রাত্রে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।
সকালে খাবার ঘরে বসে রাজেনবাবুর সঙ্গে চা খাচ্ছি, এমন সময় নেপালি চাকরটা একটা চিঠি নিয়ে এল। আবার সেই নীল কাগজ–আর খামের উপর দার্জিলিং পোস্ট মার্ক।
রাজেনবাবু ফ্যাকাশে মুখ করে কাঁপতে কাঁপতে চিঠির ভাজ খুলে ফেলুদাকে দিয়ে বললেন, ‘তুমিই পড়ো। আমার সাহস হচ্ছে না।’
ফেলুদা চিঠিটা নিয়ে জোরে জোরে পড়ল। তাতে লেখা আছে–
‘প্রিয় রাজু, কলকাতায় জ্ঞানেশের কাছ থেকে তোমার খবর পেয়ে যখন তোমায় চিঠি লিখি, তখনও জানতাম না আসলে তুমি কে। তোমার বাড়িতে এসে তোমার ছেলেবয়সের ছবিখানা দেখেই চিনেছি, তুমি সেই পঞ্চাশ বছর আগের বাঁকুড়া মিশনারি স্কুলের আমারই সহপাঠী রাজু!
‘এতকাল পরেও যে পুরনো আক্রোশ চাগিয়ে উঠতে পারে, সেটা আমার জানা ছিল না। অন্যায়ভাবে ল্যাং মেরে তুমি যে শুধু আমার হাণ্ড্রেড ইয়ার্ডস-এর নিশ্চিত পুরস্কার ও রেকর্ড থেকে বঞ্চিত করেছিলে, তাই নয়–আমাকে রীতিমত জখমও করেছিলে। বাবা বদলি হলেন তখনই, তাই তোমার সঙ্গে বোঝাপড়াও হয়নি, আর তুমিও আমার মন আর শরীরের কষ্টের কথা জানতে পারোনি। তিনি মাস পায়ে প্লাস্টার লাগিয়ে হাসপাতালে পড়ে ছিলাম।
‘এখানে এসে তোমার জীবনের শান্তিময় পরিপূর্ণতার ছবি আমাকে অশান্ত করেছিল। তাই তোমার মনে খানিকটা সাময়িক উদ্বেগের সঞ্চার করে তোমার সেই প্রাচীন অপরাধের শাস্তি দিলাম। শুভেচ্ছা নিও। ইতি–তিনু (শ্রীতিনকড়ি মুখোপাধ্যায়)।
পূর্ববর্তী:
« ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি – ৬ষ্ঠ পর্ব
« ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি – ৬ষ্ঠ পর্ব
sohagbd
দয়া করে সবাই পড়েবন ভাল লাগলে লাইক দেন
অসমাপ্ত সুমন
খুব ভালো লেগেছে।
Md Kawsar Ali Sajim
খুব ভাল লাগল| কিন্ত প্রথম তিনটে পর্বে একই লেখার পুনরাবৃত্তি পেলাম বলে মনে হল|
Bangla Library
দুঃখিত। ঠিক করে দেয়া হল।
ধন্যবাদ ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
Bondhon Das
Nice.
চঞ্চল
কৌতহল অনেক ছিল
ইনক্রিডিবল্
Vito corleone
Valo laglo
Ranit Ghorui
আমার পড়া ফার্স্ট ফেলুদা!
Thanks for this!
XeiNal SaiFul
অসাধারণ একটা গল্প একবার পড়ে মন ভরলো না সময় করে আরো পড়বো