০৭. গীতগোবিন্দ : সপ্তম সর্গ : নাগর নারায়ণ

পূর্ব্বদিকে হেনকালে উদিলেন ইন্দু,
দিগঙ্গনা-মুখে যেন চন্দনের বিন্দু,
উজলি কিরণে বৃন্দাবন-অভ্যন্তর,
বিকাশিয়া অঙ্কপরে কলঙ্ক-নিকর।
কিরণে কুলা-গণে মাতায়ে মদনে
অক্ষম তাদের করি সতীত্ব রক্ষণে,
কুলটার রোগ মত ঘঠে পাপ তাঁর,
সে পাপ ধরিল যেন কলঙ্ক আকার।

উদিল চন্দ্রমা তবু মাধব ‍না আসে,
বিধুরা শ্রীরাধা কাঁদে সকরুণ-ভাষে।

ত্রয়োদশ সঙ্গীত।

রাগিণী বেহাগ। তাল একতালা।
(“সখি আমায় ধর ধর” সুরের মত)

“সময় যে গেল গেল, কুঞ্জে কালা নাহি এল,
হায় যে বিফলে গেল (মম) সুখের যৌবন।
কার বা শরণ লই, বঞ্চিল আমারে সই,
এখন কোথায় যাই, হায় হল না মরণ।
যার আশা বাঁধি প্রাণে নিশীথে আইনু বনে,
সে মোরে দিল ভীষণ হেন মদন-বেদন।
মিছা বা আইনু কেন, কেমনে সহিব হেন
ঘোর বিরহ-দহন হায় হল না মরণ।
এ সুখ বসন্ত রাতি আমারে পীড়িছে অতি,
ভূঞ্জে কোন্ পুণ্যবতী সেই মুরারি মোহন।
অঙ্গে করেছি ধারণ মণি-বলয়-ভূষণ,
হরি-বিরহে এখন সেও হল যে দূষণ।
কাতর কুসুম-শরে ফুল-সম কলেবরে
পীড়িছে প্রসূণ-হার, ঘোর বিষম বেদন।
বিজন বঞ্জুল বনে বসে আমি শূন্য মনে,
হরি মোরে এবে মনে হায় ‍না করে গণন।”
হরি পদে যার মতি শ্রীজয়দেব ভারতী
যেন প্রেয়সী যুবতী হোক্ হৃদয়-শোভন।

“সঙ্কেত নিকুঞ্জে নাথ এখনো না এল,
তবে কি অপরা তরে অভিসারে গেল?
অথবা খেলে কি প্রিয় বন্ধু-গণ সনে,
কিংবা পথ ভুলিয়াছে অন্ধকার বনে?
হেন মনে লয় মোর, বিরহেতে ক্লান্ত,
পারে না চলিতে পথ মোর প্রাণ কান্ত।”

সেই কালে সহচরী তথায় আসিল,
হরি নাই তার সনে শ্রীরাধা দেখিল।
বাক্য হীনা সুবিষণ্ণা হেরিয়া তাহারে,
ভাবে নাথ বিহরেন লয়ে অপরারে।
ভাবিতে সে ভাব যেন প্রত্যক্ষ হেরিল,
এরূপে সখীরে তবে কহিতে লাগিল।

চতুর্দ্দশ সঙ্গীত।

রাগিণী জয়জয়ন্তী। তাল এক তালা।
(রাজা শ্রীশচন্দ্রের “কেও রমণী নীরদবরণী” গাণের সুরের মত।)

“কোন্ পুণ্যবতী                রসিকা যুবতী
হরি সঙ্গে এবে বিহার করিছে।
কেলি রণোচিত                সাজেতে সজ্জিত,
কবরী কুসুম এলায়ে পড়েছে।
আলিঙ্গনে তাঁর                বেড়েছে বিকার,
নাচিছে চঞ্চল                কুচ পরে হার,
সুষমা আধার                বদন তাঁহার,
চঞ্চল অলকে সুন্দর রাজিছে।
চুমি অনুরাগে                করি সুধা পান,
আবেশে বিভোরা                মুদিছে নয়ান,
নাচিছে জঘন                বাজিছে রশন,
চঞ্চল কুণ্ডল কপোলে দুলিছে।
নাগরে দেখিয়া                লাজেতে সহাস.
কেলি রঙ্গে মৃদু                সুমধুর ভাষ,
অনঙ্গ-বিকাশ,                ঘন বহে শ্বাস,
কম্পিত সুতনু নয়ন মুদিছে।
কেলি-রণ-শ্রান্ত                হৃদয়ে পতিত,
শ্রম-জল-ধারে                তনু সুশোভিত;”
জয়দবে-গীত                হরি-নানামৃত
কলির কলুষ বিনাশ করিছে।

“মনসিজ সখা শশী অস্তাচলে যায়,
মদন-বেদনা বটে কমিছে তাহায়;
কিন্তু নেহারিয়ে পাণ্ডু তাহার কিরণে,
বিরহেতে পাণ্ডু হরি মুখ পড়ে মনে,
বাড়িছে তাহাতে পুন বিষম এখন
হৃদয়ে আমার সই মদন-বেদন।”

পঞ্চদশ সঙ্গীত
(রাগিণী সাহানা। তাল ঝাঁপতাল।)

যমুনা-পুলিন-বনে                হরি আনন্দিত-মনে
সাজান প্রিয়ারে কেলি-পরে;
মুখে মৃগমদ দিয়া                তিলক দেন আঁকিয়া,
মৃগাঙ্ক যেমন শশধরে।
মদন-মৃগের কম                বিহার কাননসম
ঘন-শ্যাম প্রেয়সী-চিকুরে,
কুরুবক পুষ্পদাম                যতনে রাখেন শ্যাম
চপলা যেমন ঘন-পরে।
সে মুখ দেখিয়া পরে                মদন-আবেশ-ভরে
চুম্ব-দান করেন অধরে;
হেরি সে কেশের ভার                তরুণ আনন তাঁর
সচঞ্চল উল্লাসের ভরে।
ঘন কুচ যুগাকাশে                নখ-চিহ্ন, যেন হাসে
বালশশী নীলকাশ-পরে;
পরান সে কুচ-পরে                মণিময় চারু হারে,
তারা যেন সুনীল অম্বরে।
রাজে শীত করতল                প্রিয়ার ভুজে কোমল,
নলিনী যেমন নাল-পর;
সে ভুজে পরান হরি                মরকত বালা, মরি
সরসিজে যেমন ভ্রমর।
যেন মদন-ভবন                প্রিয়ার জঘন ঘন,
কিংবা স্মর-সুবর্ণ-আসন;
মাল্য-সম সুরশনে                ভূষি সে গৃহ-তোরণে,
বাড়ে তাঁর প্রেম-আকিঞ্চন।
কিশলয়-সুকোমল                প্রিয়া-চরণ-কমল,
মণিসম নখে সুশোভন;
অলক্তে রঞ্জিত করি                বহির্ব্বাস-সম হরি
হৃদয়ে ধরেন সে চরণ।
এরূপে অপরা-সঙ্গে                কপট সে কালা রঙ্গে,
মোরে বঞ্চি করিছে বিহার,
বিষাদে কেন স্বজনি                বিফলে যাপি রজনী,
এই ঘোর বিপিন-মাঝার?
মুরারি-চরণ স্মরে                জয়দেব-কবি করে
সুধাময় হরি-গুণ-গান;
নাশুক সে গীত ধার                কলির কলুষ-ভার
বিমোহিয়া ভকত-পরাণ।
যদি সে নির্দ্দয় হরি                নাহি এল সহচরি,
দুঃখ কি তোমার, দূতী তুমি?
সুখে বহু রামা-সঙ্গে                বিহরে সে শঠ রঙ্গে,
তব দোষ দেখি না ত আমি।
তবু সে প্রিয়ের তরে                বিষম আবেগ-ভরে,
হইয়ে আকৃষ্ট গুণে তাঁর,
দেখ এ দুর্ব্বল চিত                হয়ে কত বিচলিত
যেতেছে লো নিকটে তাঁহার।

ষোড়শ সঙ্গীত।
(রাগিণী মল্লার। তাল কাওয়ালি।)

নয়ন-যুগল যাঁর                চল নীলোৎপলাকার,
যে লো সেই শ্যাম-সঙ্গে                বিহার করিছে রঙ্গে,
দহে না শয়নে তারে কিশলয়-দল।
বদন-মণ্ডল যাঁর                ফুল্ল-কমল-আকার
যে লো সেই শ্যাম-সঙ্গে                বিহার করিছে রঙ্গে,
স্মর-শর-জাল অঙ্গে বিঁধে না তাহার।
মৃদু-মধুর-বচন                শ্রবণে করি শ্রবণ
যে লো শ্যাম-রায়-সঙ্গে                বিহার করিছে রঙ্গে,
দহে না তাহার দেহ মলয়-পবন।
কর-পদাম্বুজ যাঁর                স্থল-অম্বুজ-আকার,
যে লো সেই শ্যাম-সঙ্গে                বিহার করিছে রঙ্গে,
হিমাংশু-কিরণে অঙ্গ দহে না তাহার।
সজল-জলদ-সম                যাঁর দেহ-কান্তি কম,
যে লো সেই শ্যাম-সঙ্গে                বিহার করিছে রঙ্গে,
জ্বলে না তাহার হৃদে বিরহ বিষম।
কনক-কান্তি-আধার                সই চারু বাস যাঁর,
যে লো সেই শ্যাম-সঙ্গে                বিহার করিছে রঙ্গে,
পরিজন-পরিহাস কি করে তাহার।
সকল-ভুবন-বর                যেই রসিক-নাগর,
যে লো সেই শ্যাম-সঙ্গে                বিহার করিছে রঙ্গে,
করুণ শোকেও তারে ‍না করে কাতর।
জয়দেব-কবি কয়                এই বচন-নিচয়
সুমধুর সুমোহন                আর অতি সুশোভন,
হোক তাহে ভক্ত-চিত হরি প্রেমময়।

হে মলয়-সমীরণ,                বহিয়ে দক্ষিণ হতে
পেয়েছে যে দক্ষিণ এ নাম;
হও সুপ্রসন্ন তবে,                ওহে মনসিজ-সখা,
কেন হও মোরে তুমি বাম?
তুমি জগতের প্রাণ                আগে আন মোর প্রাণ
শ্যাম-রায়ে আমার সম্মূখ;
হয়েও জগৎ-প্রাণ                পরে যদি মোর প্রাণ
হর, তাহে নাহি মোর দুঃখ।
সখীগণ সহবাস                অরি-সম লাগে মোরে,
অগ্নি যেন শীতল পবন;
বিষ-সম বোধ হয়                সুধাকর-কর-চয়,
দহিছে সদাই মোর মন;
নির্দ্দয় সে মোর প্রতি                তবু সদা তার পানে
চিত ধায়, মানে না বারণ;
দুর্ব্বল রমণী-হৃদে                দুনির্ব্বার মনোরথ
করে প্রতিকূল আচরণ।

মলয়-অনিল তুমি দাও হে বেদন,
পঞ্চ-শর তুমি মোর নাশ হে জীবন,
হে যমুনে আমি ঘরে ফিরিব না আর,
তরঙ্গে অঙ্গের জ্বালা জুড়াও আমার।
রাধার নিচোল নীল পরে শ্যাম-রায়,
তাঁর পীতবাস শোভে রাধিকার গায়;
দেখিয়ে প্রভাতে উচ্চে হাসে সখি-গণ;
চঞ্চল কটাক্ষে লাজে যে হরি তখন
হাসি-মুখে হেরে রাধা-বদন-কমল;
সেই হরি জগতের করুন মঙ্গল।

————————–

মূল সংস্কৃত

অত্রান্তরে চ কুলটাকুলবর্ত্মাপাতসঞ্জাতপাতক ইব স্ফুটলাঞ্ছনশ্রীঃ |
বৃন্দাবনান্তরমদীপয়দংশুজালৈর্দিকৃসুন্দরীবদনচন্দনবিন্দুরিন্দুঃ ||১||

প্রসরতি শশধরবিম্বে বিহিতবিলম্বে চ মাধবে বিধুরা |
বিরচিতবিবিধবিলাপং সা পরিতাপং চকারোচ্চৈঃ ||২||

গীতম্

মালবরাগযতিতালাভ্যাং গীয়তে

কথিতসময়েহপি হরিহরহুহু ন যযৌ বনম্ |
মম বিফলমিদমমলমপি রূপযৌবনম্ |
যামি হে কমিহ শরণং সখীজনবচনবঞ্চিতা ||৩||

যদনুগমনায় নিশি গহনমপি শীলিতম্ |
তেম মম হৃদয়মিদমসমশরকীলিতম্ ||৪||

মামহহ বিধুরয়তি মধুরযামিনী
কাপি হরিমনুভবতি কৃতসুকৃতকামিনী ||৬||

অহহ কলয়ামি বলয়াদিমণিভূষণম্ |
হরিবিরহদহনবহনেন বহুদূষণম্ ||৭||

কুসুমসুকুমারতনুমতনুশরলীলয়া
স্রগপি হৃদি হস্তি মামতিবিষমশীলয়া ||৮||

অহমিহ নিবসামি ন গণিতবনবেতসা |
স্মরতি মধুসূদনো মামপি ন চেতসা ||৯||

হরিচরণশরণ-জয়দেবকবিভারতী |
বসতু হৃদি যুবতিরিব কোমলকলাবতী ||১০||

তৎ কিং কামপি কামিনীমভিসৃতঃ কিম্বা কলাকেলিভি-
র্বদ্ধো বন্ধুভিরন্ধকারিণি বনাভ্যর্ণে কিমুদ্ভ্রাম্যতি |
কান্তঃ ক্লান্তমনা মনাগপি পথি প্রস্থাতুমেবাক্ষমঃ
সঙ্কেতিকৃত-মঞ্জুবঞ্জুলতা-কুঞ্জেহপি যন্নাগতঃ ||১১||

অথাগতাং মাধবমন্তরেণ সখীমিয়ং বাক্ষ্য বিষাদমুকাম্ |
বিশঙ্কমানা রমিতং কয়াপি জনার্দ্দনং দৃষ্টবদেতদাহ ||১২||

গীতম্

বসন্তরাগযতিতালাভ্যাং গীয়তে

স্মরসমরোচিতবিরচিতবেশা
গলিতকুসুমদরবিলুলিতকেশা ||
কাপি মধুরিপূণা বিলসতি যুবতিরধিকগুণা ||১৩||

হরিপরিরম্ভণবলিতবিকারা
কুচকলসোপরি তরলিতহারা ||১৪||

বিচলদলকললিতাননচন্দ্রা
তদধরপানরভসকৃততন্দ্রা ||১৫||

চঞ্চলকুণ্ডলললিতকপোলা
মুখরিতরসনজঘনগতিলোলা ||১৬||

দয়িতবিলোকিতলজ্জিতহসিতা
বহুবিধকূজিত-রতিরসরসিতা ||১৭||

বিপূলপূলকপৃথুবেপথুভঙ্গা
শ্বসিতনিমিলিতবিকসদনঙ্গা ||১৮||

শ্রমজলকণভরসুভগশরীরা
পরিপতিতোরসি রতিরণধীরা ||১৯||

শ্রীজয়দেবভণিতহরিরমিতম্-
কলিকলুষং জনয়তু পরিশমিতম্ ||২০||

বিরহপাণ্ডুমুরারিমুখাম্বুজদ্যুতিরিয়ং তিরয়ন্নপি বেদনাম্ |
বিধুরতীব তনোতি মনোভুবঃ সুহৃদয়ে হৃদয়ে মদনব্যথাম্ ||২১||

গীতম্

গুর্জ্জরীরাগৈকতালীতালাভ্যাং গীয়তে

সমুদিতমদনে রমণিবদনে চুম্বনবলিতাধরে |
মৃগমদতিলকং লিখতি সপুলকং মৃগমিব রজনীকরে |
রমতে যমুনাপুলিনবনে বিজয়ী মুরারিরধুনা ||২২||

ঘনচয়রুচিরে রচয়তি চিকুরে তরলিততরুণাননে |
কুরুবককুসুমং চপলাসুষমং রতিপতিমৃগকাননে ||২৩||

ঘটতি সুঘনে কুচযুগগগনে মৃদমদরুচিরূষিতে |
মণিসরমমলং তারকপটলং নখপদদশশিভূষিতে ||২৪||

জিতবিসশকলে মৃদুভুজযুগলে করতলনলিনীদলে |
মরকতবলয়ং মধুকরনিচয়ং বিতরতি হিমশীতলে ||২৫||

রতিগৃহজঘনে বিপুলাপঘনে মনসিজকনকাসনে
মণিময়রসনং তোরণহসনং বিকিরতি কৃতবাসনে ||২৬||

চরণকিশলয়ে কমলানিলয়ে নখমণিগণপূজিতে |
বহিরপবরণং যাবকভণং জনয়তি হৃদি যোজিতে ||২৭||

রময়তি সুভৃশং কামপি সুদৃশং খলহলধরসোদরে |
কিমফলমবসনং চিরমিহ বিরসং বদ সখি বিটপোদরে ||২৮||

ইহ রসভণনে কৃতহরিগুণনে মধুরিপুপদসেবকে |
কলিযুগচরিতং ন বসতু দুরিতং কবিনৃপজয়দেবকে ||২৯||

নায়াতঃ সখি নির্দ্দয়ো যদি শঠস্ত্বং দূতি কিং দূয়সে
স্বচ্ছন্দং বহুবল্লভঃ স রমতে কিং তত্র তে দূষণম্ |
পশ্যাদ্য প্রিয়সঙ্গমায় দয়িতস্যাকৃষ্যমাণং গুণৈ-
রুত্কণ্ঠার্ত্তিভরাদিব স্ফুটদিদং চেতঃ স্বয়ং যাস্যতি ||৩০||

গীতম্

দেশবরাড়ীরাগরূপকতালাভ্যং গীয়তে

অনিলতরলকুবলয়নয়নেন
তপতি ন সা কিশলয়শয়নেন |
সখি যা রমিতা বনমালিনা ||৩১||

বিকসিতসরসিজলললিতমুখেন
স্ফুটতি ন সা মনসিজবিশিখেন ||৩২||

অমৃতমধুরমৃদুতরবচনেন
জ্বলতি ন সা মলয়জপবনেন ||৩৩||

স্থলজলরুহরুচিকরচরণেন
লুঠতি ন সা হিমকরকিরণেন ||৩৪||

সজলজলদসমুদয়রুচিরেণ
দলতি ন সা হৃদি বিরহভরেণ ||৩৫||

কনকনিকষরুচিশুচিবসনেন
শ্বসিতি ন সা পরিজনহসনেন ||৩৬||

সকলভুবনজনবরতরুণেন
বহতি ন সা রুজমতিকরুণেন ||৩৭||

শ্রীজয়দেবভণিতবচনেন
প্রবিশতু হরিরপি হৃদয়মনেন ||৩৮||

মনোভবানন্দনচন্দানানিল প্রসীদ রে দক্ষিণ মুঞ্চ বামতাম্ |
ক্ষণং জগত্প্রাণ বিধায় মাধবং পুরো মম প্রাণহরো ভবিষ্যসি ||৩৯||

রিপুরিব সখীসম্বাসোহয়ং শিখীব হিমানিলো
বিষমিব সুধারশ্মির্যস্মিন দুনোতি মনোগতে |
হৃদয়মদয়ে তস্মিন্নেবং পুনর্বলতে বলাৎ
কুবলয়সদৃশাং বামঃ কামো নিকামনিরঙ্কুশঃ ||৪০||

বাধাং বিধেহি মলায়ানিল পঞ্চবাণ
প্রাণান্ গৃহাণ ন গৃহং পুনরাশ্রয়িষ্যে |
কিন্তে কৃতান্তভগিনি ক্ষময়া তরঙ্গৈ-
রঙ্গানি সিঞ্চ মম শাম্যতু দেহদাহঃ ||৪১||

প্রাতর্নীলনিচোলমচ্যুতমুরঃ সংবীতপীতাংশুকুং
রাধায়াশ্চকিতং বিলোক্য হসতি স্বৈরং সখীমণ্ডলে |
ব্রীড়াচঞ্চলমঞ্চলং নয়নয়োরাধায় রাধাননে
স্মেরস্মেরমুখোহয়মস্তু জগদানন্দায় নন্দাত্মজঃ ||৪২||

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *