যে ছায়া আয়নায়

যে-ছায়া আয়নায় দ্যাখো সকাল-সন্ধ্যার অবসরে
তাকে কেউ কোনোদিন বলে কি রূপসী অনুপমা?
ভুলেও বলে না জানি কেউ তাকে রূপের আধার।
তোমার গালের কালো একটি তিলের বিনিময়ে
দেবে না বিলিয়ে কেউ অকাতরে সাম্রাজ্য বিশাল;
অথবা তোমার জন্য ভাসবে না শত রণতরী
তোমার শিখায় জ্ব’লে পুড়ে ছাই হবে না কখনো
প্রাচীন নগর কোনো-কোনো দিন হবে না কিছুই।

আক্ষেপ প্রচ্ছন্ন থাক, ক্ষমা করো এ সত্যভাষণ।
জেনেছি স্তুতির জাদু, কী দরকার মিথ্যাচারে মজে?
যা-কিছু অর্পিত এই কবিতার সামান্য আধারে,
নিশ্চিত এ নয় জানি প্রেমিকের উচ্ছ্বাস প্রপাত,
অথচ তোমার মনে নিত্য যে-অনল উন্মীলিত,
তাকে চাই দ্বিধাহীন প্রাণের সংসারে প্রতিদিন।

অলোকসামান্য নয় লেখনী আমার, তুমি তাই
পারবে না কখনো এড়িয়ে যেতে কালের তিমির।
তাকে কী? অন্তত ছিলে আমার নিভৃত অন্তর্লোকে
গানের মতোই ব্যাপ্ত চিরদিন সে-ও তুচ্ছ নয়।