• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Book । বাংলা লাইব্রেরি

Read Bengali Books Online @ FREE

  • লেখক
  • অনুবাদ
  • সেবা
  • PDF
  • Bookmarks

লেখক

অনুবাদ

সেবা

কৌতুক

লিরিক

ডিকশনারি

PDF

Bookmarks

কান্তার মরু – ০৭

লাইব্রেরি » সেবা প্রকাশনী » মাসুদ রানা সিরিজ » কান্তার মরু » কান্তার মরু – ০৭

সাচ্চিকে কম্পাস ব্যবহার করতে দেখেনি এপর্যন্ত রানা। রাতে তারা জরিপ করার সময়ও সেক্সট্যান্ট জাতীয় কোন কিছু কাজে লাগায় বলে মনে হয় না। আপাতদৃষ্টে, নক্ষত্রপুঞ্জ এত ভালভাবে চেনে সে, যে প্রতি রাতে ওগুলোকে দেখে নিজেদের অবস্থান বের করে নিতে পারছে। কিংবা হয়তো অতিচেনা কোন ট্রেইল অনুসরণ করছে। তাও যদি হয়, তবু ওকে অলৌকিক ক্ষমতাসম্পনড়ব বলে সার্টিফিকেট দেয়া যায়। পুব ডানাকিলের বেশির ভাগ এলাকাই ধুধু বালির সমুদ্র, জীবন যাপনের জন্যে জায়গাটা অত্যন্ত প্রতিকূল, নদীগুলো পর্যন্ত সল্ট বেসিনে মিশে স্রেফ উবে গেছে।
প্রচণ্ড দাবদাহ আর কখনও সখনও ধূলি-ঝড় সত্ত্বেও যাত্রা মন্দ হলো না খুব একটা। কাপড়ে মুখ ঢেকে, গাদাগাদি করে বসে প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে ওরা। চতুর্ দিন, মাইলকে মাইল বালির মরুর ওপর দিয়ে এঁকেবেঁকে পাথর এড়িয়ে পথ চলতে চলতে হঠাৎ ডান পাশের বালির ঢিবিগুলোর চূড়া থেকে উৎকট চেঁচামেচি জুড়ে দিল একদল ডানাকিল, সেই সঙ্গে শুরু হলো রাইফেলের গুলিবর্ষণ।
রানার পেছনের উটচালক চড়া কণ্ঠে গাল দিয়ে তার জানোয়ারটাকে নিচু হতে বাধ্য করল। রানা চট করে আক্রমণকারীদের ও উটটার মাঝখানে চলে এলো। খিট্‌খিটে
জানোয়ারটার কাছ থেকে এতদিন দূরে দূরে ছিল ও, এরা শুধু যে বিশ্রী দুর্গন্ধ ছড়ায় তাইই নয়, কেউ দোস্তি করতে এলে কামড় দিতেও ছাড়ে না। কিন্তু এখন, চিন্তা করে দেখল রানা, রাইফেলের গুলির চাইতে উটের কামড় কম ক্ষতিকর। চালকরা উটেদের নত করে যার যার রাইফেল হাতে তুলে নিল। বালিতে মুখ গুঁজে উটের পেছন দিয়ে উঁকি দিল রানা, পনেরো থেকে বিশজনের একটা দল হামলা চালিয়েছে অনুমান করল। ওদের দলে রয়েছে পঁচিশজন চালক ও ছ’জন গার্ড, এছাড়াও চারজন মহিলা আর দু’জন পুরুষ বন্দী। রানার মুখের কাছে বুলেট বালি ছিটাতেই পিছনে সরে গেল ও। আড়াল নিল মোটা দেখে একটা উটের পেছনে। লুগারটার কথা বড্ড মনে পড়ছে, জাহাজে রয়ে গেছে ওটা, এখন হাতে পেলে দারুণ কাজে লাগত, হামলাকারীদের অনেকে লুগারের আওতার মধ্যে চলে আসছে।
অন্তত দুজন ডানাকিল গার্ড ভূপাতিত, সঙ্গে আরও কজন চালক। আকস্মিক হামলায় বাড়তি লোকের সুযোগটা হারিয়েছে সাচ্চি, এবং এমুহূর্তে প্রতিপক্ষের বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করতে না পারলে ভোগান্তির শেষ থাকবে না। সৌভাগ্যক্রমে, কেবলমাত্র ডানদিকেই আড়াল পাচ্ছে ডানাকিলরা বালিময় রিজটার। দক্ষিণেও যদি থাকত ওরকম একটা, তাহলে ক্রসফায়ারে পড়ে স্রেফ পরপারে চলে যেত রানারা।
কাছেই গুলি খেয়ে আর্তচিৎকার ছাড়ল একটা উট। জানোয়ারটার আছড়ানো খুরে চালক বেচারার খুলি ফেটে চুরমার হয়ে গেল।
রানা নিজের গোপন অবস্থান সম্পর্কে ভাবনায় পড়ে গেল। ওর সামনের উটটা এবার গোঙাতে আরম্ভ করল, হয় ভয় পেয়ে, নয়তো আহত সঙ্গীর প্রতি সমবেদনায়। চালক সিধে উঠে দাঁড়াল। খিস্তি ঝেড়ে, পুরানো এম-ওয়ান রাইফেলটা থেকে একটানা গুলি বর্ষাল। তারপর হঠাৎই দু’পাশে হাত ছুঁড়ে দিয়ে, পেছনে টলতে টলতে পড়ে গেল মাটিতে।
রানা ক্রল করে এগোল ওর দিকে। লোকটার গলার ফুটো থেকে রক্ত বেরোচ্ছে গলগল করে। চার মহিলা বন্দীর তীক্ষ্ণ চিৎকার শুনে মুখ ঘোরাতে, দু’জন লোককে ডান দিকে পড়ে যেতে দেখল ও। লাথি ঝাড়ছে আরেকটা উট। ছ’ইঞ্চির জন্যে রানার হাঁটু মিস করল একটা গুলি।
উট চালকের রাইফেলটা থাবা মেরে ধরে গুড়ি মেরে উটটার পেছনে চলে এল রানা। শায়িত অবস্থান থেকে গুলি চালাল, বালির ঢাল বেয়ে নেমে আসতে থাকা এক ডানাকিল সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়ল।
আরেক আক্রমণকারীর উদ্দেশে লক্ষ্যস্থির করল রানা। ক্লিক আওয়াজ করল রাইফেলটা। গুলি শেষ! সাঁ করে ওর কানের পাশ দিয়ে চলে গেল একটা বুলেট।
দ্রুত সরে যাচ্ছে, কাপড়ে ঢুকে যাচ্ছে বালি, মৃত চালকটার কাছে ক্রল করে ফিরে এল রানা। বাদামী আলখাল্লায় তালগোল পাকিয়ে আছে ওর অ্যামুনিশন বেল্ট, লোকটাকে দু’বার উল্টে দিয়ে তারপর মুক্ত করা গেল ওটাকে। এমুহূর্তে কাছাকাছি এল না
আর কোন বুলেট। নতুন ক্লিপ গুঁজে চরকির মত ঘুরে দাঁড়াল রানা যুদ্ধক্ষেত্রের উদ্দেশে।
ডজন খানেক হামলাকারী তখনও নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তবে পাল্টা আক্রমণ শুরু হতে তাদের মাথা গরম করে তেড়ে আসা স্তিমিত হয়েছে। বালির ঢালে হাঁটু গেড়ে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে গুলি করছে ওরা। রানাও হাঁটু গেড়ে বসে একটা টার্গেট স্থির করে গুলি চালাল, লোকটা কুঁকড়ে গেলেও বাহ্যত মনে হলো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে, বাঁয়ে এক ইঞ্চির ভগড়বাংশ পরিমাণ সরিয়ে দ্বিতীয়বার ট্রিগার টিপল ও।
নেমে গেছে লোকটার রাইফেল। মুখের অভিব্যক্তি নিখুঁতভাবে পড়ার পক্ষে অনেকটা দূরে রয়েছে রানা, তবে মনে হলো যেন চমক খেয়ে গেছে। সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ্যস্থির করে রানা গুলি করল আবারও। বালিতে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেল আরেকজন, বার কয়েক লাথি ছুঁড়ে স্থির হয়ে গেল।
আক্রমণকারীদের বাঁ সারি থেকে দীর্ঘদেহী এক যোদ্ধা লাফিয়ে উঠে, রানার উদ্দেশে গুলি করতে লাগল। জঘন্য নিশানা তার, রানার এক গজের মধ্যেও এল না কোনটা। হঠাৎ উটটাকে ডাক ছেড়ে কসরৎ করে উঠে দাঁড়াতে দেখা গেল, পিঠে চাপানো মালে গুলি লেগে ভেঙেচুরে গেছে খানিকটা, হামাগুড়ি দিয়ে কষ্টেসৃষ্টে কাফেলার মুখের উদ্দেশে এগোল রানা, ভীত জানোয়ারটার কাছ থেকে সরে যেতে হবে।
সারবন্দী দ্বিতীয় উটটাকে ঘিরে ছিটকে উঠছে বালি। কাফেলার দু’প্রান্ত থেকে হৈ হল্লা শুনে বোঝা গেল উপজাতীয়রা চেষ্টা করছে উটগুলোকে ছত্রভঙ্গ করে দিতে। সাত-আট জায়গায় এমুহূর্তে দিগ্বিদিক্‌ ছোটাছুটি করছে, সবলে মাড়িয়ে যাচ্ছে অসহায় প্রতিরোধকারীদের। জেনের কি অবস্থা কে জানে, ভাবল রানা। চালকরা অস্ত্র ফেলে ছুটছে জানোয়ারগুলোর দিকে। দুর্বৃত্তদের গুলি খেয়ে আরও দু’জন ভূমিশয্যা নিল।
কাফেলার সামনের দিকে ছুটে গিয়ে বন্দীদের কাছাকাছি হলো রানা, গুলি চালনার জন্যে ফাঁকা জায়গা পেল এখানে। শত্রুপক্ষ অনেকখানি কাছিয়ে এসেছে। শুয়ে পড়ে রাইফেল তাক করতেই বুঝতে পারল এযুদ্ধে পরাজয় অনিবার্য। দীর্ঘদেহী যোদ্ধাটিকে দলের নেতার মত দেখাচ্ছে। দু’বার গুলি করার পর কায়দা করা গেল তাকে।
বাঁ পাশ থেকে ডানাকিল গার্ডটা চেঁচিয়ে কি যেন বলছে, সিধে হয়ে দাঁড়িয়ে আগুয়ান প্রতিপক্ষের উদ্দেশে গুলি চালাল। পতন ঘটল আরেক দুর্বৃত্তের। তারপর গার্ডের। আর তিনটা গুলি অবশিষ্ট আছে রানার। সেগুলো ব্যবহার করে আরেকজনকে পেড়ে ফেলল ও।
চারধারে নজর বুলাল রানা, এম-ওয়ানের কার্তুজ কোথায় ফেলেছে মনে নেই ওর, উটগুলোকে এড়িয়ে সরে যাওয়ার সময় পড়েছে কোথাও। ভূপাতিত গার্ডের রাইফেলটা থাবা মেরে তুলে নিল ও। লী এনফিল্ড, পুরানো মাল হলেও কার্যকর। লক্ষ্যভেদ করতে পারবে আশা করে, ধেয়ে আসা শরীরগুলোর উদ্দেশে ওটা তাক করল রানা। কাছ থেকে তলপেটে গুলি খেয়ে আরেকজন ভূতলশায়ী হলো।
রানার বাঁ দিক থেকে এক ঝাঁক গুলি বর্ষিত হলে আরও দু’জন হামলাকারী ঢলে পড়ল। চার-পাঁচজন এমুহূর্তে নিজের পায়ে দাঁড়ানো, কিন্তু খুব দ্রুত ব্যবধান ঘুচিয়ে আনছে তারা। রানার রাইফেল ফাঁকা আওয়াজ করল-গুলি শেষ।
দশ ফিট দূর থেকে এক বাদামী পোশাকধারী ডানাকিল গুলি করল ওর উদ্দেশে। আল্লাই জানে, কেন মিস করল লোকটা। রানা চট করে রাইফেলটা ঘুরিয়ে বাঁট উড়িয়ে ধাঁই করে মেরে দিল প্রতিপক্ষের চোয়ালে। অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরে উঠে জ্ঞান হারিয়ে
লুটিয়ে পড়ল লোকটা।
ওর বেল্টে ছোরা লক্ষ করল রানা। লোকটার রাইফেল, তুলে নেয়ার পক্ষে, অনেকখানি দূরে পড়ে রয়েছে। ছোরাটা মুঠোয় ধরে গুটিসুটি মেরে বসে রইল রানা। কাউকে বাগে পেলে পেট ফাঁসিয়ে দেবে। আশপাশে দেখতে পাচ্ছে দু’পক্ষে তুমুল যুদ্ধ চলছে। গুলি,
পাল্টা গুলির সঙ্গে শুরু হয়েছে হাতাহাতি লড়াই।
রানা মরুযুদ্ধ দেখতে ব্যস্ত, টেরও পেল না কখন ঘেরাও দেয়া হয়েছে ওকে। বাদামী পোশাক পরা একদল লোক ঘিরে রয়েছে। কারা এরা? স্বপক্ষ, না বিপক্ষ?
‘ছুরিটা ফেলে দাও, রানা।’ পরিচিত কণ্ঠস্বর। সাচ্চির। অন্যদের এক পাশে ঠেলে সরিয়ে এগিয়ে এসেছে।
আদেশ পালন করল রানা, ঝুঁকে পড়ে ওটা তুলে নিল সাচ্চি।
‘যুদ্ধে জিতেছি আমরা?’ জিজ্ঞেস করল রানা।
‘ওরা মারা পড়েছে।’ একটা গুলির শব্দ শোনা গেল। ‘আর নয়তো পড়বে। ওদের পানি সংগ্রহ করতে সাহায্য করো।’
জনে জনে গিয়ে প্রত্যেকের ক্যান্টিন জড় করল ওরা। শত্রুদের অনেককে হাসতে হাসতে মাথায় গুলি করে মারল সাচ্চির লোকেরা। এদের ক’জনকে সেবা-শুশ্রূষা করলে বাঁচানো যেত মনে হয়েছিল রানার। কিন্তু গ্রেফতারকারীদের সঙ্গে এনিয়ে বাদানুবাদ করে লাভ হয়নি।
ক্যারাভানে ফিরে এসে, পশুর চামড়ার তৈরি ক্যান্টিনগুলো গাদা করে রাখল ওরা। জনৈক চালক এসময় কি যেন বলে, হাতছানি দিয়ে ডাকল রানাকে। ওকে অনুসরণ করে, অন্যান্য বন্দীরা দল বেঁধে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে এল রানা।
‘মেয়েটাকে দেখো, রানা,’ বলল সাচ্চি। ‘জেনারেল মালদিনিকে বলতে পারবে কিভাবে হলো এটা।’
জেন তার ভারী আলখাল্লার ওপর চিত হয়ে শোয়া। বুকের বাঁ পাশ থেকে রক্ত চুইয়ে চুইয়ে বেরোচ্ছে।
‘যুদ্ধের শুরুতেই ঘটেছে এটা,’ দু’জন মহিলার মধ্যে একজন আরবীতে বলল।
‘কার বুলেট?’ একই ভাষায় শুধাল রানা।
‘মরুভূমির দিক থেকে।’
জেনের পালস পরীক্ষা করল রানা। নিস্পন্দ। আলতো করে ওর চোখের পাতা বুজে দিল। জেনের ক্যামেরাটা কোথায় চিন্তাটা হঠাৎ উদয় হলো মনে। বেচারী এবারকার ট্র্যাভেল স্টোরিটা লিখে যেতে পারল না, ভাবল বিষণড়ব চিত্তে।
‘তুমি চাইলে ওকে কবর দিতে পারো,’ বলল সাচ্চি। মাথা ঝাঁকাল রানা।
ক্যারাভান সুসংহত করা, জেনকে সহ স্বপক্ষের অন্যান্য মৃতদের সৎকার করা, এবং কোন্‌ কোন্‌ উট মালদিনির ক্যাম্প পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে এ নিয়ে ভাবতে ভাবতে বাকি দিনটা পার হয়ে গেল। চারটে উট মরুভূমিতে পালিয়ে গেছে। আরও নটা হয় মরেছে আর নয়তো এতটাই গুরুতর জখম, নড়াচড়ার সাধ্য নেই। বাকি থাকল সাকুল্যে বারোটা উট আর দশজন চালক। বেঁচে যাওয়া চার ডানাকিল গার্ডের মধ্যে দু’জনকে উটচালকের দায়িত্ব দেয়া হলো, পাহারাদার হিসেবে কাজ করবে অপরদুজন ও সাচ্চি। হামলাকারীদের উটগুলোর হদিস পাওয়া গেল না।
মোটাসোটা দেখে এক উট বাছাই করে তার ছায়ায় গিয়ে বসল রানা। কিভাবে খুঁজে বের করবে জেনের ক্যামেরাটা ভাবছে। খুঁজে পেলেও সাচ্চি রাখতে দেবে ওটা তার নিশ্চয়তা নেই, আবার আবেগের মূল্য দিলে দিতেও পারে।
ক্যামেরার ভেতরকার যন্ত্রপাতিগুলো কতখানি মূল্যবান? রানার স্থিরবিশ্বাস, কোন এক লেন্সের মধ্যে একটা সিঙ্গল শট, .২২ রেখেছিল জেন। ওর মিশনের ব্যাপারে রানাকে খোলামেলা করে কিছু বলেনি মেয়েটা, এবং রানাও চেপে গেছে নিজেরটা সম্পর্কে। লেন্সটা খুব সম্ভব রয়ে গেছে শেপ মাইয়ার জাহাজে।
চালকদের একজনকে এসময় জেনের ক্যামেরা কাঁধে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেল। মরুকগে, ভাবল রানা, ওটা ফেরত চেয়ে সাচ্চির সন্দেহ জাগিয়ে তোলার কোন ঠেকা পড়েনি ওর।
মালপত্র সরাতে ব্যস্ত সবাই, ঘণ্টাখানেক কি তারও কিছু পরে হাতছানি দিয়ে রানাকে ডেকে নিল সাচ্চি। কঠোর পরিশ্রম করল রানা, অন্যদের চেয়ে অন্তত তিনগুণ, এবং এদিক ওদিক চেয়ে যখন দেখল কেউ তাকিয়ে নেই, বুট ব্যবহার করে ছেঁড়া বস্তা
থেকে খসে পড়া খুদে খুদে ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ বালির বুকে কবর দিল। মাল সরানর উছিলায় আরও কিছু বস্তার মুখ খুলে দিল রানা।
এখন আর চাইলেই তিনটে মিনিটম্যান আইসিবিএম তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না রবার্তো মালদিনির পক্ষে।

« পূর্ববর্তী:
« কান্তার মরু – ০৬
পরবর্তী: »
কান্তার মরু – ০৮ »

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিকশনারি – জোক্স – লিরিক – রেসিপি – কামসূত্র – হেলথ – PDF

Return to top