কহিতেছে, বিভীষণ, রথে দেখ নারায়ণ,
ছত্রদণ্ড ধরে দেবগণ।
কপালেতে দশ মণি, দীপ্ত যেন দিনমণি,
ঐ রাজা লঙ্কার রাবণ।।
হেসে রঘুনাথ কন, চিনিলাম দশানন,
যোগ্য বটে লঙ্কা-অধিকারী।
কুবুদ্ধি এমন কেনে, দেবকন্যা কেন আনে,
পরনারী কেন করে চুরি।।
পাইয়া ব্রহ্মার বর, নাম ধরে লঙ্কেশ্বর,
দেবমায়া না বুঝে রাবণ।
আমি রাবণের যম, না থাকিবে পরাক্রম,
মোর হাতে সবংশে মরণ।।
কহে সুমিত্রা-নন্দন, এই কি রাজা রাবণ,
আর কেবা উহার সংহতি।
হাতে ধনু সুরচিত, ঐ পুত্র ইন্দ্রজিত,
সঙ্গেতে উহার সেনাপতি।।
কুম্ভ নিকুম্ভ দুজন, কুম্ভকর্ণের নন্দন,
সঙ্গে সৈন্য আইল অপার।
সারদা-চরণ সেবি, বাল্মীকি যে মহাকবি,
রামায়ণ করিল প্রচার।।
পূর্ববর্তী:
« ০২৪. রাবণের প্রথম দিবস যুদ্ধে গমন
« ০২৪. রাবণের প্রথম দিবস যুদ্ধে গমন
পরবর্তী:
০২৬. রাবণের প্রথম দিবস যুদ্ধ »
০২৬. রাবণের প্রথম দিবস যুদ্ধ »
Leave a Reply