তরুণী সেই একদা দিতো যে এনে রোজ
গোপন গোলাপ আর সচকিত আনন্দো ভোজ?