১৪. মা

১৪
চৌধুরী সাহেব আজাদকে করাচি পাঠিয়েছিলেন আসলে দুটো উদ্দেশ্যে ৷ এক. ছেলের ভালো লেখাপড়া হোক ৷ দুই. আজাদের মা দুর্বল হোক ৷ প্রথমটা হয়তো ভালোই চলছে, কিন্তু দ্বিতীয়টা ? সাফিয়া বেগম কি তাঁর বশ্যতা স্বীকার করবে না! তাঁর পায়ে পড়ে ক্ষমা ভিক্ষা করবে না! ফরাশগঞ্জের বাসা থেকে এসে এই ইস্কাটনের বাসায় উঠবে না! তাহলে কীভাবে তাকে বশ্যতা স্বীকার করানো যায় ? তাঁর কুবুদ্ধিদাতারা পরামর্শ দিল, ‘এই সুযোগ, আজাদের মাকে ফরাশগঞ্জের বাসা থেকে উচ্ছেদ করে দিন ৷ বাসা ভাড়া নিয়ে থাকুক ঢাকায়, সব তেজ গলে পানি হয়ে যাবে ৷ বাপ বাপ করে চলে আসবে আপনার পা ধরে ভিক্ষা মাগতে ৷ ও ভেবেছে কী! সম্পত্তিগুলো সব ওর নামে বলে ওগুলোর মালিক ও হয়ে গেল! ও যা খুশি তা করতে পারবে! ওকে একটু বোঝানো দরকার যে ঢাকা শহরটা এখনও চৌধুরীর কথায় চলে ৷ চৌধুরী যা চাইবে, তা-ই হবে ৷’
চৌধুরী এক রাতে আসেন ফরাশগঞ্জের বাসায় ৷ নিচের ঘরে বসেন ৷ আজাদের মা তখন এশার নামাজ পড়া শেষে তেলাওয়াত পড়ছিলেন ৷ তাঁর কাছে দৌড়ে যায় জায়েদ ৷ ‘আম্মা আম্মা, আজাদ দাদার আব্বা আইছে ৷’
‘কে ?’
‘চৌধুরী সাবে ৷’
‘কেন এসেছে ? তাকে যেতে বল ৷ তুই বের হ ঘর থেকে ৷ আমি দরজা আটকে দেব ৷ তুই গিয়ে বল আমি দেখা করব না ৷’
জায়েদ নিচে নামে ৷ চৌধুরী সাহেবকে জানায় সাফিয়া বেগমের বক্তব্য : ‘এক্ষুন আপনেরে চইলা যাইতে কইছে, ঘরে খিল দিছে, আর কইছে, জীবনেও আপনের মুখ দেখব না ৷’
চৌধুরী বলেন, ‘জায়েদ, শোনো, আজাদের মাকে বলো, সাত দিন সময় দিলাম, সাত দিনের মধ্যে আমার সাথে দেখা করে আমার পায়ে ধরে মাফ না চাইলে আমি এই বাড়ি থেকে সবাইকে তাড়িয়ে দেব ৷ বুঝলে ?’
জায়েদ চুপ করে থাকে ৷
‘বোঝো নাই ৷ তোমার আম্মাকে বলবা আমার সাথে দেখা করে মাফ চাইতে ৷ না হলে এ বাসা থেকে বের করে দেব ৷’ চৌধুরী সাহেব গটগট করে চলে যান ৷
আজাদের মা সব শুনতে পান জায়েদের কাছ থেকে ৷ কিন্তু তিনি অনন্যোপায় ৷ কী করবেন ? চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করার প্রশ্নই আসে না ৷ মাফ চাওয়া ? জীবন থাকতে নয় ৷ আর এ বাড়ি ছেড়ে যাওয়া ? যেতে হলে যাবেন ৷
আজাদকে খবর পাঠানো যায় ৷ সেটাও উচিত হবে না ৷ কারণ তার পরীক্ষা চলছে ৷
একদিন সত্যি সত্যি গুণ্ডাপাণ্ডা চলে আসে ফরাশগঞ্জের বাসায় ৷ এ বাসা ছাড়তে হবে ৷ আজই ৷ এখনই ৷
আজাদের মা রুখে দাঁড়ান, ‘ফাজলামো পেয়েছ তোমরা, এটা আমার বাসা, কেন আমি বাসা ছাড়ব, ছেড়ে পাঁচ-পাঁচটা ছেলেমেয়ে নিয়ে কোথায় যাব ?’
গুণ্ডারা বলে, ‘এটা যে আপনার বাড়ি, কোনো প্রমাণ আছে ?’
প্রমাণ তো সাফিয়া বেগম সঙ্গে রাখেননি ৷ ইস্কাটনের বাড়ি, এ বাড়ি, গেন্ডারিয়ার আরো আরো সম্পত্তি সব তাঁর নামে ৷ এটা তিনি জানেন ৷ কিন্তু দলিল তো একটাও তাঁর কাছে নাই ৷ আর এদিকে গুণ্ডারাও কোনো কথা শুনছে না ৷ তারা জিনিসপত্র ধরে একটা একটা করে নিচে রাস্তায় নামিয়ে দিচ্ছে ৷ আজাদের মায়ের মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার জোগাড় ৷ কিন্তু মাথা গরম করলে তো চলবে না ৷ উপায় একটা বের করতে হবে ৷ তিনি বের হন ৷ পাশের একটা বাসায় গিয়ে ফোন করেন পুলিশের ডিআইজি আলম সাহেবকে ৷ আলম সাহেব লোক ভালো, তাঁর পূর্বপরিচিত, আর তাঁর গত ক বছরের দুর্দিনে তিনি মাঝে মধ্যে এসে খোঁজখবর নিয়ে গেছেন ৷ আলম সাহেবকে পাওয়া যায় ৷ তিনি ঘটনা শোনেন ৷ এক্ষুনি কী করা যায় তার উপায় করবেন বলে আশ্বাস দেন ৷ কিন্তু তাঁর পক্ষেও বেশি দূর তৎপরতা করা সম্ভব হয় না ৷ ইউনুস চৌধুরীর সখ্য গভর্নর মোনায়েম খাঁ পর্যন্ত, তিনি দাবি করেছেন এই বাড়ি তাঁর, আর সাফিয়া বেগম এটায় অন্যায়ভাবে জোর করে বসবাস করছে ৷ তাদের হটিয়ে দেওয়াটাই হলো ন্যায় ৷ ডিআইজি আলম সাহেব ফরাশগঞ্জের বাসায় চলে আসেন ৷ তিনি উচ্ছেদ করতে আসা গুণ্ডাপাণ্ডাদের বলেন কোনো রকমের জুলুম জবরদস্তি না করতে ৷ গুণ্ডারা বলে, ‘এটা আপনাকে কইয়া দিতে হইব না, আমগো ওপর হুকুম আছে, আমরা কাউরে অপমান করুম না ৷’ আলম সাহেব সাফিয়া বেগমকে জানান তাঁর ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কথা, ক্ষমা চান তাঁর কাছে ৷ সাফিয়া বেগম বলেন, ‘এখন এই ছোট ছোট বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে আমি কই যাব ৷ একটা বিহিত করে দেন ভাই ৷’
আলম সাহেব বলেন, ‘ঠিক আছে, আমি দেখছি কোনো বাসা ভাড়া পাওয়া যায় কি না ৷’
জুরাইনের মাজারের সামনে একটা ছোট্ট বাসা খালি পাওয়া যায় ৷ রাস্তার ওপর সব জিনিসপাতি ছড়ানো, উপায়ান্তর না পেয়ে সাফিয়া বেগম জুরাইনের বাসায় এসে ওঠেন ৷ টিনের ঘর ৷ মেঝেটা অবশ্য পাকা ৷ সেটাই কিছুটা সান্ত্বনা ৷ দুটোমাত্র ঘর ৷ তার মধ্যে এতগুলো মানুষ ৷ কোনো আসবাবপত্র নাই ৷ থালা-বাসন হাঁড়ি-পাতিল কিছু আনা গেছে ৷ তাতে রান্না চড়াতে হয় ৷ আবার গয়নার বাক্সে হাত দেন সাফিয়া বেগম ৷ আলম সাহেব অবশ্য কিছু টাকা ধার দিয়ে গেছেন ৷ তাঁরই লোক দিয়ে দুটো সস্তা খাট আর এটা-সেটা জিনিসপাতি কেনানো হয় ৷
জায়েদের বড় কান্না পায় ৷ সে হঠাৎ করে আবার, যেমন তার হয়েছিল মায়ের মৃত্যুর পরে, সবকিছুকে নীল দেখতে থাকে ৷ জুরাইনের এই উপশহর ধরনের পরিবেশ, চিকন রাস্তা, ঘিঞ্জি হয়ে উঠতে থাকা ঘরবাড়ি, আর তাদের ভাড়া করা এই ছোট্ট বাসা সব যেন নীল ৷ নিজেকে তার মনে হয় বড় অভাগা ৷ তার মা নাই ৷ বাবা থেকেও নাই ৷ খালার কাছে আছে তারা, আর খালার ওপর একে একে কত গজব নেমে আসছে ৷ এই এতটুকুন ফকিরের বাড়ির মতো বাড়িতে তারা থাকবে কেমন করে!
দিন যায় ৷ তারা জুরাইনের বাসা ছেড়ে আরেকটু ভালো দেখে একটা বাড়িতে ওঠে মালিবাগ মসজিদের সামনে ৷ এখানে তবু আজাদকে রাখার একটা পরিসর মিলবে ৷
সাফিয়া বেগম কিন্তু আজাদকে তাঁর এইসব বিপর্যয়ের কথা কিছুই জানতে দেন না ৷ কারণ ছেলের পরীক্ষা ৷ শুধু আজাদকে চিঠি লিখে জানান, পরীক্ষা শেষে সে যেন প্রথমে তার বাবার কাছে যায়, দাদা-দাদির কাছে যায়, তাঁদের সালাম করে ৷ কারণ এটাই হলো সাফিয়া বেগমের জীবনের বড় বিজয় যে তাঁর ছেলেকে তিনি লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করতে পেরেছেন ৷
পরীক্ষা শেষ করেই আজাদ ছুটে আসে ঢাকায় ৷ উফ্ ৷ কী দম বন্ধ করা সময়ই তার গেছে এই করাচির দিনগুলোতে ৷ মধ্যখানে সে অবশ্য ছুটিছাটায় এসেছে দুবার ৷ প্লেনের টিকেটের দাম বেশি হওয়ায় ঘন ঘন আসা সম্ভব হয় নি ৷ এসে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা করা, আড্ডা দেওয়া ইত্যাদি করতে না করতেই আবার এসে গেছে ফিরে যাওয়ার তারিখ ৷ এবার সে ছুটি পাবে বেশ কিছু দিনের জন্যে ৷ গ্রাজুয়েশনের জন্য পরীক্ষা হয়ে গেল ৷ এরপর মাস্টার্স ৷ বিমান যখন ঢাকা এয়ারপোর্টের রানওয়ে স্পর্শ করে, সঙ্গে সঙ্গে এক অনাবিল আনন্দে আজাদের হৃদয় ওঠে ভরে ৷ সে নিজে নিজেই হেসে ওঠে ৷
মাকে সে চিঠি লিখেছিল ফেরার দিনক্ষণ জানিয়ে ৷ সেটা সে লিখেছিল ফরাশগঞ্জের ঠিকানায় ৷ জায়েদ পোস্টম্যানকে বলে রেখেছিল, সাফিয়া বেগমের নামে কোনো চিঠি এলে যেন মালিবাগের বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ আজাদ তো আর সেটা জানে না ৷ সে এয়ারপোর্টে দেখতে পায় জায়েদ দাঁড়িয়ে ৷ জায়েদ ‘দাদা দাদা’ বলে জড়িয়ে ধরে আজাদকে ৷ আর আজাদকে দেখা যাচ্ছে কত সুন্দর ৷ ফিটফাট পোশাক, গলায় টাই ঝুলছে, জায়েদের কিছুটা অস্বস্তি লাগে, ভেতর থেকে শ্রেণীভেদটা একটুখানি উঁকি দেয় ৷ কিন্তু সেও সাময়িক ৷ আজাদ দাদা তার আগের মতোই আছে ৷
‘চল চল, একটা ট্যাক্সি নিয়ে চল বাসায় যাই ৷ মা নিশ্চয় অস্থির হয়ে আছে ৷ ফ্লাইটটা একটু ডিলে হয়েছে তো’-আজাদ তাড়া লাগায় ৷
তারা এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে আসে ৷ ট্যাক্সি ভাড়া করতে হবে ৷
প্রত্যেকবার এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে এই জায়গাটায় দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কী এক ভালো লাগায় আজাদের অন্তরটা ভরে ওঠে ৷ এই নীল আকাশ, ওই সবুজ গাছ, এই বেবিট্যাক্সি আর ট্যাঙ্অিলাকে তার কতই না আপন বলে মনে হচ্ছে ৷
জায়েদ ট্যাক্সিওয়ালাকে বলে, ‘যাইব, ইস্কাটন ?’
‘ক্যান রে, ইস্কাটন ক্যান ৷ ফরাশগঞ্জ যাব’-আজাদ বলে ৷
‘আম্মা আপনেরে ইস্কাটনে উইঠা রেস্ট-টেস্ট লইয়া তারপরে যাইতে কইছে আমগো বাড়ি’-জায়েদ বলে ৷
‘আমাকে রেস্ট নিতে হবে ইস্কাটনে ? কী যে বলিস না তুই ৷ চল চল ফরাশগঞ্জ ৷’
জায়েদ কী বলবে আজাদকে ? তারা যে ফরশগঞ্জের বাসা থেকে বিতাড়িত, এটা তো আজাদ জানে না ৷ তাকে জানানোর কাজটা কে করবে ?
ট্যাক্সি চলছে ৷
আজাদ দু চোখ ভরে দেখে ঢাকা শহর ৷ আহ্, সেই পরিচিত রাস্তাঘাট ৷ ফার্মগেট, কাওরানবাজার ৷ সেই রিকশা, সেই ইপিআরটিসির বাস ৷ সেই গরিব গরিব ট্রাফিক পুলিশের মুখ ৷
‘দাদা, আম্মায় কইছে আগে ইস্কাটনে গিয়া আপনে দাদা-দাদিরে সালাম করবেন ৷ তারপর বিকালবেলা আমি আইসা আপনারে আমগো বাড়িতে নিয়া যামু ৷’
‘আরে, কথা বেশি বলিস কেন ৷ এই চলো সোজা ফরাশগঞ্জ ৷’
জায়েদ তো আজাদের সঙ্গে তর্ক করতে পারে না ৷ খানিক পরে সে বলেই দেয়, ‘দাদা, আমরা তো আর ফরাশগঞ্জ থাকি না, মালিবাগ থাকি ৷’
‘কেন ?’
‘আমগো তাড়ায়া দিছে ৷’
‘কে ?’
‘গুণ্ডাপাণ্ডা আইসা ৷’
‘কী বলিস ?’
‘জুরাইনে একটা টিনের ঘর ভাড়া লইছিলাম ৷ সেইখানে থাকনের মতো অবস্থা ছিল না ৷ সেইখান থাইকা অহন আইয়া পড়ছি মালিবাগ ৷ মসজিদের সামনে ৷’
আজাদ গম্ভীর হয়ে যায় ৷ তার মুখ দিয়ে আর কোনো রা সরে না ৷
মালিবাগের বাসার কাছে গলির মুখে ট্যাক্সি এসে থামে ৷ এর পরে আর ট্যাক্সি যাবে না ৷ জায়েদ তার সুটকেস নিয়ে আগে আগে হাঁটে ৷ এত ছোট বাসা, আসবাবপত্র নাই বললেই চলে, গলির ভেতরে ঢুকতে হয়, এসব দেখে সে ভড়কে যায় ৷ মা কিন্তু হাসিমুখে তাকে বরণ করেন ৷
আজাদ গম্ভীর স্বরে বলে, ‘তোমাদেরকে বের করে দিয়েছে, আমাকে বলো নাই কেন ?’
মা হাসেন ৷ বলেন, ‘তোর পরীক্ষা ছিল না বাবা! এটা এমন কি! এই বাসা তো খারাপ না ৷ চৌধুরী চেয়েছিল আমাদের হার মানাতে ৷ ভেবেছিল বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে আমি তার পায়ে গিয়ে পড়ব ৷ আমি তো সেই পদের না ৷ আমি যাইনি ৷ আমারই জিত হয়েছে ৷’
‘কিন্তু তোমাদের গুণ্ডা দিয়ে তাড়িয়ে দিল, তার এত বড় সাহস ৷ আমার রিভলবারটা এনেছ না ? কই সেটা ৷’
মা আরো শান্তভাবে হাসেন ৷ বলেন, ‘রিভলবার দিয়ে কী করবি ?’
‘আমি যাই তার কাছে ৷ গিয়ে জিজ্ঞেস করি, তার স্ত্রীকে অপমান করার আগে সে ভেবেছে কি ভাবে নাই যে তুমি আমার মা ৷ আমার মাকে অপমান করে, তার এত বড় সাহস ৷’ আজাদ উঠে পড়ে-‘ডালু কই, জায়েদ আমার রিভলবার কই ৷’
মা তার হাত ধরেন ৷ বলেন, ‘খবরদার আজাদ, মাথা গরম কোরো না, সে আমার কিছু না হতে পারে, সে তোমার বাবা ৷ স্বামী-স্ত্রী ছাড়াছাড়ি হতে পারে, কিন্তু বাপ-ছেলেতে কখনও ছাড়াছাড়ি হয় না ৷ সে তোমার বাবাই ৷ নিজের বাবাকে অপমান করতে হয় না ৷’
‘না, আমি আজকা হেরে মাইরাই ফেলামু ৷’ রাগে আজাদের মুখ দিয়ে ঢাকাইয়া বাক্য বেরুতে থাকে ৷
‘এদিকে আসো ৷ এই আমার মাথার কিরা লাগে ৷ বাপের সাথে গণ্ডগোল কোরো না ৷ এটা তার আর আমার ব্যাপার ৷ এর মধ্যে তোমার আসার দরকারই নাই ৷’
আজাদ রাগে ফোঁসে ৷ কিন্তু কিছুই আর করার নাই ৷ মা তাকে মাথার কিরা দিয়েছেন ৷ সে সবকিছু করতে পারে, মায়ের মাথার কিরার অবাধ্য তো হতে পারে না ৷ মা যে কথাটা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বলছেন, এটা বোঝা যায় তার তুই থেকে তুমিতে নেমে আসা সম্বোধনে ৷
মা বলেন, ‘এত দিন পরে এসেছ, যাও, হাত-পা ধোও, জিরিয়ে নাও ৷ তোমার জন্যে ভাত-তরকারি রেঁধে রেখেছি ৷ খেতে বসো ৷’

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *