মৃন্ময়

অনেক কিছুই জানা নেই আপন এ পৃথিবীর।
বিতরিত হতে পারে হাটে-মাঠে-এমন নিবিড়
আলো নেই আমার তামস করতলে,
অথচ নিত্যই দেখি নির্বিকার জোনাকিরা জ্বলে
ছায়ার প্রহরে আর মসৃণ স্তনের মতো ফলে
স্তব্ধ গাছ, শব্দ শুনি মৌমাছির অধীর ডানার।
কখনো খড়ের বিছানার
উষ্ণতায় মজে দেখি যায় বেলা যায়
গোলাপি আকাশ ক্রমে হয় ফিকে, কাঁপি প্রত্যাশায়।

কারো শুভ্র মালা ছিঁড়ে করি না বড়াই
কোনো দিন আর রাজরাজড়ার লড়াই
বাঁধলে ঘেঁষি না তার ত্রিসীমায়, জানি না কোথায়
বাঘ-মোষ এক ঘাটে জল খায় কিংবা ইতিহাসের পাতায়
কারা কুশীলব,
তাদের বৈভব
আনে না বিভ্রান্তি মনে। শুধু জ্বেলে রাখি
ইচ্ছা-ব্যাকুলতা যেন তাকে নিয়ে থাকি
দুর্জ্ঞেয় কান্নার পাকে, অভিন্ন হাওয়ার ধ্যানীক্ষণে
দু’জনের আপন ধুলোয় এই শান্তিনিকেতনে।