পুরোনো তৈলচিত্র

পৃথিবী ঘুরছে নিত্য, ডিঙিয়ে শীতের বেড়া বসন্তের শিশু
প্রথামতো হানা দেয় উড়িয়ে নিশান।
ফিরতি-পথে ফুল কিনে সন্ধ্যার পথিক
কড়া নেড়ে দরজায় যাকে পায় তার
আঁচলে প্রদীপ কাঁপে, প্রাণের হাওয়ায়
জানা কবিতার
উন্মীলিত ধ্বনি,
সামান্যের জিত
দু’দণ্ড পুণ্যের জলে ডুবোও হৃদয়,
ধুয়ে নাও নরকের কালি।
তুমি আর পারবে না দাঁড়াতে সেখানে
জীনের মুখর সারিতে
স্থানাভাবে,
দেয়ালেই আপন পৃথিবী।

বুক-ডোবা শান্ত জলে পাখি মেরে সূর্যাস্তের পরে
নিত্যসঙ্গী কুকুরের গলার শিকল শ্রান্ত হাতে
সুন্দরবনের রাতে ধোঁয়া-ওঠা তাঁবুর আরামে ফিরে আসা,
রহস্যসিরিজে ডুবে কাঁটা আর চামচের বিতর্কে উৎসুক
প্রহর কেটেছে যার জায়াপুত্রকন্যার সংসারে
অথবা চিল্কায় ছুটি সিমলায় ফগে আর পাহাড়ি হাওয়ায়
পত্নীর অভ্যস্ত প্রেমে তৃপ্ত মন (আপাতদর্শনে)
ব্যাঙ্কের অঙ্কের স্ফীতি ছিল যার স্বর্গ-সিঁড়ি, তার
প্রস্থানের নেপথ্য নাটকে

সে কি তবু জেনে গেছে পৃথিবীর শেষ কোনো শ্লোক,
স্বপ্নে তাকে করেছে কি তাড়া চন্দ্রবোড়া, অন্তরালে
কে জানে হৃদয়ে তার ছিল কি না কীটের উৎসব।